নিউজ

‘আইন উপদেষ্টাকে বলতে হবে মাহমুদুর রহমান জেলে কেন? ‘- লন্ডনে প্রতিবাদ সভায় বক্তারা

সুরমা প্রতিবেদন।। বিশিষ্ট সাংবাদিক, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত সভায় বক্তারা এই দাবি জানিয়েছেন।

আয়োজক সংগঠন গ্লোবাল বাংলাদেশীজ এলায়েন্স ফর হিউম্যান রাইটস (জিবিএএইচআর)’র আহবায়ক ও মুখপাত্র শামসুল আলম লিটনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ড. হাসনাত এম হোসাইন এমবিই।

পূর্ব লন্ডনের সাপ্তাহিক সুরমা অফিসে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও আমার দেশের কলামিস্ট রাকেশ রহমান, মানবাধিকার সংগঠক মোঃ মাহমুদুল হক, প্রবাসী অধিকার পরিষদের সম্পাদক এমএম রহমান শামীম, রাইট কনসার্নের শফিক খান, সলিসিটর মাহবুব তোহা, সিনিয়র কার্ডিও সার্জন ডা. সাইফ কিছলু, মানবাধিকার সংগঠক ইকবাল মিয়াজী সুমন, অখন্ড বাংলাদেশ আন্দোলনের প্রধান ও সাংবাদিক হাসনাত আরিয়ান খান।

ড. হাসনাত এম হোসাইন বলেন, মাহমুদুর রহমানকে জেলহাজতে প্রেরণ বর্তমান সময়ের এক অনাকাঙ্ক্ষিত। রাজনৈতিক হয়রানি ও নিপীড়নমূলক মামলার বন্দোবস্ত করতে ব্যর্থতার দায় বিপ্লবের ফসল এই সরকারকে নিতে হবে। ড.ইউনুসকে জাতিসংঘে বলিষ্ঠ অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ২/১জন বাদে আপনার অন্য উপদেষ্টাদের কাজের মধ্যে বিপ্লবের ধ্যান ধারণার বহি:প্রকাশ একেবারেই অনুপস্থিত। তাই সঙস্কারের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে জোরালো ও কার্যকর মন্ত্রীসভা গঠন করুন। প্রয়োজনে সকল দল ও প্রবাসীদের মধ্য থেকে প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করে ঐক্যবদ্ধ জাতিকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিতে হবে।

শামসুল আলম লিটন বলেন, দু’এক মাসের মধ্যেই এই বন্দোবস্ত শেষ না করতে পারায় নিপীড়িত লক্ষ কোটি মানুষ তথা জাতি বিজয়ের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জরুরী ভিত্তিতে বিশেষ পুলিশ নিয়োগ না করায় মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় আছেন। মানুষকে এঅবস্থায় রেখে কোনো সংস্কার উদ্যোগ সফল হতে পারে না। ‌

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ যে সংবিধানের মাধ্যমে শোষন ও নিপীড়ন চালায়, সেই সংবিধানকে নির্বাসনে পাঠানোর মাধ্যমেই জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। বিপ্লবী জনগণ ঐক্যবদ্ধ রয়েছে, সুতরাং জনগণকে শঙ্কামুক্ত করতে ড. ইউনুসকে আরও কঠোর হতে হবে।

সিনিয়র কার্ডিও সার্জন ডা. সাইফ কিছলু বলেন, পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ ও তাদের পালক প্রতিবেশী শক্তি বসে থাকবে না। তারা তাদের শক্তি সঞ্চয় করে ছোবল মারার চেষ্টা করবে। কিন্তু আমরা কি করছি? ছাত্রদের প্রটোকল দিয়ে ছাত্র শক্তিকে বিভক্ত করে ফেলা হয়েছে। আহতদের জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। গণকবর খুঁড়ে শহীদদের পরিচয় ও পরিবারকে দেখাশোনার ব্যবস্থা করতে হবে।

সলিসিটর মাহবুব তোহা বলেন, আইন উপদেষ্টা ভালো শিক্ষক, ভালো বিশ্লষক, কিন্তু সরকারে তিনি সেভাবে সাফল্য দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। উচ্চ আদালতে ফ্যাসিবাদের দোসররা বসে আছে। তাহলে পরিবর্তন কিভাবে হবে? অনেকে বলছেন, বাংলাদেশ আগের মতই চলছে। হাজারো মানুষ এজন্য রক্ত দেয়নি, চোখ হারায়নি।

ড. আসহাবুল হক বলেন, মনে হচ্ছে কিছু মানুষ তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। মানুষ মনে করছেন, এই লোকগুলোকে দিয়ে বিপ্লবের চেতনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। জাতির বিশ্বাসে সুদৃঢ় আস্থা তৈরি করতে হবে।

প্রবাসী অধিকার পরিষদের সম্পাদক এমএম রহমান শামীম বলেন, ছাত্র সমম্বয়কদের ভুল নির্দেশনা ও তাদের বিভক্ত করার অপচেষ্টা হচ্ছে। ২০১৮ ও ২৪র নেতৃত্বের ঐক্য সময়ের প্রয়োজন।

মাহমুদুল হক বলেন, “যদিও ডঃ. আসিফ নজরুল একজন অত্যন্ত দক্ষ অধ্যাপক এবং মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব হতে পারেন, তিনি একজন অযোগ্য প্রশাসক হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন। যা তার বর্তমান কর্মকাণ্ড দ্বারা প্রমানিত। তিনি এই মূহুর্তে দেশের আতিব জরুরি সংস্কারগুলি বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছেন। উপরন্তু, তিনি মিসক্যারেজ অফ জাস্টিস এলাউ করেছেন। যার উৎকৃষ্ট উদহারণ, মাহমুদুর রহমানের মামলা, বৈষম্যমূলক বিচারের একটি “টেক্সট বুক এক্সাম্পল” সৃষ্টি করলেন।”

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close