লন্ডনে গত ১ জুলাই শুক্রবার বাংলাদেশে শিক্ষা কারিক্যুলামে ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে এক সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয় ।
এতে সভাপতিত্ব করেন চিন্তা ও গবেষনা বিষয়ক সংগঠন “সিম্পোজয়াম”এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল কাদির সালেহ। লন্ডনে সেন্টার ফর ইসলামিক গাইডেন্স এর সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত সিম্পোজিয়ামে কীনোট উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট গবেষক ড: আজাবুল হক।
এতে বলা হয় , বর্তমান শিক্ষা কারিক্যুলামে ধর্ম তথা ইসলাম শিক্ষাকে মৌল বিষয় এবং পরীক্ষা ও নম্বরের বাহিরে রেখে সুকৌশলে একে পরিত্যাক্ত বিষয়ের কেটাগরিতে ফেলে দেয়া হয়েছে।প্রত্যেক শিশু তার বেড়ে উঠার সাথে নৈতিকতা ও ধর্ম শিক্ষা যেমন জরুরী তেমনি নব্বুই শতাংশ মুসলমানের দেশে একটি মুসলিম শিশুর ইসলাম শিক্ষা তার জন্মগত সাংবিধানিকে মৌলিক অধিকার। বর্তমান শিক্ষা কারিক্যুলামে ইসলাম শিক্ষাকে নম্বর ও পরীক্ষাপত্রের বাহিরে রেখে শিশুর নাগরিক অধিকারকে খর্ব করা হয়েছে।
সিম্পোজিয়ামে সুধিজন এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং সরকার গৃহীত পাইলট স্কীমকে স্থগিত ঘোষনা করে কারিক্যুলামে ইসলাম শিক্ষাকে মৌল বিষয়পত্রে অন্তর্ভূক্ত করার আহবান জানান। সিম্পোজিয়ামে বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ সৈয়দ মামনুন মোর্শেদ, সেন্টার ফর ইসলামিক গাইডেন্স এর পরিচালক মাওলানা একে মওদুদ হাসান,সর্বদলীয় উলামা সংগঠন বাংলাদেশী মুসলিমস এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা ইমদাদুর রহমান মাদানী,সোসাইটি ফর ডেমোক্রেটিক রাইটস এর চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার ইকবাল হোসাইন, মানবাধিকার সংগঠক ব্যারিষ্টার হাসান মাহমুদ, আলকোরআন ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান মুফতি হাসান নূরী চৌধুরী, সেক্রেটারী মাওলানা নুফাইস বরকতপূরী, দৈনিক আমার দেশ এর সিনিয়র সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান, কবি ও সাংবাদিক বদরুজ্জামান বাবুল ও রাইটস কনসার্ন এর চেয়ারম্যান শফিক খান।
সিম্পোজিয়াম শেষে বাংলাদেশের স্কুল শিক্ষা কারিক্যুলাম পর্যালাচনা ও প্রস্তাবনার জন্য ড: আজাবুল হক, এম শফিক খান ও নুফাইস আহমদ নিয়ে একটি সাবকমিটি গঠিত হয়।
এ বিষয়ে দেশের শিক্ষাবিদ, অভিভাবক ও আলেম সমাজকে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়।