পাওয়ার অব এটর্নী জটিলতা: প্রবাসীদের জন্য নয়া দুঃসংবাদ
হয়রানিমূলক সার্কুলার বাতিলের দাবী
।। বিশেষ প্রতিবেদক ।।
লণ্ডন, ৮ অক্টোবর : এখন থেকে পাওয়ার অব এটর্নি পেতে ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের হালনাগাদ পাসপোর্ট দেখাতে হবে। নো ভিসা রিকোয়ার্ড সিল এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত হবে না। সম্প্রতি হাইকমিশন সরকারের বরাত দিয়ে এই প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রবাসীদের জন্য ধারাবাহিক দুঃসংবাদের তালিকায় এটি হচ্ছে সর্বশেষ সংযোজন, নয়া দুঃসংবাদ।
নতুন এই প্রজ্ঞাপন জারির পর পাওয়ার অফ এটর্নী পাওয়া কষ্টকর এমনকি অসম্ভব ও হতে পারে বলে মনে করছেন আইনজীবী ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ। খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, বেশিরভাগ বাংলাদেশী ব্রিটিশ তাদের ট্রাভেল ডকুমেণ্ট হিসেবে একটি পাসপোর্ট ব্যবহার করেন। জন্মসনদ কিংবা পুরনো বাংলাদেশি পাসপোর্ট কিংবা পিতা মাতার নাগরিকত্বের সুবাদে সকল ব্রিটিশ বাংলাদেশী তাদের ব্রিটিশ পাসপোর্টে নো-ভিসা রিকোয়ার্ড সিলটি নিয়ে থাকেন।
একজন আইনজীবী তার পেশাগত অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, অন্তত: ৮০ থেকে ৯০ ভাগ ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের বাংলাদেশ পাসপোর্ট নবায়ন কিংবা হালনাগাদ অবস্থায় নেই। কারণ এটা তাদের করা প্রয়োজন হয় না এবং নতুন পাসপোর্ট পেতে দুই মাস থেকে ছয় মাস এবং কোন কোন ক্ষেত্রে এক বছর পর্যন্ত সময় লাগে। এসব কারণে পাসপোর্ট পাওয়ার ক্ষেত্রে অথবা নবায়ন করতে লোকজন আগ্রহী হন না। এ অবস্থায় নতুন নিয়মের প্রেক্ষিতে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য, জায়গা জমি অথবা যে কোন স্থাবর অস্থাবর সম্পদ দেখাশোনা, বিক্রি সকল ক্ষেত্রেই জটিলতা দেখা দিবে।
এ ব্যাপারে ব্যারিস্টার নাজির আহমেদ, যিনি ইমিগ্রেশন ছাড়াও কমিউনিটি বিষয়ে অভিজ্ঞ, তাঁর মতে, এই নতুন নিয়মটি যে কারণেই করা হোক না কেন প্রায় সকলের জন্যই এটা ক্ষতিকর হবে। দেশে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের নিরাপত্তা এমনিতেই বিঘ্নিত তার উপর পুরোপুরি অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। প্রভাব পড়বে রেমিটেন্স প্রবাহের উপর এবং দেশের সঙ্গে যোগাযোগ ও প্রবাসীদের সম্পর্কের উপর।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশীজের চেয়ার ডঃ হাসনাত এম হুসেইন, এব্যাপারে পৃথক এক বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশে প্রবাসীদের জন্য পরিস্থিতি আরো জটিল করা হলো। তাঁর মতে, এই নতুন নিয়ম প্রবাসীদের কাছে ভুল বার্তা দেবে। তিনি এ ব্যাপারে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এই অপ্রয়োজনীয় বিধান জরুরী ভিত্তিতে সংশোধনের আহ্বান জানান।