নিউজ

প্রবাসীদের সম্পদ লুটে নেয়ার চেষ্টা

ইন্সুরেন্স কোম্পানীর ৭ প্রবাসী পরিচালককে ২৭ মামলায় গ্রেফতার

।। সুরমা প্রতিবেদন ।।
লণ্ডন, ২৯ সেপ্টেম্বর : বাংলাদেশে আবারও প্রবাসী হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ব্যবসায়িক কাজে সম্প্রতি বাংলাদেশে গিয়ে ‘রহস্যজনক’ গ্রেফতারের শিকার ১ সপ্তাহ ধরে জেলহাজতে রয়েছেন ৭ বৃটেন-প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। তারা সবাই বাংলাদেশস্থ হোমল্যাণ্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের পরিচালক। তাদের এই গ্রেফতারের সংবাদে ব্রিটিশ-বাংলাদেশী কমিউনিটিতে এবং স্বজনদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। গ্রেফতারের ধরণ বিশ্লেষণ করে সচেতন মহলের অনেকেই মনে করছেন এই প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের ফাঁসিয়ে দেশীয় বিনিয়োগকারীরা ব্যবসা হাতিয়ে নিতেই এমনটি করতে পারেন। কারণ কোম্পানীটির মোট ১১ পরিচালক থাকলেও মামলা ও ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়েছে কেবল প্রবাসী এই ৭ পরিচালকদের বিরুদ্ধে এবং কোম্পানীটির এজিএম থেকে সম্পূর্ণ অজ্ঞাতেই তাদের গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া কোম্পানীর সম্পূর্ণ দেখভাল ও পরিচালনাকারী বর্তমান চেয়ারম্যান এবং এমডিকে বাদ দিয়ে পরিচালক ও ইনভেস্টরদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ও গ্রেফতারে আইনী ভিত্তি নেই বলে মনে করছেন আইনজীবিরা।

বৃটেন-প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের এভাবে গ্রেফতারের সংবাদে বৃটেনের বাংলাদেশী কমিউনিটিতে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। ব্রিটিশ-বাংলাদেশী শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে লণ্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে চিঠি লিখে বাংলাদেশ সরকারের কাছে উদ্বেগ তুলে ধরে বিষয়টি খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া বিষয়টি সম্পর্কে করণীয় এবং বিস্তারিত তুলে ধরতে বৃহস্পতিবার সবগুলো ব্যবসায়ীক সংগঠনের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
গত ২১ সেপ্টেম্বর কোম্পানির বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিতে বৃটেন থেকে দেশে যান এই সাত প্রবাসী পরিচালক। অংশ নেন কোম্পানির এজিএম-এ। সেখান থেকেই আচমকা তাদের ধরে নিয়ে যায় মতিঝিল থানা পুলিশ। এরপর আদালতের মাধ্যমে পাঠানো হয় কারাগারে। মাগুরায় দায়ের করা কথিত প্রতারণার মামলায় তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা তামিল করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। একসঙ্গে প্রবাসী এই ৭ উদ্যোক্তাকে গ্রেপ্তারে তোলপাড় চলছে দেশে-বিদেশে।

গ্রেপ্তারকৃত ৭ ব্যবসায়ী হলেন— সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার বাসিন্দা জামাল মিয়া ও তাঁর ভাই কামাল মিয়া, বিশ্বনাথের আবদুল আহাদ ও তাঁর ভাই আবদুল হাই, ছাতকের জামাল উদ্দিন এবং শাহ্জালাল উপ-শহরের আবদুর রাজ্জাক ও আব্দুর রব। তাদের মধ্যে জামাল মিয়া কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান ও বাকি সবাই পরিচালক।
সম্প্রতি মাগুরা আদালতে গ্রেপ্তার ব্যবসায়ীসহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে পৃথক ৪টি মামলা করা হয়। সিআর মামলা নং— ২২৭/২২,২২৮/২২,২২৯/২২,২৩০/২২। ধারা নং ৪০৬ ও ৪২০ দণ্ডবিধি। মাগুরা জেলার সদর উপজেলার সৈয়দ মোফাক্কার আলী, একই উপজেলার বুধইরপাড়ার মো. আজর আলী, ওই উপজেলার ছয়চার গ্রামের মো. নায়েব আলী ও পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার সড়াবাড়ীয়া গ্রামের মো. হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে এসব মামলা করেন। আদালত মামলাগুলো আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

