পদ্মাসেতু: সাফল্য-০১, মিথ্যাচার-১০

১৫টি জেলার ৫ কোটি মানুষের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য
অন্ততঃ ১০হাজার কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ
ড. ইউনুস ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চরম বিষোদগার
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরে নানা প্রশ্ন
দশ লাখ লোক সমাগমের ব্যর্থ উদ্যোগ
।। বিশেষ প্রতিবেদন ।।
লণ্ডন, ১ জুলাই : দুনিয়াজোড়া দুর্নীতির বিতর্কের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শেখ হাসিনা সরকার পদ্মাসেতু প্রকল্প শেষ করতে সক্ষম হয়েছে। ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দাবী করে পদ্মা সেতুকে বাংলাদেশের আবেগ ও সক্ষমতার প্রতীক বলে উল্লেখ করেছে।
বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ৫ কোটি মানুষের যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে এই সেতু বিপুল অবদান রাখবে। বহু প্রতীক্ষিত পদ্মাসেতুর উদ্বোধন ওই অঞ্চলের ১৫ টি জেলার জনগণের মাঝে প্রাণ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। এই প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় ১০ হাজার কোটি হলেও শেষ পর্যন্ত চারগুণ ব্যয় হওয়ার প্রধান কারণ মহাদুর্নীতী আর মহালুটপাটের আয়োজন। সেতুর প্রতিটি সরবরাহ কাজে ১০ থেকে ১৫%, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ২০% পর্যন্ত কমিশন দিয়ে কার্যাদেশ নিতে হয়েছে, এমন হাজারো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এখন পাবলিক ডোমেইনে ছড়িয়ে আছে।
পদ্মাসেতু: সাফল্য-০১, মিথ্যাচার-১০
পদ্মাসেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের সাফল্যকে মোটামুটি সকল মহল থেকে অভিনন্দিত হলেও প্রকল্পটি নিয়ে অন্তত ১০টি বড়মাপের মিথ্যাচার এই সেতুটির ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে থাকবে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন অভিজ্ঞ মহল। হিলারি ক্লিনটন, নোবেলজয়ী ড. ইউনুস ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চরম বিষোদগার করা হয়েছে সরকার প্রধানের পক্ষ থেকে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরে নানা প্রশ্ন দেখে দিয়েছে। বিপুল বাজেটের এই অনুষ্ঠানে মাত্র ১০-১৫ হাজার লোকের সমাগম ঘটেছে পদ্মাসেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। দশ লাখ লোক সমাগমের উদ্যোগ কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের মন্ত্রীরা দশলাখ লোকের সমাগমের কথা একমাস আগে থেকে বলে আসলেও শেষ পর্যন্ত সিনিয়র মন্ত্রী এমনকি ওই এলাকার এমপিরাও ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত না হওয়ায় নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যদিও দলীয় নেতারা দাবী করেছেন, নিরাপত্তাবাহিনীর বিশেষ ব্যবস্থার কারণে মন্ত্রী-এমপি এমনকি হাজার হাজার দলীয় নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে হাজির হতে পারেননি।