নিউজহোম

পেট্রোলের মজুত আছে ১৩ দিনের, অকটেন ১১ দিন- প্রকাশিত খবর তুলে নিতে হলো ডেইলি স্টারকে

সুরমা প্রতিবেদন।
লন্ডন,২৬ জুলাই। জ্বালানী তেলের চাহিদা পূরণে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন বিপিসি। এরই মধ্যে পেট্রোল ও অকটেনের মজুত দিন দিন কমে আসছে। বর্তমান মজুত দিয়ে পেট্রোলের চাহিদা পূরণ হবে মাত্র ১৩ দিন আর অকটেন ১১ দিন।ডলার সংকটের কারণে চলতি সপ্তাহে এক বা একাধিক আন্তর্জাতিক টেন্ডার থেকে বাংলাদেশ পেট্রোল ও ডিজেল কিনতে পারেনি বলেই জ্বালানীর মজুত আশংকাজনক পর্যায়ে নেমে এসেছে। তবে এই ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ব্যাখ্যা দেয়া না হলেও ডেইলি স্টারকে খবরটি তুলে নেয়ার পেছনে দুরকম তথ্য পাওয়া গেছে। একপক্ষ বলছে, বিপিসির মহৎ ব্যবস্থাপনায় এটাই সর্বোচ্চ। ১২-১৫ দিনের বেশি  মজুত রাখার কোনো ব্যবস্থা নাই. তবে বিপিসি সংশ্লিষ্ট আরেকটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই তথ্য উড়িয়ে দেন. তার ভাষায়, ন্যূনতম ৪৫-৬০দিনের তেলের মজুত রাখার ব্যবস্থা রয়েছে এবং গত ৩০ বছর যাবৎ এটাই হচ্ছে সাধারণ চাহিদা ও যোগানের সাধারণ চিত্র। ৩০ দিনের নিচে মজুত থাকা মানে সংকট ঘনীভূত হবার স্পষ্ট আলামত।এটাকে হলুদ লাইটও বলা যেতে পারে। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ২/৩ টি চালান মিস করলেই আর সেটা সামাল দেয়া যাবেনা। পরে “জ্বালানি তেলের সরবরাহ নিয়ে চিন্তিত নয় বিপিসি” শিরোনামে সংশোধিত খবর ছাপে পত্রিকাটি।

ডেইলি স্টারের ওই খবরে বলা হয়েছে, চলতি মাসের ২৫ দিনের জ্বালানি তেল বিক্রির পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, বর্তমানে দেশে দৈনিক ডিজেলের চাহিদা প্রায় ১৩ হাজার ৪৫৩ মেট্রিক টন। ফার্নেস অয়েলের চাহিদা দৈনিক ২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন। অকটেন চাহিদা ১ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন।  আর পেট্রলের চাহিদা ১ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন। জেট ফুয়েলের চাহিদা দৈনিক ১ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন।

এই হিসাবে, দেশে ১৩ দিনের পেট্রল, ১১ দিনের অকটেন ও ৩০ দিনের ডিজেল মজুদ আছে।

Sheikhsbay

সম্পরকিত প্রবন্ধ

Back to top button
Close
Close