প্রবাসীদের এভাবে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে গ্রেফতারকৃতদের স্বজনসহ ব্রিটিশ-বাংলাদেশী কমিউনিটিতে। সরকার যেখানে প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে আসছে সেখানে এই বিনিয়োগকারীদের এভাবে গ্রেপ্তার কী বার্তা দিচ্ছে সেই প্রশ্ন অনেকের। ঘটনাটি স্রেফ মামলা এবং গ্রেপ্তার হিসেবে দেখছেন না অনেকে। ৯৬ সালে অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানটি দখল করে নিতেই এই কৌশল নিয়েছে কোনো একটি পক্ষÑ ইতোমধ্যে এমনটি ওঠে এসেছে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদে।

সাপ্তাহিক সুরমার সাথে আলাপকালে ব্রিটিশ-বাংলাদেশী বিশিষ্টজনেরা দেশে প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের এভাবে হেনস্থা করার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবী করেছেন। একই সাথে তারা প্রবাসীদের এভাবে বারবার হয়রানী ভবিষ্যতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাছাড়া ভবিষ্যত প্রজন্মকে বাংলাদেশে বেড়াতে যাওয়া এবং বিনিয়োগে নিরুৎসাহীত করবে বলেও মন্তব্য করেছেন তারা। তাদের অনেকের ধারণা কোম্পানি সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবী বর্তমান চেয়ারম্যান এবং এমডি এর নেপথ্যে রয়েছে। তা না হলে কোম্পানির লেনদেনের বিষয়ে কেউ মামলা করলে বর্তমান চেয়ারম্যান এবং এমডি’র বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার কথা। তা না করে প্রবাসে থাকেন এমন ৭ উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে মামলা করা এবং গ্রেফতারী পরোয়ানা হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করে যারা ডে টু ডে বিজনেস পরিচালনা করেন তাদের বাদ দিয়ে কেন শুধুমাত্র প্রবাসী ডাইরেক্টদের আসামী ও গ্রেফতার করা হলো? সেই প্রশ্নও রাখেন তারা।

ইউকেবিসিসিআই‘র প্রতিষ্ঠা সভাপতি, বিশিষ্ট ক্যাটারার্স বজলুর রশীদ এমবিই বাংলাদেশে গ্রেফতারের শিকার ব্রিটিশ-বাংলাদেশী বিনিয়োগকারীদের কমিউনিটির বিশিষ্টজন ও সফল ব্যবসায়ী আখ্যায়িত করে বলেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে— ক্লিন ইমেজের অধিকারী এই ব্যবসায়ীরা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। তিনি বলেন, সরকার আমাদের বিনিয়োগের জন্য ডাকে তাই আমরা সাড়া দিয়ে ইনভেস্ট করে থাকি। সাম্প্রতিক এই ঘটনায় ভূক্তভোগী প্রবাসীদের রেপুটেশনের যে মারাত্মক ক্ষতি হলো সেটির কী হবে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এই অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে আর কেউ বিনিয়োগে উৎসাহী হবে না।

বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশনের (বিসিএ) সভাপতি, বিশিষ্ট কমিউনটি নেতা আব্দুল মুনিম ওবিই ঘটনাটির তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা প্রবাসীদের বিনিয়োগে নিরুৎসাহীত করবে। ভবিষ্যতে আমাদের সন্তানরা বাংলাদেশে যেতে ভয় পাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনী সুরক্ষার বিষয়টি সরকারের গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা উচিৎ। বারবার প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের হয়রানী সরকার ও দেশের জন্য নেতিবাচক ধারণার জন্ম দেবে মন্তব্য করে দেশীদের বাদ দিয়ে শুধু প্রবাসীদের নামে কেইস ও তাদের গ্রেফতারেও বিস্ময় প্রকাশ করেন আব্দুল মুনিম ওবিই। তিনি সরকারের প্রতি প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করারও দাবী জানান।

সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম দেশে ৭ প্রবাসীর গ্রেফতারের বিষয়টি প্রথমে বৃটেনের বাংলাদেশী কমিউনিটির নজরে আনেন। ঘটনাটিকে তিনি ন্যাক্কারজনক মন্তব্য করে বলেন, দেশে প্রতারণার শিকার হওয়ার পর সহজে কোনো হেল্প মিলে না। এভাবে প্রবাসীদের গ্রেফতারের ঘটনা বাংলাদেশে প্রবাসী বিনিয়োগ বাধাগ্রস্থ করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের উচিৎ এনআরবিদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা। এক সপ্তাহ থেকে জেলে থাকা প্রবাসীদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, খুন, ধর্ষণের মতো বড় কোনো অপরাধ ছাড়া প্রবাসীদের বিরুদ্ধে মামলা বা গ্রেফতারী পরওয়ানা জারির আগে প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নেয়া উচিৎ।

দেশে গ্রেফতারের শিকার হোমল্যাণ্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানীর অন্যতম দুই পরিচালক আব্দুল হাই ও আব্দুল আহাদের ভাই আব্দুল ওয়াদুদ সাহেলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সুরমাকে জানান, বুধবার গ্রেফতারকৃতদের মাগুরায় নেয়া হয়েছে। এখানো ভাইদের সাথে কথা হয়নি তাঁর। তবে দেশে থাকা তাদের চাচাতো ভাই বিষয়টি তদারকি করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর দেশে গিয়েছিলেন তাঁর ভাই আব্দুল হাই ও আব্দুল আহাদ। ২১ সেপ্টেম্বর কোম্পানীর বোর্ড মিটিংয় যোগ দিতে তারা ঢাকায় গিয়েছিলেন এবং ওইদিনই বিকালে তাদের গ্রেফতার হওয়ার খবর পান। তিনি আরো বলেন, কোম্পানীর ব্যবস্থাপনায় যে প্রবলেম হওয়ার বিষয় তারা জানতেন কিন্তু এভাবে যে তাঁরা ফেঁসে যাবেন তা বুঝেননি।

ঘটনাটি সম্পর্কে বিশদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ট্যাবলয়েড দৈনিক মানবজমিন। তাদের সূত্র মতে, কোম্পানির একটি বড় অংশের শেয়ার প্রবাসী উদ্যোক্তাদের হাতে। তাদের সরিয়ে দেয়ার জন্যই এই মামলার কৌশল নেয়া হয়েছে। আসামি পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট শফিকুজ্জামান বাচ্চু মানবজমিনকে জানিয়েছেন, এই মামলার কোনো ভিত্তি নেই। প্রবাসী উদ্যোক্তাদের এভাবে গ্রেপ্তারও ঠিক হয়নি। কারণ মামলা হলে বর্তমান চেয়ারম্যান এবং এমডি’র বিরুদ্ধে হওয়ার কথা। বিষয়টি আদালতকে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার আদালত প্রবাসীদের জামিন মঞ্জুর করতে পারেন। তিনি বলেন, এই মামলা টিকবে না। এটি খারিজ হয়ে যাবে। সিনিয়র এই আইনজীবী মনে করেন এই মামলার পেছনে অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে।

মানবজমিনের প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, যেখানে সরকার বিনিয়োগের আহ্বান জানাচ্ছে সেখানে এই ঘটনা প্রবাসীদের জন্য নতুন এক বার্তা। কোম্পানির একাধিক সূত্রের দাবী সাবেক চেয়ারম্যান এনাম উদ্দিন আহমেদ এর মৃত্যুর পর থেকেই প্রবাসী পরিচালকদের কোনো ধরনের আর্থিক হিসাব দেয়া হচ্ছে না। তারা হিসাব চাইলেও বর্তমান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ নানা তালবাহানা করেন। সর্বশেষ ২১ সেপ্টেম্বর হিসাব দেয়ার কথা বলে বার্ষিক সম্মেলনে ডেকে আনা হয় প্রবাসী পরিচালকদের। ওইদিনই তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযোগ আছে, কোম্পানির নানা অনিয়ম, মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও গ্রাহকের টাকা পরিশোধ না করাসহ আরও বেশকিছু ইস্যুতে এই পরিচালকরা প্রবাসে থেকেও সোচ্চার ছিলেন। কোম্পানির ব্যবস্থাপনায় নানা অনিয়ম ছিল। শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্তি নিয়েও অনিয়মের অভিযোগ আছে। অন্যদিকে শীর্ষ পদস্থরা কোম্পানির একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করছিলেন। প্রবাসী পরিচালক হওয়াতে তাদের না জানিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে অনিয়ম করে যাচ্ছিলেন শীর্ষ কর্মকর্তারা। এসব বিষয়ে ওই পরিচালকরা প্রতিবাদ করতেন। তাই কৌশলে পথের কাঁটা সরাতে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে তাদের মামলার আসামি করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

