শেখ হাসিনার চার স্পিন ডক্টর বনাম সাপ্তাহিক সুরমা
সুরমা প্রতিবেদন: বাংলাদেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক প্লেজার ট্রিপে সঙ্গী হয়েছেন তাঁর চার স্পিন ডক্টর। চার সাংবাদিক হলেন, নাইমুল ইসলাম খান, মোজাম্মেল বাবু, নঈম নিজাম ও শ্যামল দত্ত। অবৈধ ও অনির্বাচিত এক ব্যাক্তিকে ভোট ছাড়াই আরও একবার ক্ষমতায় টিকে থাকার মিশনে তাঁরা ‘নিবেদিতপ্রাণ’ ও আলোচিত একেকজন স্পিন ডক্টর।
‘বিদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রীকে বিরল সন্মান দেখানো হয়েছে’, ‘তাঁকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে’, সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশ এখন সবার মনোযোগের কেন্দ্র’, ‘উন্নয়নের রোল মডেল’ ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি। জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মানুষজনও দলে দলে বলছে- “মুঝে বাংলাদেশ বানা দো”। একাত্তরের অর্জন, বায়ান্নর ইতিহাস আর বর্তমানের চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ আজ পুরো বিশ্বের বিস্ময়। এসব ন্যারিটিভ তৈরীর পেছনে ব্যস্ত ছিলেন প্লেজার ট্রিপের ১৫ দিনে। এছাড়া তাঁদের কোন সংবাদপত্র বা টেলিভিশনে এই সফর নিয়ে তাদের নিজেদের একটি সংবাদও চোখে পড়েনি, যেটাকে সত্যিকার অর্থে জার্নালিজম বলা যেতে পারে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রানালয়ের সূত্র জানিয়েছে, এই সফরে জনপ্রতি ২৫ হাজার ডলার করে খরচ হয়েছে। এই চার স্পিন ডক্টরের পেছনে এক লাখ ইউএস ডলার অর্থাৎ প্রায় সোয়া কোটি টাকা খরচ করা হলো। পুরোটাই জনগণের কষ্টার্জিত ট্যাক্সের টাকা। ডলার সঙ্কটের এই সময়ে যখন শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো ডলারের অভাবে কাঁচামাল কিনতে পারছে না, সেখানে এই বিপুল বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় ইতিহাসে রেকর্ড হয়ে থাকবে। প্রশ্ন হলো তারা এই সফর থেকে দেশের জন্য কী খবর নিয়ে এসেছেন বা সফরকালীন জনগণকে কী খবর দিয়েছেন? বরং সঠিক খবর পরিবেশন না করে পুরো সফরজুড়ে তাঁরা দেশের জনগণের সাথে মিথ্যাচার করেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মাতামাতি করেছেন। অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানেই বক্তৃতা দিয়েছেন, সেখানেই তাঁরা শ্রোতা হিসেবে উপস্থিত থেকে বাহবা দিয়েছেন। জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী যেখানেই প্রবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন, সেখানেই তারা বিক্ষুব্ধ প্রবাসীদের কাছে সমালোচিত হয়েছেন। এছাড়া শোনা যায়, বিশ্বব্যাংকের সামনে বিক্ষোভকারী প্রবাসীদেরকে সাড়াশি আক্রমণের পেছনেও তাদের কেউ কেউ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পেছন থেকে উস্কানি দিয়েছেন।
সাংবাদিক হিসেবে সফরে গিয়ে তাঁরা সাংবাদিকতা না করে অবৈধ সরকারের তথ্য-কর্মকর্তার ভূমিকা নিয়েছেন! তাঁরা যদি সুরমার মত প্রকৃত সাংবাদিকতা করতেন তাহলে অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর এই বিদেশ সফরে কতজন গেছেন; কে কেন গেছেন, তাদের প্রত্যেকের পেছনে রাষ্ট্রের কত টাকা খরচ হয়েছে? এই সফর থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য বা অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে দেশের ও জনগণের কী কী প্রাপ্তি যোগ হয়েছে, সেসব বিষয় বিশদভাবে তুলে ধরতেন।
