সাক্ষাৎকার

সুরমার মুখোমুখি রক ও রোমান্স স্টার লতিফুল ইসলাম শিবলী

'সাংস্কৃতিক স্থবিরতা চলছে বাংলাদেশে'

|| কাইয়ূম আবদুল্লাহ ||
লণ্ডন, ১৮ আগস্ট : লতিফুল ইসলাম শিবলী। বাংলাদেশের প্রখ্যাত গীতিকবি, সুরকার ও সঙ্গীত শিল্পী। এর বাইরেও তাঁর রয়েছে একাধিক পরিচয়। তিনি অনেকগুলো নাটক, উপন্যাস ও গল্প লিখেছেন এবং এখনো লিখে চলেছেন। বাংলাদেশে ৯০ দশকে ব্যাণ্ড গানের ক্ষেত্রে অন্যতম গীতিকার হিসেবেও সুখ্যাত তিনি। গীতিকার পরিচয়ের বাইরে লতিফুল ইসলাম শিবলী একাধারে কবি, গায়ক, লেখক এবং অভিনেতা। লিখেছেন চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যও। নাট্যকার হিসেবে তার লেখা প্রথম সাড়া জাগানো নাটক “তোমার চোখে দেখি”। এছাড়া নিজের লেখা নাটক রাজকুমারীতে মির্জা গালিবের চরিত্রে অনবদ্য অভিনয়ও করেন। ৯০ দশক থেকে এপর্যন্ত প্রায় ৪শ গান লিখেছেন তিনি। এরশাদের সময়ে জেলও খেটেছেন। রক সম্রাট আজম খান থেকে শুরু করে আইয়ূব বাচ্চু, জেমস এবং অন্যান্য ব্যাণ্ডশিল্পীর কণ্ঠে গীত ও বিখ্যাত হয়েছে তাঁর অনেক গান। বাংলাদেশের নগর কিংবা প্রত্যন্ত জনপদের গান পাগল মানুষের মুখে মুখে ফিরে যেসব ব্যাণ্ডসঙ্গীতের উচ্চকিত ও উচ্ছ্বসিত সুর সেসবের অনেকটিরই গীতিকার তিনি। আইয়ূব বাচ্চুর গাওয়া “আমি কষ্ট পেতে ভালোবাসি” গানের অ্যালবাম বিক্রি হয়েছে প্রায় কোটির উপরে। তারপরও যদি কারো তাকে চিনতে কষ্ট হয়, তাদের জন্য প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে অন্যন্য পছন্দের রোমান্টিক সেই একটি গানের উদাহরণই মনে হয় যথেষ্ট। আর তা হচ্ছে— “তুমি আমার প্রথম সকাল/একাকী বিকেল/ক্লান্ত দুপুর বেলা” … … …। আর হয়তো কারোরই চেনার বাকী নেই। বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী তপন চৌধুরী ও শাকীলা জাফরের দ্বৈত কণ্ঠে গাওয়া সেই কালজয়ী রোমান্টিক গীতিকাব্যের রচয়িতাও এই লতিফুল ইসলাম শিবলী। যদিও তিনি তাঁর এই অসম্ভব জনপ্রিয় ও বিখ্যাত গানটির বিষয়ে তেমন আবেগ তাড়িত নন। তাঁর যতো প্রীতি-ভালোবাসা রক এবং ব্যাণ্ডেই বলে জানান সম্প্রতি বৃটেন সফরে আসা বহু প্রতিভার প্রদীপোজ্জল এই সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।

সুরমার অফিসে কবি লতিফুল ইসলাম শিবলী

সম্প্রতি সুরমা অফিসে সুরমা সম্পাদক শামসুল আলম লিটন এবং সুরমার সাবেক সম্পাদক কবি আহমদ ময়েজ একান্ত আলাপচারিতায় তাঁর সঙ্গীত ও সাহিত্য চর্চাসহ সামগ্রীক বিষয়ে সংক্ষেপে জানার চেষ্টা করেন। বিলেতের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের আরেক সুপরিচিতমুখ, যুক্তরাজ্য জাসাস এর সাবেক সভাপতি ও সাপ্তাহিক সুরমার এমডি এমাদুর রহমান এমাদ হঠাৎ করেই এক সন্ধ্যায় সুরমা অফিসে নিয়ে আসেন গীতিকবি ও লেখক লতিফুল ইসলাম শিবলীকে। রাতেই আরেকটি অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া এবং পরেরদিনই বাংলাদেশে ফেরার তাড়ায় তাঁর হাতে তেমন সময়ও ছিলো না। তবু সংক্ষিপ্ত আড্ডায় সঙ্গীত জীবনের সূচনাসহ বাংলাদেশের এ-সময়ের সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক বিষয়ে সুরমার সম্পাদক শামসুল আলম ও কবি আহমদ ময়েজের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি অনেক কিছুই ব্যক্ত করেন।

