
|| আহমদ কুতুব ||
লণ্ডন, ২৩ মার্চ : সাণ্ডারল্যাণ্ড মসজিদের খতিব, শায়েখ হাফিজ সৈয়দ ইমাম উদ্দিন, ডারলিংটন মসজিদের খতিব শায়েখ মওলানা সৈয়দ ছাবির আহমদ ও লিডস শহরের এক মসজিদের ইমাম মওলানা সৈয়দ মশহুদ আহমদদ্বয়ের চাচা হাফেজ মওলানা মরহুম সৈয়দ আবুল ফজল রহঃ এর দ্বিতীয় ছেলে মলোয়াশিয়া পার্লামেন্টের এমপি সৈয়দ আবু হোসাইন সৈয়দপুরে আসেন।

মালোয়শিয়ার পরিবেশে বেড়ে ওঠা সৈয়দ আবু হোসেন এমপি, প্রায়ই আত্মীয় স্বজনদেরকে দেখতে গ্রামে আসেন এবং মাঝেমধ্যে আত্মীয়-স্বজনকে দেখতে লণ্ডনও সফর করেন।
সম্ভবত এমপি হিসাবে এবারই তাঁর প্রথম সৈয়দপুর গ্রামে আসা। তিনি Pukit gantang perak P050 নির্বাচনী এলাকা থেকে মালয়েশিয়ান পর্লামেন্টের জন নন্দিত এমপি। যার রাজনৈতিক বিচক্ষণতায় মালয়েশিয়া সাংবিধানিক ক্রাইসেস থেকে উত্তীর্ণ হয়ে বর্তমান সরকারের পক্ষে সরকার গঠন করা সম্ভব হয়ছে। যে দল ক্ষমতায় আছে তিনি সে দলের লোক ছিলেন না কিন্তু তাঁর সমর্থন ছাড়া সংখ্যাগরিস্তা অর্জন সম্ভব ছিলো না, দলান্ধতায় যদি ভোট দানে বিরত থাকতেন তাহলে সংসদিয় পদ্ধতি বাঁধাগ্রস্ত হত এবং জনগন ও দেশ আরো বেশি মাত্রায় অস্তিরাতার পথে হাঁটত। দলান্ধতার বাহিরে এসে সিদ্ধান্ত নেয়ায় মালয়েশিয়া ও বর্হিবিশ্বে প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়ে নেন এবং রাষ্ট্রে সাংদীয় ধারা অব্যাহত থাকে। সরকারও তাঁকে সম্মানের সাথে মন্ত্রিত্বে নেয়ার অনুরোধ করেছিলো কিন্তু তিনি মন্ত্রি সভায় অংশ নেননি। বর্তমানে তিনি মৎস্য মন্ত্রনালয়ে মন্ত্রির সমর্যাদার দায়িত্বে আছেন।

দ্বীনদার পরহেজগার ও পরোপকারী মানুষ হিসাবে পরিচিত সৈয়দ আবু হোসাইন বাবা-চাচাদের মত তৃণমূল মানুষকে দ্বীনের পথে ডাকার জন্য তাবলীগ জামাতের সাথে গভীর সম্পর্ক রাখেন ও দাওয়াতি কাজ নিয়ে বহির্বিশ্বে ভ্রমণ করেন। জনশ্রুতি আছে তিনি তাবলিগের সাদপন্থি অর্থাৎ এতেয়াতী বলে পরিচিত।
তাঁরা সাত ভাই। তাঁর বড় ভাই ডাক্তার মরহুম আবু হাসান তরুণ বয়েসে সৈয়দপুর গ্রামে আসেন এবং সিলেট-ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে সর্বাচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তিতে আমেরিকার নেভাদা স্ট্রেইট থেকে ইলেকট্রো মেডিসেনের উপর ডিগ্রী অর্জন করে মালয়েশিয়ায় নিজ ক্লিনিকে ইলেকট্রো মেডিসিন পদ্ধতিতে রুগির সেবা করতেন।
সৈয়দ আবু হোসাইন এমপি সম্প্রতি গ্রামে এসে বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন মাদ্রাসা সৈয়দপুর শামছিয়া আলীয়া ফাজিল মাদ্রাসা দেখতে যান ও ১০ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করেন। আর এক প্রসিদ্ধ মাদ্রাসা সৈয়দপুর দারুল হাদিস হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ১০ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করেন।
তরুণদের প্রতি তাঁর অনুরাগ থাকায় সৈয়দপুরের তরুণদের সংগঠন সাহিত্য পরিষদের সভ্যদেরকে নিয়ে আলোচনা করেন এবং তাঁদের প্রকাশিত সাহিত্য পয়গামের প্রশংসা করেন। তরুণদেরকে সাহিত্য সংস্কৃতির মাধ্যমে দ্বীনি দাওয়াতে উদ্ভুদ্ধ করেন। তাঁর এই সল্পকালিন সফর বাংলাদেশ এবং বর্হিবিশ্বে ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশী তরুণদের জন্য আর্থমানবতার সেবা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞা অর্জনে সহায়ক হোক।