বেহায়া বরিস আর বিশ্ববেহায়া ড. মোমেন
এ সপ্তাহরে সম্পাদকীয় ।। ইস্যু ২২৫৩
বিশ্ব আজ বেহায়া, মিথ্যাবাদী, শঠ আর প্রতারকদের কবলে পড়ে খাবি খাচ্ছে। পশ্চিম থেকে বিশ্বের পূর্ব অংশ পর্যন্ত, আর মধ্যভাগ থেকে উত্তর ও মেরু দক্ষিণ মেরু; বিশ্বের কোন অংশই এইসব আবর্জনার কবল থেকে মুক্ত থাকতে পারছে না। গণতন্ত্রের পীঠস্থান বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী মিথ্যাবাদী হিসেবে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাব দিতে না পেরে (প্রকাশের অযোগ্য শব্দ) চুলকাতে থাকেন; আর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন পকেটে যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট রেখে সকালে যুক্তরাষ্ট্রের পা চাটেন (হোমলেস ও স্টেটলেস অবস্থায় তাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য) আর বিকেলে করেন বিষোদগার। কোনটি তার প্রকৃত অবস্থান এটি বোঝা মুশকিল। বন্যা দেখতে তিনি বজরা সাজিয়ে ভ্রমণবিলাসে মেতে ওঠেন। আঞ্চলিক সম্পর্ককে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বলে দেশকে হাসির পাত্র বানান। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে কয়েকদিনের মধ্যে পরস্পর বিরোধী অবস্থান নেন। অত্যন্ত বিরক্তিকর এবং অগ্রহণযোগ্য। তার প্রধানমন্ত্রীর মতোই তিনি দেশটাকে পৈতৃক সম্পত্তির ভাবতে শুরু করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের কথা শুনে মোমেন তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেন। এতেই ড. মোমেন ও তার সরকারের প্রকৃত ভাবমূর্তি বিশ্বের কাছে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর লাখ মানুষ গুমের আজগুবি দাবি আর সেখানে নির্বাচন ও মানবাধিকারের রেকর্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি নিজে হাসির পাত্র হলে কিছু যায় আসে না। কিন্তু বাংলাদেশকে হাসির পাত্র করার ক্ষমতা তাঁকে কে দিয়েছে? বিশ্ব মিথ্যুক হিসেবে রেকর্ড গড়া প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে তার কাছ থেকে খুব বেশি দায়িত্বশীল আচরণ আশা করা যায় না। রাজনৈতিক পরিবেশ বিধ্বংসী সভ্যতার বোঝা এসব জঞ্জালের কবল থেকে বিশ্ব ও তার পরিবেশ মুক্ত হোক; এটা এখন শুধু রাজনৈতিক প্রত্যাশা নয় বরং বিশ্বের পরিবেশ রক্ষায় ও এটা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
সিলেট কি সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য?
সিলেটের প্রশাসন কি তাহলে শেষ পর্যন্ত সন্ত্রাসীদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন? গত কয়েক বছরে এমসি কলেজে গণধর্ষণ, সন্ত্রাসী বদরুলের হাতে একজন তরুণীর প্রাণঘাতী হামলা, একের পর এক ধর্ষণ খুন রাহাজানি আর সর্বশেষ সাংবাদিক মঞ্জুর উপর সশস্ত্র হামলা এই আশঙ্কাকে জোরদার করেছে। সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন লন্ডনে কর্মরত আমাদের একজন সহকর্মী সাংবাদিক। তিনি লিখেছেন-“উদ্বেগজনক খবর হচ্ছে, মন্জু ভাইয়ের আসামীতো গ্রেফতার হয় নি, বরং ৯ দিন পর (আজ ১জুন) সে আদালতে গিয়ে বুক ফুলিয়ে জামিন নিয়েছে। রনজিত গ্রুপ মন্জু ভাইয়ের আইনজীবীদের এক ধরনের শো- ডাউন দেখিয়ে গিয়েছে। “সশস্ত্র হামলার জের ধরে সাংবাদিক মঞ্জুর অবস্থা এখনো অপরিবর্তিত।থানায় মামলা করার পরও পুলিশ তাঁর সাথে কোন যোগাযোগ করেনি, কোন তথ্য নেয়নি। লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবে এই সংক্রান্ত প্রতিবাদ সভা থেকে সিলেট প্রশাসন ও পুলিশের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছিল সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির। তারা ব্যর্থ হয়েছেন এবং প্রমাণ করেছেন তারা কলমের পক্ষে নন। সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের পক্ষে।সময় বলে দেবে, পূণ্যভূমি সিলেটের সন্ত্রাস ও দুর্বৃত্তায়ন দমনে ব্যর্থ এই প্রশাসনকে সাধারণ মানুষ কি জবাব দেন!