সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি’র সাংবাদিক সম্মেলন: ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন’র মুক্তি দাবি, ফরমায়েশি আদেশের জন্য বিচার বিভাগকে কঠোর পরিণতি’র হুঁশিয়ারী
মাসুদা ভাট্টির করা মানহানির মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়ায় ঢাকার মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের বিচারিক ক্ষমতা প্রত্যাহার ও শাস্তির দাবি উঠেছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি থেকে।
।। বিশেষ প্রতিনিধি ।।
ঢাকা, ৬ সেপ্টেম্বর – গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তোলেন সমিতির সম্পাদক এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। আইনজীবী সমিতি ভবনের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিনসহ কার্যনির্বাহী কমিটির আওয়ামী লীগ সমর্থক সদস্যরা কেউ ছিলেন না।
মানহানির মামলায় মঙ্গলবার কারাগারে যাওয়া ব্যারিস্টার মইনুল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি। সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টা গত সংসদ নির্বাচনের আগে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক জোট গড়ায় সক্রিয় ছিলেন।
মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলায় মানহানির মামলায় গত বছর নির্বাচনের আগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ব্যারিস্টার মইনুল।নির্বাচনের পর তিন মাস কারাবরণ শেষে হাই কোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পান। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বুধবার বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন।
এর প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, “তিনি (ব্যারিস্টার মইনুল) আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়েই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেছিলেন।
“কিন্তু জামিনযোগ্য মামলায় তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, যা খুব দুঃখজনক। আমরা মনে করি ফরমায়েশি আদেশের কারণে এটি করা হয়েছে।”
প্রধান বিচারপতির উদ্দেশে সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক বলেন, “রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের একটি অঙ্গ হচ্ছে বিচার বিভাগ। ফরমায়েশি আদেশের জন্য একদিন বিচার বিভাগকে কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে।”
বিচারকের ওই আদেশকে ‘বেআইনি’ মন্তব্য করে খোকন আরও বলেন, “সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমরা বিচারক তোফাজ্জল হোসেনের বিচারিক ক্ষমতা প্রত্যাহার ও তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।”
সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল অবেদীন, সাবেক সহসভাপতি ও গণফোরামের কারর্যকরি সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, অলিউর রহমান, সাবেক সম্পাদক বদরুদ্দোজা বাদল, বর্তমান কমিটির সহসম্পাদক শরীফ ইউ আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।