কাউন্ট ডাউন ১০ ডিসেম্বর

চলো চলো ঢাকা চলো, অন্ধকারে পায়ে হেঁটে ঢাকার পথে লাখো মানুষ

লণ্ডন, ১০ ডিসেম্বর: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে রাতের অন্ধকারে লাখো মানুষ পায়ে হেটে রাজধানীতে প্রবেশ করেছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে রাত অবধি এমন দৃশ্য দেখা গেছে ঢাকা-আরিচা, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে।

বিএনপির মহাসমাবেশে মানুষের অংশগ্রহণ সীমিত রাখতে, মানুষের পথ আটকে দিতে সরকার মোড়ে মোড়ে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়েছে। সেইসাথে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্র লীগের কর্মীদের মাঠে নামিয়েছে। বিভাগীয় গণসমাবেশ ঘিরে বৃহস্পতিবার থেকে দূরপাল্লার যান চলাচল কমিয়ে দেয়া হয়েছে। পরিবহন চলাচল সীমিত রেখেছে। তারপরেও রাতের অন্ধকারে লাখো মানুষ নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে পায়ে হেটে রাজধানীতে প্রবেশ করেছেন।

মাদারীপুরের শিবপুর থেকে আগত ছাত্রদল নেতা আমিনুল জানান, বিএনপি করার অপরাধে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আমার বাড়িঘর আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। জীবনের আর কোনো মায়া নেই, শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও এ সরকারের পতন ঘটাবো ইনশাআল্লাহ। জামালপুরের সরিষাবাড়ি থেকে আগত এক বৃদ্ধ জানান, আমি বিএনপির কোনো পদ পদবিতে নেই। তবে, এ সরকার পতনের সমাবেশে উপস্থিত থাকা আমার নৈতিক দায়িত্ব বলে আমি মনে করি।

এদিকে পরিবহন সঙ্কটের কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকেও। গণপরিবহন না থাকায় দীর্ঘক্ষণ সড়কে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে যাত্রীদের। ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। বাস্তবে তা দেখা যাচ্ছে না। রাজধানীর মহানগর নাট্য মঞ্চ এলাকায় অনেক গণপরিবহন এনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে।

রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলটিকে প্রতিহত করতে পুরো দমে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী লীগ ও পুলিশ লীগ। রাস্তার মোড়ে পুলিশের তল্লাশি এখন মানুষের কাছে অসহ্য হয়ে উঠেছে। চেক পোস্ট দিয়ে যারা ঢাকায় ঢুকার চেষ্টা করছেন, তাদের অনেককেই পুলিশ আটকিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। কারো কারো মোবাইল ফোনে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ম্যাসেঞ্জারও পুলিশ চেক করছেন। কেন ঢাকায় যাচ্ছে, কি কারণে এসব বিষয় জানতে চাওয়া হচ্ছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন।

একাধিক যাত্রী অভিযোগ করেছেন, সঙ্গত কারণ জানাতে না পারায় তাদের ঢাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close