হিন্দি গানের মহা প্রতাপের সময়ে সেই জগতে প্রবেশকারী শিবলী জানান, শুরুতে তেমন কোনো লক্ষ্য ছিলো না। অপসাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এক ধরণের বিদ্রোহ এবং স্রেফ ফ্যাশন থেকেই তাঁর এই জগতে প্রবেশ। তবে গানের মধ্যে সময়কে ধারণের চেষ্টা ছিলো তাঁর।

বর্তমান সময়ের বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণ বিষয়ে বলেন, সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো যে, গণতন্ত্র নেই। আর গণতন্ত্র না থাকলে যে যে কুফল ভোগ করতে হয় সেসবের প্রকট প্রকাশই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আর লেখালেখি বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, এতে সমাজের চিত্র থাকবেই। সমাজের কষ্ট, ব্যক্তিগত বা সাংসারিক জীবনের চাওয়া-পাওয়া কিংব না পাওয়ার টানাপোড়েনসহ রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব ও রাষ্ট্রীয় অসঙ্গতি তুলে ধরে দিকনির্দেশনা দেওয়াও লেখকদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। তিনি রাষ্ট্রকে এমন স্তরে দেখতে চান যেখানে সবকিছুর পরে নির্ভয়ে সাংস্কৃতিক চর্চা করা যায়।

এই গুণী শিল্পী ও লেখক ঘরে ঘরে অশান্তির কারণ হিসেবে ভারতীয় সিরিয়ালকে দায়ী করে বলেন, বাংলাদেশ বহুমুখী সাংস্কৃতিক আগ্রাসনে নিমজ্জিত। অনেককিছুই আজ আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা পরিলক্ষিত হচ্ছে। তিনি বলেন, মঙ্গলপ্রদীপ আমাদের দেশে নতুন ও চাপিয়ে দেয়া একটি সংস্কৃতি। তাঁর মতে, এটা আমাদের সংস্কৃতি হতে পারে না। বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক স্থবিরতা চলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সাম্প্রতিক অস্থিরতা সম্পর্কে বলেন, এর জন্য দায়ী রাজনৈতিক দলগুলোই। কারণ, তাদের কারো কাছেই দেশ মূল নয়। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই বিভক্তি চলে আসছে। কারো হস্তক্ষেপ ছাড়া স্বাধীনসত্ত্বার দেশ গড়ে তোলা উচিৎ বলে মনে করেন শিবলী।

সুরমার সম্পাদক শামসুল আলম লিটনের সঙ্গে কবি লতিফুল ইসলাম শিবলী

ইদানিং গান কিংবা গীতিকবিতার চেয়ে গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধসহ সিনিয়াস সাহিত্যে বেশ মনোনিবেশ করেছেন তিনি। অনুবাদ সাহিত্য সম্পর্কে তাঁর পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশে অনুবাদের বেহাল অবস্থা।
শিবলী জানান, সবকিছুুর পর যুগের ক্রেজ রক মিউজিকই প্রিয় ও পছন্দের শীর্ষে এবং যুগের চাহিদার দিকে তাকিয়েই রক মিউজিকে আত্মনিবেদন তাঁর। তিনি বলেন, রক মিউজিক একটা অভারঅল কালচার। যেটাকে সেক্স, কালচার এবং রক এণ্ড রুল বলা হয়। সময়ের ফ্যাশন এবং দ্রোহ তথা বৈচিত্র থেকেই রকে মজে যাওয়া। এই যুগে এমনটাই হওয়া স্বাভাবিক। সময়কে ধরে রাখার ইচ্ছা থেকে সেই পথে এগিয়ে যাওয়ার কথা জানান শিবলী।
কিন্তু রক বা ব্যাণ্ড বিপ্লব বাংলাদেশের বৃহৎ তথা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে কতটুকু নাড়া দিতে পেরেছে বা তাদের মধ্যে কেমন সাড়া জাগিয়েছে? এর জবাবে তিনি বলেন, অনেকটা পেরেছে। তাঁরই জনপ্রিয় গানের উদাহারণ তুলে ধরে বলেন, তা না হলে, এক সময় প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মাঠে-ঘাটে অনেককে গলা ছেড়ে গাইতে শোনা যেতো না— “আমি কষ্ট পেতে ভালোবাসি/তাই তোমার কাছে ছুটে চলে আসি … … …”।

একান্ত ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, তাঁর বাবার ইচ্ছা থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী করেন তিনি। তাঁর ভাইয়েরা ডাক্তার, ইঞ্জিয়ার। কিন্তু তাঁর আব্বার চাইতেন উনার কোনো ছেলে এমএ পাশ করুক। আব্বার স্বপ্ন পূরণের ইচ্ছা থেকে বাংলা সাহিত্যে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন তিনি।
১৯৯৮ সালে নিজের লেখা, সুর, কম্পোজিশনে এবং নিজের কণ্ঠে গাওয়া তাঁর প্রথম অ্যালবাম— “নিয়ম ভাঙার নিয়ম” — এ অ্যালবামে গাওয়া গানগুলো একটু খেয়াল করে শুনলে যে কেউ তাঁর গানের ধরণ, উদ্দেশ্য এবং এমন কি ওই গীতিকবি ও শিল্পীর মানস কিংবা পরিচয় সম্পর্কেও সম্যক অবহিত হতে কারো বেশী বেগ পেতে হবে না। অ্যালবামটিতে মাতৃপ্রেম, দেশপ্রেম, একান্ত প্রিয়জনের প্রতি নিবেদন, সামাজ ভাবনা এমন কি নিজের পরিচয়, তাঁর গানের ধরণ এবং ধর্মীয় ভাবাবেগসহ বিভিন্ন বিষয়ে ১৫টি গান রয়েছে।
অ্যালবামটির প্রথম গান মমতাময়ী মাকে নিয়ে। গানটির কথা ও মন উজাড় করে গাওয়া থেকে মায়ের প্রতি তাঁর গভীর শ্রদ্ধা ও অসীম মমতার প্রাণস্পর্শী প্রকাশ সহজেই বোঝা যায়। ব্যস্ত নগরজীবনে কর্মব্যস্ততা আটকে পড়া শিবলী ছুটি পেলেই মফস্বলে থাকা মাকে দেখার আকুতি ব্যক্ত করে বলেন, “ব্যস্ততার এই নগর ছেড়ে/ অনেক দূরের মফস্বলে/ টানছে আমার মন/ শেষ দেখেছি কবে জানি/ আদরভরা মুখটাখানি/ ইচ্ছে করে যাই ছুটে এখন/ … ছুটি পেলে এবার মাগো/ তোমায় আমি দেখতে যাবো/ দেখতে যাবো, দেখতে যাবো, মাগো! …”।
দেশমাতৃকার প্রতি প্রেমের দুরন্ত প্রকাশ দেখা যায় এই চমৎকার লাইনগুলোতেÑ “প্রিয় পতাকা তুমি আমার প্রিয়ার মুখ/ প্রিয় পতাকা তুমি হৃদয়জুড়ে অগ্নি—সিন্দুক/ প্রিয় পতাকা তুমি আমার মায়ের সবুজ জায়নামাজ/ প্রিয় পতাকা তুমি আমার নেশার রক্তিম কারুকাজ/ প্রিয় পতাকা আমার যুদ্ধা জীবনযাপন/ প্রিয় পতাকা তুমি আমার লাশের কাফন/ প্রিয় পতাকা তোমার কাছেই আমার দীপ্ত অঙ্গীকার/ প্রিয় পতাকা তুমি এই জমিনের শ্রেষ্ঠ অলংকার …”।
ভালোবাসার মানুষকে উদ্দেশ্য করে তাঁর হৃদয় উজাড় করা উচ্চারণ— “আমার মতো আর কে তোমায় এমন ভালোবাসবে/ আমার মতো আর কে আছে?/ আমার মতো আর কে? … বুকের ভেতর আগুন পোষে আর কে কান্না লুকাবে?”। কিংবা Ñ “যতো দূরে থাকো/ ততটাই কাছে আছি যেনো…”
এই অ্যালবামের তাঁর গানের ধরণের বর্ণনার পাশাপাশি নিজেকে নাগরিক কবিয়াল দাবী করে বলেছেনÑ “দেখছো আমার চুলের ঝুটি এই নাগরিক বেশ/ রক্ত দিয়ে বাঙালি ভাই বাংলা আমার দেশ/ … … … ভুল বোঝ না বন্ধু আমায়, গাইছি নতুন গান/ এই শতকের গায়েন আমি, মানি নাকো অভিধান”।
আজানের সুমধুর সুরের মগ্ধতা প্রকাশে তাঁর সুউচ্চ উচ্চারণ— “… যেন হাজার বছর পেরিয়ে মরু বুকে তুলেছে ঝড়/ বেলাল হুকিছে মিনার থেকে আল্লাহু আকবর/ আল্লাহ আকবার, আল্লাহু আকবার।” গানটিতে তাঁর প্রচণ্ড ভাবাবেগ ও উচ্ছ্বাসের প্রকাশ ঘটেছে।
লফিতুল ইসলাম শিবলীর জন্মস্থান যে জীবনানন্দ দাশের কল্পবেদী বনলতা সেনেরই এলাকায় সেটি জানা যায় ওই অ্যালবামের একটি গানে। তিনি নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেন— “বনলতা সেনকে অনেক খুঁজে খুঁজে/ হাজার বছর ধরে পৃথিবীর পথঘাট ঘুরে ঘুরে/ তোমাদের শহরে জেগে আছি আমি একা/ আমি নাটোরের মহারাজা।”
উল্লেখ্য, লতিফুল ইসলাম শিবলী সঙ্গীত, সাহিত্য তথা সংস্কৃতির বহু মাধ্যমে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন। কেবল গান লেখা নয়, গান গাওয়া কিংবা সুরারোপ করা। নাটক লেখাই শুধু নয়, নাটকে অভিনয় করা এমনকি মডেললিং করেও খ্যাতিমান হওয়া। কবিতা, গল্প, উপন্যাস— সব শাখাতেই উৎকর্ষতার সাথে বিচরণ তাকে করেছে অন্য অনেকের চেয়ে আলাদা। ইতোমধ্যে তাঁর কয়েকটি উপন্যাস বেরিয়েছে। প্রথম বেস্টসেলার উপন্যাস “দারবিশ” (২০১৭),। দ্বিতীয় বেস্টসেলার “দখল” (২০১৮) এটার ইংরেজী ভার্সন “ দ্যা সিজ”, “আসমান” (২০১৯) ইংরেজী ভার্সন “দ্যা স্কাই”।

