মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে দেশ টিভির রিপোর্ট: হয়রানীর শিকার স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান
|| সুরমা রিপোর্ট ||
লণ্ডন, ২৭ আগষ্ট : একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেল “দেশটিভি” মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে নিরীহ মানুষকে হয়রানী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রিপোর্টে কেবল অভিযোগ উত্থাপনকেই আমলে নিয়ে রিপোর্টটি সাজানো হয়েছে। এই অভিযোগের সমর্থনে কোনো দালিলিক তথ্য উপস্থাপন করা হয়নি। এভাবে কোনো নির্দোষ ব্যাক্তিকে অপদস্থ করা কোনো নীতিনৈতিকতার মধ্যে পড়ে কি না তাও দেখার বিষয় রয়েছে।
চ্যানেল দেশ টিভির “স্থল বন্দরকে লুটের রাজত্ব বানাতে চেয়ারম্যানের চেয়ারে জিল্লুর রহমান” শীর্ষক রিপোর্টটি ছিলো একটি মহলের কারসাজি, এমন অভিযোগও পাওয়া যায়। তথ্য মতে জানা যায়, চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানকে পতিত সরকার সত্য বলার অপরাধে খুলানা বিভাগীয় কমিশনার পদ থেকে প্রত্যাহার করে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান পদে স্থানান্তর করা হয়।
যে সব অভিযোগ চ্যানেল দেশটিভি করেছে সেসবের কোনো প্রমাণ হাজির করেনি। তার বিরুদ্ধে অর্থ হাতানো, অবৈধ বসতবাড়ি ও গাড়ির মালিক এসব কোনো কিছুরই প্রমাণ মিলেনি। তাহলে এমন অভিযোগ উত্থাপন করা রিপোর্টের অন্তরালে কী লুকিয়ে থাকতে পারে সেও এক বিরাট প্রশ্ন বটে। বিগত সরকারের আমলে সুবিধাভোগীদের স্থলে অধিকার বঞ্চিত একজন জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে এ ধরণের মিথ্যাচারকে সহায়তা প্রদান করা কী মিডিয়ার কাজ, এমন প্রশ্ন রয়েছে জনমনে।
জনাব জিল্লুর রহমান সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়া কোনো কঠিন কাজ নয়। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তিনি সব সময় সরকারের সুবিধাভোগী একটি শ্রেণীর কাছে বিরাগভাজন ছিলেন। আর সরকারও তাকে পূর্ণসচিবের মর্যাদা না দিয়ে স্থলবন্দরের মতো প্রতিদিন পেরেশানী মোকাবেলা করার মতো স্থানে চেয়ারম্যানের পদে ফেলে রাখা হয়েছে।
জনাব জিল্লুর রহমানের নামে যেমন কোনো অবৈধস্থাপনার নজির নেই তেমনি নগদ অর্থপ্রদান করে তার কাছ থেকে কাজ আদায় করারও কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তিনি বৈধভাবে সরকারী যে গাড়ির মালিক হয়েছেন সেটাও কিস্তিতে প্রতি মাস তার বেতন থেকে সরকার কেটে নিয়ে যায়।