রাষ্ট্রক্ষমতা জোর করে ধরে রাখতে পশ্চিমাদের হাতে পায়ে ধরার জন্য আয়োজন করা হয়েছিল এই পুরো সফর।অথচ এই সাংবাদিক নামধারী স্পিন ডক্টরগণ তাদের লেখায় এবং বলায় এর একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি। আইএমএফ’র প্রধান নির্বাহী শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় দেখতে চান বলে যে ভুয়া খবর প্রচার প্রচার হলো সেখানেও তারা নিরব। যুক্তরাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে “পথে হলো দেখা জাতীয়” হাই-হ্যালোকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক বলে মিথ্যা সংবাদ প্রচারের পেছনে যারা জড়িত ছিলেন তাদের তারা চিহ্নিত করতে পারতেন। বরং এখন এইসব মিথ্যা প্রচারের দায় কর্মকর্তারা উল্টো তাদের ঘাড়ে দিচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট অনেকেই বিশ্বাস করেন এই অপপ্রচারও তাদের কাজ হতে পারে।
অসত্য খবর প্রচারের মাধ্যমে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার দায়ে এই চারজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতা ও ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা হতে পারতো, যদি আইন সবার জন্য সমান হতো। কিন্তু সঙ্গত কারণেই সেটা হয়তো হবে না; কারণ তাঁরা তো গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতা হরণ কারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্পিন ডক্টর! জাতির বিবেক নয় বরং বিবেকের কবর হিসেবে জীবন্ত লাশ হিসেবে তারা পতনোম্মূখ এক ফ্যাসিবাদের প্লেজার টিপ এর সঙ্গী হয়ে দ্বারে দ্বারে ক্ষমতা ভিক্ষার ঝুলি বহনকারী হিসেবে গণমাধ্যমের ইতিহাসে চিহ্নিত হয়ে থাকবেন।
সাংবাদিক নামধারী এই দলবাজ,ধান্দাবাজ ও চাটুকার স্পিন ডক্টররা সাংবাদিকতাকে দেশে সরকারি মাউথপিচে পরিণত করেছেন। একজন প্রকৃত সাংবাদিক কোন সময়ই ফ্যাসিবাদী সরকারের আনুকূল্য বা দয়া- দাক্ষিণ্য নিবেন না বা নিতে পারেন না। এই চক্করে একবার পড়লে কোন বিবেকবান সাংবাদিকের পক্ষেই আর সাংবাদিকতা করা সম্ভব হয় না। তখন তাদের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হয় ধান্দাবাজি করে নিজের আখের গোছানো। এরমধ্যে তরুণদের কাছে জনপ্রিয় একজন নিজেকে ইমেরিটাস এডিটার ঘোষণা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাসির পাত্র হয়েছেন। এই স্পিন ডক্টররা শুধু নিজেরাই নয়, বাংলাদেশের পুরো গণমাধ্যমকে এখন মানুষের কাছে হাসি তামাশার বস্তুতে পরিণত করে ফ্যাসিবাদের বিশ্বস্ত পাহারাদের ভূমিকা অবতীর্ণ হয়েছেন।
দুঃখজনকভাবে স্পিন ডক্টরেরা এখন এটাই করছেন এবং এটাকে এখন বাংলাদেশের কালচারে পরিণত করেছেন। গরীব দেশের মানুষের টাকার মচ্ছব হলে তাতে কার কি বা আসে যায়! শেখ হাসিনা প্লেজার ট্রিপ শেষে দেশে ফিরে বরাবরের মতই গণভবনে সংবাদ সন্মেলন করেছেন এবং যথারীতি সফর নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন। শেখ হাসিনারটা না হয় স্বাভাবিক, কথাবার্তা সবসময়ের মতোই এলোপাথাড়ি, তেমন কোন রিলেভেন্স নাই। কোন ষ্ট্রং প্রজেকশন নাই। কোন যুক্তি ফুক্তি নাই।
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত (সুপ্রিম কোর্ট) সর্বসম্মতিক্রমে আরো ২৫বছর আগে শেখ হাসিনাকে রং হেডেড পার্সন বলে ঘোষণা করেছিলেন। এবার তিনি প্রমাণ করেছেন, তিনি শুধু তাই নন, বরং তিনি এখন সাইকো পেশেন্টে পরিণত হয়েছেন। ক্ষমতার লোভে অন্ধ হয়ে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন। যখন তখন আবোল তাবোল বকে যাচ্ছেন। অচিরেই তার মানসিক চিকিৎসা দরকার; তার নিজের মানসিক স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা এবং বাংলাদেশের ১৮০ মিলিয়ন মানুষের বর্তমান ও ভবিষ্যতের স্বার্থে।
