নিউজ

সীমাহীন লুটপাটে খালি রাষ্ট্রীয় কোষাগার, দুর্ভিক্ষের সম্ভাবনা!

 ।। বিশেষ প্রতিবেদন ।।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তার বিভিন্ন বক্তব্যে দুর্ভিক্ষের সম্ভাবনার কথা বলছেন। ২০২৩ সালে সম্ভাব্য খাদ্য ঘাটতির আশংকায় এখনই নানা ধরনের সতর্কবাণী উচ্চারণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতেও খাদ্য সংকট জোরালো হবার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, আগামীতে যে অবস্থা আসছে, দিনেও বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে না। আমাদের রিজার্ভের যে অবস্থা, আমরা জানি না সামনে কী হবে। এলএনজি এখন আমরা আনছি না। ২৫ ডলার দাম ধরেও যদি এলএনজি আমদানি করতে যাই, চাহিদা মেটাতে অন্তত ৬ মাস কেনার মতো অবস্থা আছে কি না জানি না। আমাদের এখন সাশ্রয়ী হওয়া ছাড়া উপায় নেই। প্রয়োজনে দিনের বেলায় সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধই করে দিতে হবে।

এ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাতকারে আমার দেশ সম্পাদক ও সাবেক জালানি উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বাংলাদেশের একজন নামকরা দুর্নীতিবাজ। ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে আমরা একটা সংবাদ পেয়েছিলাম একটি দুর্নীতির বিষয়ে। এটা নিয়ে তদানীন্তন সচিব ও পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের মধ্যে তখন চিঠি চালাচালি চলছিলো। শেভরন নিয়ে তাদের মাঝে আলোচনা চলছিলো। যখন আমার কাছে এই কাগজগুলো এসেছিলো, তখন আমরা এই সংবাদটি প্রকাশের সিদ্বান্ত নিই। এই সংবাদটি ছাপানোর পরেই শেখ হাসিনা আমার ওপর ঝাপিয়ে পড়েছিলেন। শুধু ২০০৯ সালেই নয়, ১৯৯৬ সাল ও ২০০১ সালেও নাইকো দুর্নীতি মামলায় প্রধান আসামি ছিলেন শেখ হাসিনা এবং এই তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। তারা দু’জনেই নাইকো দুর্নীতির সাথে জড়িত ছিলেন। ১/১১ এর সরকারও এই দু’জনের বিরুদ্বে মামলা করেছিলেন। হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে আদালতকে ব্যবহার এই মামলাগুলো উঠিয়ে নেয়। তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী আজ থেকে দুর্নীতিবাজ না। তাঁর ইতিহাস হচ্ছে দুর্নীতির ইতিহাস। আজকে ১৪ বছর ধরে এই লোকটি অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর জালানি উপদেষ্টা। আমি জালানি উপদেষ্টা ছিলাম মাত্র দেড় বছরের জন্য। ওই সময়ই জালানি মন্ত্রাণালয় থেকে দুর্নীতি দুর করা হয়েছিলো। আমি আসার সময় প্রচুর টাকা ওদের এফডিআর হিসেবে রেখে এসেছিলাম। অথচ ১৪ বছর ধরে ওখানে থেকে তিনি বাংলাদেশের জালানি খাতকে ধ্বংস করেছেন। এখন সেখানে কোন টাকা নেই। পুরো টাকাটাই তিনি আর শেখ হাসিনা মেরে দিয়েছেন। বাংলাদেশের সকল সম্পদ এই লুটেরারা লুট করে নিয়েছেন। এখন বলছেন, এলএনজি কেনার পয়সা নাই। চাহিদা মেটাতে অন্তত ৬ মাস কেনার মতো অবস্থা আছে কি না জানি না। অর্থাৎ তাদের উন্নয়নের গল্প ছিলো পুরোটাই গালগল্প। উন্নয়নের নামে তারা এই দেশকে ধ্বংস করেছে। তারা যতদিন ক্ষমতায় থাকবে এই রাষ্ট্রব্যবস্থা ভেঙে পড়তে থাকবে। প্রতিদিন এই দেশ পিছিয়ে যাচ্ছে, প্রতি ২৪ ঘন্টায় এই দেশ পিছিয়ে যাচ্ছে। এখন প্রয়োজন সর্বাত্বক অসহযোগ।’

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close