কাউন্ট ডাউন ১০ ডিসেম্বর

রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির মহাসমাবেশ সকাল ১১টা থেকে শুরু

লণ্ডন, ১০ ডিসেম্বর: বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ শনিবার রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে সকাল ১১টা থেকে শুরু হবে বলে শুক্রবার (০৯ ডিসেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। খন্দকার মোশাররফ বলেন, জনগণের আন্দোলনের সামনে সব স্বৈরাচার নতি স্বীকার করতে হয়েছে। ইতিহাস তাই বলে। বর্তমান সরকারকেও জনগণের দাবির সামনে ইনশাআল্লাহ, নতি স্বীকার করতে হবে। এটা আমাদের প্রত্যাশা। যারা ভবিষ্যতে আমাদের সাথে যুগপৎ আন্দোলনে থাকবেন। আগামীকালের সমাবেশে তারা শান্তিপূর্ণভাবে উপস্থিত থাকবেন এবং ঢাকার সকল পর্যায়ের জনগণকে সমাবেশে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। গোলাপবাগের সমাবেশ থেকে সরকারের বিরুদ্ধে ১০ দফা রূপরেখা ঘোষণা করা হবে।

শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে গোলাপবাগ মাঠ পরিদর্শন করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক আমান উল্লাহ আমানসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ। এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে রাজধানীর পরিত্যক্ত গোলাপবাগ মাঠ কার্যত ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে গেল। সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডের পাশের এই মাঠের দিকে এখন দেশি-বিদেশি সবার চোখ। ওই মাঠে বিএনপির সমাবেশ নিয়ে তাদের সবার মধ্যে কৌতুহল। গুরুত্বহীন মাঠটি এরই মধ্যে মাঠটি হাজার হাজার মানুষের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে। নানা নাটকীয়তা, বাকযুদ্ধ, সংঘাত-সংঘর্ষ, গুলি, হামলা-মামলা, গ্রেফতারের পর এই মাঠে বিভাগীয় সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। গোলাপবাগ মাঠে সরজমিনে দেখা যায়, হাজার হাজার নেতাকর্মী মাঠে উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন ধরনের শ্লোগানে মুখরিত করে রেখেছেন। উপস্থিত সিংহভাগ নেতাকর্মীই কয়েকদিন আগে থেকেই ঢাকায় অবস্থান করছেন। সমাবেশে যোগদান করতে লাখো মানুষ ঢাকার পথে আছেন। সকাল ১১টার আগেই সমাবেশ স্থলে তারা পৌছতে পারবেন বলে আশা করছেন।

এ উপলক্ষে আমান উল্লাহ আমান বলেন, টালবাহানা করে পুলিশ বিকেলে অনুমতি দিয়েছে। জনস্রোত ঠেকাতেই সরকার হামলা-মামলা করেছে। কারাবন্দি সকলের মুক্তি চাই, হামলা-মামলা করে জনস্রোত থামানো যাবে না। কাল সমাবেশেই উচিত জবাব দেয়া হবে। ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর বিনা উসকানিতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমবেত নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ, র‌্যাব, সোয়াট বাহিনী ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান একযোগে আক্রমণ করে খুন ও অসংখ্য নেতাকর্মীকে আহত করে। তাদের গুলি ও টিয়ারগ্যাস ছোড়ার পরিমাণ এতই বেশি ছিল যে মনে হয়েছে যেন যুদ্ধ চলছে। নিরস্ত্র রাজনৈতিক কর্মীদের ওপর এমন নির্মম আক্রমণ ও জুলুম নজিরবিহীন। তারা দলের মহাসচিবকে তার অফিসে ঢুকতে দেয়নি; কিন্তু নিজেরা ঢুকে অফিসের কক্ষ, আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, হার্ডডিক্স, নগদ অর্থ ও অন্যান্য দ্রব্যাদি নিয়ে গেছে। নিজেরা ব্যাগে করে বোমা অফিসের ভেতর নিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে যে, ওইগুলো অফিসে পাওয়া গেছে। কিন্তু সাংবাদিকদের চোখে তা ধরা পড়েছে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তা প্রচার হয়েছে। এমন ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের নিন্দা করার ভাষ্য আমাদের জানা নেই। তিনি আরও বলেন, একই দিনে অফিসের ভেতর ও বাইরে থেকে দলের অনেক সিনিয়র নেতাসহ প্রায় ৫০০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়। এমনকি গ্রেফতারকৃত অনেক আহত নেতাকর্মীকে উপযুক্ত চিকিৎসার সুযোগ পর্যন্ত দেয়া হয়নি। এমন নির্মমতা শুধু অনির্বাচিত সরকারের অনুগত কোনো দলীয় বাহিনীর পক্ষেই সম্ভব। আমরা সব নেতাকর্মীর মুক্তি এবং তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দাবি করছি।

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close