সুরমা প্রতিবেদন।
২৫আগস্ট, লন্ডন। গুমের শিকার মানুষদের প্রতি সহানুভুতি ও গুম প্রতিরোধে জাতিসংঘের আহবানে ৩০ আগস্ট গুম বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস। লন্ডনে এই উপলক্ষে সাউথ এশিয়ান পলিসি ইনিশিয়েটিভের (সাপি)’র উদ্যোগে এবং লন্ডন ভিত্তিক ১৫ টি মানবাধিকার সংগঠনের যৌথভাবে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে ৩০ আগষ্ট মঙ্গলবার বেলা ২টায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন আয়োজন করেছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গুমের শিকার মানুষের পরিবার সদস্যরা যোগ দেবেন বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন। বিক্ষোভের সমর্থনে পূর্ব লন্ডনে বৃহস্পতিবার ২৫ আগস্ট গণসংযোগ করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ।
গণসংযোগে অংশ নেন, সাউথ এশিয়ান পলিসি ইনিশিয়েটিভের (সাপি)’র পক্ষে সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান ও শামসুল আলম লিটন, এসডিআর’র ব্যারিস্টার আলিমুল হক লিটন, মানবাধিকার সংগঠন পীচ পর বাংলাদেশ’এর মো: ডলার বিশ্বাস ও মো. মাহিন খান। পূর্ব লন্ডনের বাংলা টাউন ব্রিকলেন, হোয়াইট চ্যাপেল স্টেশন ও পাশ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকায় এই গণসংযোগকালে সাধারণ মানুষ একই বিষয়ে তাদের গভীর উদ্বেগ ও আয়োজিত কর্মসূচির প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।
পূর্ব লন্ডনে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের প্রতি বাংলাদেশ, ভারতের কাশ্মীর, চীনের উইঘুর ও ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোতে জোরপূর্বক গুমের শিকার ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা ও তাদের পরিবারের জন্য ব্রিটেনের অধিবাসীদের আরও সহানুভূতি ও সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য ব্রিটিশ সরকার ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার উপর চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানান।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে, সিটিজেন মুভমেন্ট ইউকে, সোসাইটি ফর ডেমোক্রেটিক রাইটস (এসডিআর), ফাইট ফর রাইটস, ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানিটি ক্লাব, জাষ্টিজ ফর বাংলাদেশ, অনলাইন অ্যাকিভিষ্ট ফোরাম ইউকে, নিরাপদ বাংলাদেশ চাই (এনবিসি), সলিডারিটি ফর হিউম্যান রাইটস ইউকে, স্ট্যাণ্ড ফর বাংলাদেশ, সাপোর্ট লাইফ ইউকে, উইনিভার্সেল ভয়েস ফর জাষ্টিস, ইকুয়াল রাইট ইন্টারন্যাশনাল (ইআরআই), ভয়েস ফর জাষ্টিস, হোয়াইট পিজিওন ইন্টারন্যাশনালে ।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক গুম খুন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে সাউথ এশিয়ান পলিসি ইনিশিয়েটিবের উদ্যোগে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদি শেখ হাসিনা সরকারের আইনশৃঙ্খলা-রক্ষাকারী বাহিনী ধরে নিয়ে যাওয়ার পর গুমের শিকার মানুষদের খুঁজে বের করার দাবীতে লন্ডন ছাড়াও নিউ ইয়র্ক এবং সিডনিতে বিক্ষোভ সমাবেশ হবে।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহনের পর থেকে দেশে ভিন্নমতের হাজারো নেতা-কর্মীকে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ধরে নিয়ে গুম করেছে। বছরের পর বছর ধরে তাদের পরিবার জানে না, আপনজনরা কোথায় কিভাবে আছেন। বাবা অপেক্ষায় আছেন ছেলে একদিন মুক্তি পেয়ে ফিরবে। স্ত্রী অপেক্ষায় আছেন স্বামী ফিরবে।সন্তানরা বাবার জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু বছরের পর বছর পার হয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় বাহিনী তাদের কোথায় রেখেছে সেটাও কেউ জানেনা।