
সুরমা ডেস্ক।
লন্ডন, ২১জুন। সাহসী কুটনীতিবিদ মহিউদ্দিন আহমদের মৃত্যুতে মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। মঙ্গলবার (২১ জুন) এক শোকবাণীতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দুঃখে অভিমানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এলেননা, আমরা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারলাম না।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী তাঁর শোকবার্তায় শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি লন্ডনস্থ ‘ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশীজ’ সংগঠনের পক্ষ থেকে অধ্যাপক হাসনাত হোসাইন এমবিই এবং জাতির পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনে এবং ঢাকায় জাতীয় যাদুঘরে মহিউদ্দিন আহমেদের প্রতিকৃতি কিংবা ভাস্কর্য স্থাপনের অনুরোধ জানান। তাঁকে সম্মানিত করলে দেশকে সম্মানিত করা হবে। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস রচনায় সহায়ক হবে। উল্লেখ্য যে, মরহুম মহিউদ্দিন আহমদ ইউরোপে প্রথম পাকিস্তানী কুটনীতিবিদ যিনি পাকিস্তানের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা অগ্রাহ্য করে আর্থিক দুরবস্থার মধ্যেও বাংলাদেশের মুক্তি আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেনে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর পরামর্শক ও সহায়তাকারী হিসাবে। বাংলদেশে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব হবে তাঁকে প্রতিবছর স্মরণ করা এবং মহিউদ্দিন আহমেদের জীবনী স্কুলে পড়ানো আবশ্যিক দায়িত্ব হিসাবে বিবেচিত হওয়া উচিত। মহিউদ্দিন আহমেদ সাধারণ জীবন যাপন করতেন, তাঁর নিজস্ব কোন গাড়ী ছিলোনা, উত্তরা তাঁর বাসভবন থেকে তিনি পাবালিক বাসে চলাফেরা করতেন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু স্বাক্ষরিত শোকবাণীতে তিনি আরো বলেন,‘মরহুম মহিউদ্দিন আহমদ মুক্তিযুদ্ধ, অর্থনীতি,পররাষ্ট্রনীতি, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, দারিদ্র বিমোচন ও উন্নয়নসহ নানা বিষয়ে তাঁর বাংলা ও ইংরেজীতে দেশে-বিদেশে প্রকাশিত প্রবন্ধ- নিবন্ধ আমাদের জাতির ইতিহাসে আজীবন উজ্জ্বল হয়ে থাকুক এটাই সকল মুক্তিযোদ্ধাদের কামনা। বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন আহমদ এর মুত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তিনি ছিলেন মানবিক, সৎ ও মহৎ মনের অধিকারী। শোকবাণীতে তিনি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।”