দেশ যায় অতলে, হাসিনা ব্যস্ত চিতলে
।। বিশেষ প্রতিবেদন।।
লণ্ডন, ৩ নভেম্বর – শেখ হাসিনার ছবির নিচে হাসিবুল ইসলাম নামে একজন মন্তব্য করেছেন, জীবনের শেষ চিতল মাছ খেয়ে নেন। আর এরকম সালোয়ার কামিজ, পায়জামা আর বুট জুতা পইরা রেডি থাকেন। জনতার ধাওয়া খেয়ে হেলিকাপ্টারে উঠে পালাতে সুবিধা হবে। শাড়ি পড়লে দৌড়াইতে পারবেন না। চিতল মাছ, কাতল মাছসহ গণভবনে যা যা আছে এই কয়দিনে সব খেয়ে রেডি থাকেন।
হান্নান সরকার নামে একজন লিখেন, রাঘব বোয়াল শাসক আর চুনোপুঁটি জনগণ। দেশের মানুষ পুঁটি মাছটাও কিনে খেতে পারছেনা। এই অবস্থায় দেশের মানুষকে দেখিয়ে এতবড় চিতল মাছ খেতে আপনার লজ্জা করবেনা। আপনার কি লজ্জা নাই?
আনিসুর রহমান নামে একজন মন্তব্য করেছেন, গাছ বাওয়া প্রধানমন্ত্রীরে গাছ বাওয়া পোশাকে মানাইছে। স্বৈরাচারী হাত দিয়ে চিতল মাছটার গলা যেইভাবে চাইপা ধরছে, মাছটা হা কইরা আছে। মাছটার জন্য খারাপ লাগতাছে। দুই বোন এভাবে ধরছে এদেশকে। দেশের জনগনকে। এই মাছটাই যেন অভাগা বাংলাদেশ! দুই বোনের বড়শিতে আটকা পড়ে গেছে!
বজলুর রশীদ নামে একজন লিখেছেন, জনতার ধাওয়া খেয়ে দৌড়ে ভারতে পালানোর জন্য এই পোশাকটাই সব সময় পইড়া থাকেন। ভারতে বইসা এই চিতল মাছ ধরার ছবি নিয়া বই লিখবেন, গণভবনে কাটানো স্মৃতিময় শেষদিন গুলো….
শফিকুল ইসলাম নামে একজন মন্তব্য করেছেন, চিতল মাছটা চিবাইয়া খাইবেন নাকি গিলিয়া খাইবেন? স্থান, কাল, পাত্র, কান্ড কারখানা সবই যেন ভয়ানক, কদর্য, কুৎসিত।
নাসির উদ্দিন নামে একজন লিখেছেন, রোম যখন পোড়ে, নীরু তখন বাঁশি বাজায়! জাতির পেটে ভাত নাই, প্রধানমন্ত্রী চিতল ধরে খায়।
অনেকে আবার মাছটা দেখে সন্দেহপোষণ করে বলছেন, গণভবনের লেকে এতবড় চিতল মাছ থাকার কথা না। নাটকবাজ প্রধানমন্ত্রী কারওয়ান বাজার থেকে কিনে এনে মাছ ধরার ফটোসেশন করেছেন। রিজার্ভ চুরি, জালানি সংকট, খাদ্য সঙ্কট ও বিএনপির সমাবেশ থেকে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরাতে সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে এই ছবি তুলে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছেন।