নিউজ

ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত আক্রান্ত

** কোনো মামলা-গ্রেফতারের খবর নেই
** নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন কূটনীতিকরা
** ওয়াশিংটনেও তোলপাড়
** “সরকারের ধারাবাহিক উস্কানির ফল”
** ৪বছরেও বার্নিকাটের উপর হামলার বিচার শেষ হয়নি

|| ঢাকা অফিস ||
ঢাকা, ১৫ ডিসেম্বর : ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের গাড়িতে আওয়ামীলীগ কর্মীরা হামলা চালায়। ওই ঘটনার বিচার ৪ বছরেও শেষ হয়নি এবং দূতাবাস থেকে দেয়া তালিকার প্রধান আসামিদের মামলার বাইরে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

জানা গেছে, গুমের শিকার সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাসা ওই এলাকার লোকদের অত্যন্ত পরিচিত। কারণ তিনি গুম হবার পর থেকে বহু আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, কূটনীতিক ও সাংবাদিক এই বাড়িতে এসেছেন। এই বাসায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত আসছেন—এমন খবরে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জানতে পেরে তারা ও তাদের সমর্থিত ‘মায়ের কান্না’ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে কিছু মানুষ সেখানে জড়ো হন। ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের ফাঁসি, কারাদণ্ড, চাকরিচ্যুত সদস্য ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সংগঠন ‘মায়ের কান্না’। তাঁরা বাসার সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাসায় ঢোকার মুখে তাঁরা প্ল্যাকার্ড তুলে ধরেন। তিনি চলে যাওয়ার সময় হট্টগোল হয়।

প্রায় আধা ঘণ্টা তিনি সেখানে অবস্থান করেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের বাংলাদেশ ডেস্কের অফিসার লিকা জনসন।

সাজেদুলের বোন সানজিদা ইসলাম গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের নিয়ে গঠিত সংগঠন ‘মায়ের ডাক’–এর সমন্বয়কারী। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস আসবেন জেনে তেজগাঁও থানার ওসি অপূর্ব হাসানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল দুই দিন (মঙ্গলবার ও বুধবার ) আমাদের বাসায় আসেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূত আমাদের বাসায় প্রবেশের ৪০ মিনিট আগে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা–কর্মী ও মায়ের কান্না সংগঠনের লোকজন রাস্তার ওপর অবস্থান নেন।”

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close