লতিফুল ইসলাম শিবলীর শুরুটা গ্রুপ থিয়েটার “নাট্যচক্র” এর মাধ্যমে। তারপর শিল্পের অন্যান্য মাধ্যমে পথচলা। ‘কমপ্লিট ম্যান’ খ্যাত ঝুঁটিবাঁধা মডেল শিবলী ছিলেন তাঁর সময়ের ফ্যাশন আইকন। একই সাথে সফল নাট্যকার। বিটিভি‘র যুগে তাঁর লেখা প্রথম সাড়া জাগানো নাটক “তোমার চোখে দেখি” এবং “রাজকুমারী”। রাজকুমারীতে মির্জা গালিব চরিত্রে তাঁর অন্যবদ্য অভিনয় এখনো স্মরণযোগ্য। শিবলী‘র কাহিনী, সংলাপ এবং চিত্রনাট্যে প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ চলচ্চিত্র “পদ্ম পাতার জল” (২০১৫)।
তিনি কবি, ইতোমধ্যে তাঁর তিনটি কাব্যগ্রন্থও বেরিয়েছে। প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ “ইচ্ছে হলে ছুঁতে পারি তোমার অভিমান” প্রকাশকাল ১৯৯৫। দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ “তুমি আমার কষ্টগুলো সবুজ করে দাও” (২০১০) এবং ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয় তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ ”মাথার উপরে যে শূন্যতা তার নাম আকাশ, বুকের ভেতরে যে শূন্যতা তার নাম দীর্ঘশ্বাস”।

এছাড়া বাংলা একাডেমি ১৯৯৭ সালে প্রকাশ করেছে তাঁর “বাংলাদেশে ব্যাণ্ড সংগীত আন্দোলন” নামক ব্যাণ্ড সঙ্গীতের ওপর লিখিত প্রথম এবং একমাত্র গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ গ্রন্থ। ওমর ও ওসমান নামের দুই পুত্র সন্তানের জনক শিবলীর জন্ম বাংলা ক্যালেণ্ডারের প্রথম মাস পহেলা বৈশাখ, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি পর্বে। তখন যুদ্ধ না বুঝলেও শ্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলনের ভেতর দিয়েই তাঁর বেড়ে ওঠা।

Sheikhsbay
Back to top button
Close
Close