কেবল বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ নয়, মার্কিন স্টেট ডিপার্টেমেন্টের বক্তব্য-বিবৃতি সূক্ষ্মভাবে নিজেদের ‘সুবিধামতো’ প্রচারের ব্যবস্থা করার ‘দক্ষতাসম্পন্ন’ তাঁরা। পরিস্থিতির অনিবার্যতায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরকেও কখনো কখনো পরে আবার কথা বলে আগের বক্তব্য পরিষ্কার করতে হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীনদের ও তাদের অনুগত সাংবাদিকদের এমন সূক্ষ্ম চালাকি-চাতুরি বা কূটনীতির প্যাঁচ শেষ পর্যন্ত কোথায় যাবে তা এখনই বলা যায় না। হাসিনার অনুগত নাইমুল ইসলাম খান, মোজাম্মেল বাবু, নঈম নিজাম ও শ্যামল দত্তদের কাছে হাসিনা যতই দেশবিরোধী কাজ করুক না কেন, যতই মিথ্যাচার করুক না কেন, যতই স্বৈরাচারী হয়ে উঠুক না কেন, যতই ফ্যাসিবাদী হয়ে উঠুক না কেন, যতই লাত্থিগুতা দিক না কেন শেখ হাসিনার কোন দোষ নাই। শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নাই। শেখ হাসিনার দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবেনা। তিনি সব জানেন, সব বুঝেন। তিনি কোন ভুল করতে পারেন না। সাংবাদিকেরা যখন বিভিন্ন পন্থের পন্থী হয়ে যান, সাংবাদিকরা যখন প্রভাবশালীদের সামনে বিবেক ও ব্যক্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন করতে পারেন না, তখন তাঁরা আর সাংবাদিক থাকেন না, হয়ে যান ” সাংঘাতিক এবং দলদাস “।সবচেয়ে কৌতুককর হলো সংবাদ সন্মেলনে সাংবাদিক নামে তার পোষ্য হলুদ সাংবাদিকদের তেলবাজি। সরকার পক্ষের এসব সাংবাদিকদের সাথে অন্য কারো তুলনা চলে না। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, শাইখ সিরাজের মত মানুষকে প্রশ্ন করে বসার আগে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি প্রার্থনা করতে হয়।
এইসব সাংঘাতিক আর দলদাসদের কারণে আজ এই মহৎ পেশার অবক্ষয় ঘটছে,শুধু অবক্ষয় নয় ভয়াবহ পচন ধরেছে। গ্রেট ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীকে যখন প্রশ্ন করা হয় তখন সাংবাদিকেরা, ‘ইউর এক্সেলেন্সী’ বলেন না। কারণ একজন প্রধানমন্ত্রী বা সরকার প্রধানের অধীনে সাংবাদিকরা কাজ করেন না। সাংবাদিকরা প্রজাতন্ত্রের কোন কর্মচারী নন যে প্রজাতন্ত্রের সামনে সাংবাদিকতার পরিচয়ে কুর্নিশ করবেন, অনুকম্পা পাওয়ার চেষ্টা করবেন। প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতা যখন জনগণের হয়, আর জনগণ যখন প্রতিনিয়ত সরকারকে জবাবদিহিতায় আনতে চায়, তখন জনগণের প্রতিনিধি হয় সাংবাদিকরা। রাষ্ট্র আর জনগণের মাঝে সেতুবন্ধন সাংবাদিক। সেই অর্থে, সেই বিবেচনায় সাংবাদিকদের সামনে কুর্ণিশ করবেন প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা প্রজাতন্ত্রের শীর্ষ কর্মচারী।
প্রধানমন্ত্রী প্রজাতন্ত্রের শীর্ষ কর্মচারী, তাঁর সামনে আপনি জনগণের দাবি আর প্রশ্ন নিয়ে হাজির হচ্ছেন, চাটুকারিতায় তাঁর অনুকম্পা পাওয়ার জন্য নয়, বরং জনগণের ন্যায্য হিস্যাটা জানার জন্য, বোঝার জন্য। অথচ অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সন্মেলনে সাংবাদিকরা চাটুকারিতার প্রতিযোগীতায় নামেন। যাই হোক, এটাই বাঙালির চরিত্র এবং যুগে যুগেই বাঙালি শক্তিমানের সামনে ঠিক এভাবেই লুটিয়ে পড়েছে। ব্রিটিশদের সামনে পড়েছে, পাঞ্জাবীদের সামনে