কাউন্ট ডাউন ১০ ডিসেম্বর

যুবদল সভাপতি টুকুসহ গত তিন দিনে বিএনপির ৭৭৬ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

লন্ডন, ৪ ডিসেম্বর: জাতীয়তাবাদী যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ গত তিন দিনে সারা দেশে বিএনপির ৭৭৬ জন নেতাকর্মীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারের বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, সরকার আমাদের ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে উম্মাদ ও হিংস্র হয়ে গেছে। তারা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের কারাবন্দী করতে গণগ্রেফতার শুরু করেছে। পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে হয়রানি করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কো-অপারেটিভ ফ্যাসিজম রূপে আত্মপ্রকাশ করেছে। বিরোধী দল ও মতের মানুষের স্বাধীন কণ্ঠস্বরকে নিবৃত্ত করতেই বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে গায়েবি মামলা ও গণগ্রেপ্তার চালিয়ে যাচ্ছে। রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত বিএনপির গণসমাবেশ থেকে ঢাকায় ফেরার পথে সাভারের আমিনবাজার থেকে জাতীয়তাবাদী যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় টুকুর সাথে থাকা যুবদলের সহসভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি জাভেদ হাসান স্বাধীন এবং টুকুর ব্যক্তিগত সহকারী মোখলেসুর রহমানকেও আটক করেছে। সারা দেশে বিএনপির ৭৭৬ জন নেতাকর্মীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেফতার করেছে। মিথ্যা ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে হাস্যকর মামলা দায়ের করা হচ্ছে। অক্ষত গাড়ি, অথচ মামলা দায়ের হচ্ছে ভাঙচুরের। ছাত্রলীগ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা মিছিল করে নিজেরা ককটেল ফাটিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা করছে। কোনো ঘটনা না ঘটলেও ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাদের প্ররোচনায় মিথ্যা মামলা দায়ের হচ্ছে সমানতালে। অর্থনৈতিক ধাক্কা ও দুঃশাসনের কারণে বর্তমান সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে বেসামাল হয়ে পড়েছে। তাই, ছলে-বলে কৌশলে ক্ষমতা ধরে রাখতে দেশজুড়ে পুলিশ ও তাদের কর্মীদের দিয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে। কিন্তু কোনো কিছুই এই সরকারের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে পারবে না। এই সরকারের অত্যাচার এবং অবিচার এমন পর্যায়ে চলে গেছে তা থেকে দেশবাসীকে মুক্ত করতে হলে প্রয়োজন একটি গণঅভ্যুথান। একটি গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।

আগামী ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনেই বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হবে, উল্লেখ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চারদিক থেকে ঘেরা একটা খাঁচার মতো, সেখানে বিএনপি নেতা-কর্মীরা নিরাপদ মনে করছেন না। নয়াপল্টনকেই তারা নিরাপদ মনে করছেন। সরকার বা পুলিশের পক্ষ থেকে যাই বলা হোক না কেন, বিএনপির ১০ ডিসম্বরের ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ নয়াপল্টনেই হবে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ অবিলম্বে টুকুসহ গ্রেফতারকৃত সকল নেতা কমীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close