অনেকেই বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত মানবজমিনকে বলেছেন, ঘটনাটি পরিকল্পিত। মূলত হোমল্যাণ্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিটি দখল ও একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করার জন্য একটি চক্র এই পরিকল্পনা সাজিয়েছে। তাই বিলেত প্রবাসীরা এ ঘটনার সুষ্ঠু দাবি করেছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যদি পরিকল্পিতভাবে ওই ব্যবসায়ী ও প্রবাসীদের সঙ্গে এ রকম কিছু করা হয় তবে দেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অন্যান্য প্রবাসীরা নিরুৎসায়িত হবেন।

৪ মামলার এজাহারেই মাগুরা জেলার শালিখা থানাধীন আড়পাড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের অধীন বীমা গ্রাহকদের পলিসির টাকা আত্মসাৎ করে প্রতারণামূলকভাবে বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়। মামলায় কোম্পানির চেয়ারম্যান, এমডি, জিএমসহ অন্য কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়নি। এমনকি মামলার বাদীরা রহস্যজনকভাবে এসব কর্মকর্তার সম্পর্কে কোনো কথা বলতে রাজি নন। এ বিষয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী শফিকুজ্জামান বাচ্চু বলেন, মামলা হলে শালিখা শাখার ব্যবস্থাপক প্রথম আসামি হওয়ার কথা। তা না করে প্রবাসীদের আসামি করা উদ্দেশ্যমূলক। দেশে ফিরেই তারা ঢাকায় চলে যান।

উল্লেখ্য, যে ৭ প্রবাসী গ্রেপ্তার হয়েছে তারা বিভিন্নভাবে বৃটেন ও সিলেটের সামাজিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ব্রিটিশ-বাংলাদেশী কমিউনিটির লিডার হিসেবে পরিচিত। জামাল মিয়া ও কামাল মিয়া এই দুই ভাই নর্থ লণ্ডনের বাসিন্দা। তারা প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী কারো সাথে তারা কখনোই কারও সঙ্গে বিরোধে জড়ানোর প্রমাণ নেই। সিলেট শহরে বাসা হলেও গ্রামের বাড়ির মানুষের সুখে দুঃখে সব সময় পাশে থাকেন। বিশ্বনাথের প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্টের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই এবং তাঁর ভাই আব্দুল আহাদ মিল্টনকিংসে বসবাস করেন। বিখ্যাত জয়পুর রেস্টুরেন্টের মালিক তারা। সিলেট ও লণ্ডনে অঢেল সম্পদ রয়েছে তাদের। জামাল উদ্দিন মকদ্দুছ থাকেন এসেক্সের হার্লো এলাকায়। ছাতকের মণ্ডলপুর গ্রামের বাসিন্দা জামাল উদ্দিন মখদ্দুসও সিলেটের পরিচিত মুখ। নিজের এলাকায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন একটি হাইস্কুল। এ ছাড়া সিলেটের এডভেঞ্চার ওয়ার্ল্ডের অন্যতম পরিচালক তিনি এবং সিলেটে তার প্রচুর বিনিয়োগ রয়েছে। আব্দুর রর বসবাস করেন লেস্টারে। তিনিও কমিউনিটির সুপরিচিতদের একজন। আব্দুর রাজ্জাক থাকেন লণ্ডনের হ্যান্সলো এলাকায়। সিলেট নগরীর উপশহরের বাসিন্দা তিনিও একজন বিনিয়োগকারী হিসেবে পরিচিত।

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close