বেশি টাকা ছাপতে গিয়ে টাকশালে আগুন- অল্পের জন্য রক্ষা পেল জাতীয় নিরাপত্তা স্থাপনা

বিশেষ প্রতিবেদন।।
লন্ডন, ১০ নভেম্বর; বাংলাদেশের বাজারে স্থানীয় মুদ্রা প্রবাহ অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। গত এক বছরে দফায় দফায় প্রায় দেড় লক্ষাধিক কোটি টাকা ছাপিয়ে সরকারকে ঋণ দেওয়া হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার তীব্র সমালোচনা করেছেন অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদসহ অনেক বড় বড় বিশেষজ্ঞ। কিন্তু সরকার সেটা শুনেনি। বরং প্রধানমন্ত্রী সরকারকে নসিহত না করার জন্য এসব অর্থনীতিবিদকে পাল্টা আক্রমণও করেছেন।
জানা গেছে, বেশি টাকা ছাপতে গিয়ে ও মেশিনের প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে গত ২৬ অক্টোবর নাম্বারিং মেশিনে আগুন লেগেছে বলে সাপ্তাহিক সুরমা নির্ভরযোগ্য সূত্রে খবর পেয়েছে। অল্পর জন্য রক্ষা পেয়েছে প্রায় বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের জাতীয় স্থাপনা। টাকশাল অর্থাৎ বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস দেশের অন্যতম প্রধান জাতীয় নিরাপত্তা স্থাপনা (কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন)। এই জাতীয় প্রতিষ্ঠানের রক্ষণাবেক্ষণের অভাব এবং অপরিমিত ব্যবহার নিয়ে অভিজ্ঞ মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।


যে মেশিনটি পুড়েছে তা মাত্র তিন বছর আগে ৫ মিলিয়ন ডলারে কেনা হয়েছিল। একটি বিশেষজ্ঞ সূত্র বলেছে, এ ধরনের উচ্চ কারিগরি প্রযুক্তি সম্পন্ন মেশিন অগ্নিকাণ্ড কোন সাধারণ ঘটনা নয়। মেইন্টেনেন্স বা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বহীনতার কারণে শীর্ষস্থানীয় বহু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি ছিল। এমনকি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা থাকলেও রহস্যজনক কারণে কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হয়নি।
এ ঘটনার সত্যতা জানতে টাকশালের নির্বাহী প্রধান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মিঃ ফোরকান হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনার কয়েকদিন পর বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক গভর্নর আব্দুর রউফ অগ্নিকাণ্ডস্থল পরিদর্শন করেন ও কর্তব্যরত কর্মচারীদের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থার ফলে এই জাতীয় প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি ভষ্মীভূত হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়ায় গভর্নর তাদের ধন্যবাদ জানান।