পড়েছে, এখন হাসিনার সামনে পড়ছে। অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সন্মেলনের এই যে কাস্ট দেখেছেন এরাই – কালকে হাসিনার পতন হলে পরশুদিন বলবে ফেরাউনের পতন হয়েছে। ফেরাউনের পতনেই গণতন্ত্রের মুক্তি। এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছুই নেই। সাংবাদিকদের শত সংগঠনের মধ্যে প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ, নিউজপেপার ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, সম্পাদক পরিষদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ- পিআইবি, প্রেস কাউন্সিল, গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট- এরকম যত প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে দিন শেষে নেতাগিরি, রাজউকের প্লট, একটি লাল গাড়ী, আর প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হিসেবেই তৃপ্ত থাকেন। যে সম্প্রদায়ের একশ্রেণীর কীট প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার পদ পেলে সাগর রুণীর মতো সহকর্মীর রক্তের সাথে বেঈমানি করে কিংবা পত্রিকা ও টিভি চ্যানেল মালিককে খুন ও ধর্ষণের মামলা থেকে বাঁচাতে নিজের সম্প্রদায়ের সহকর্মীদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে, তাদের কাছে এর চেয়ে ভাল কিছু আশা করা যায় না। ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সরকারপ্রধান বিশ্বব্যাংকে গিয়ে সম্পর্কের ৫০ পূর্তি উৎসব করেছেন! খরচপাতি যা গেছে পুরোটাই তিন বেলা না খেতে পারা দেশের জনগণের, তাতে কী? লোভী প্রধানমন্ত্রীর তস্কর স্পিন ডক্টরদের কাছে পেশাদারিত্ব আশা করা আর সিদেল চোরকে চৌকিদার নিয়োগের মতোই আহাম্মকী ছাড়া আর কি!
স্টেট ডিপার্টমেন্ট, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফের বক্তব্য বিকৃত হয়ে প্রচার হয়ে যাচ্ছে, তাতেই বা কী? অবৈধ প্রধানমন্ত্রী কয়েক মাস পরেই ভারতে যাবেন। জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে তাঁর ভারত সফরে যাওয়ার কথা। সেটির আমন্ত্রণ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিয়েই রেখেছেন। প্রধান প্রধান অর্থনীতির দেশের কৌশলগত বহুপক্ষীয় সংগঠন জি-২০-এর সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর এর সব সভায় বাংলাদেশকে অতিথি রাষ্ট্র হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত। ওই সফরের সময়ও একতরফা খবরের হাটবাজার বসবে। কেউ রুখতে পারবে না। গত কিছুদিন ধরে এ ধরনের সংবাদ নিয়ে বাংলাদেশের মূলধারার পত্রপত্রিকা বা টেলিভিশনগুলোতে একতরফা ভিত্তিহীন ও ভূয়া প্রচারই একধরনের নিয়ম হয়ে গেছে। তাদের অনলাইন ভার্সনেও তাই। এক জায়গা থেকে ম্যানুফেকচারড ও সরবরাহ করা ‘রিপোর্ট’ নানা মিডিয়া অনেকটা আরোপিতভাবে প্রচার করে। প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফর নিয়ে এ প্রবণতা দেখা গেছে আরো বেশি। গণমাধ্যমের জন্য এটি বড় বেদনার। আর মানুষের জন্য বড় অস্বস্তির। ডিএসএ’র কবলে আক্রান্ত গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার কফিনে প্যারেক মেরে অবৈধ অনির্বাচিত ফ্যাসিবাদী নিষ্ঠুর ও গণমাধ্যমের দুশমন শেখ হাসিনার স্পিন ডক্টরগণ তাদের নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমকে ইতোমধ্যে গশত্রুতে পরিণত করেছেন।
গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতার মুক্তি হয়তো সময়ের ব্যাপার। কিন্তু গণশত্রুদের পরিণতি ইতিহাস নির্ধারিত। অনিবার্য।।