নিউজ

দেশমান্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী’র ‘জাতীয় সরকার ফর্মুলা’: রেহমান সোবহান বা ড. কামাল রাষ্ট্রপতি – ড. ইউনুস প্রধানমন্ত্রী

শেখ রেহানা ও ব্যারিস্টার জাইমা মন্ত্রীসভার সদস্য-প্রবাসীকল্যাণের দায়িত্বে ড.হাসনাত 

|| সুরমা প্রতিবেদন ||
লন্ডন, ১৬ মে : জাতীয় সংকট উত্তরণে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি, দেশমান্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ‘জাতীয় সরকারের ফর্মুলা’ উপস্থাপন করেছেন। রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে অধ্যাপক রেহমান সোবহান ও ড. কামাল হোসেনের নাম উল্লেখ করে এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নাম প্রস্তাব করেছেন। বিএনপি প্রতিনিধি হিসেবে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান ও আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি হিসেবে শেখ রেহানা’র নাম অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকারের মন্ত্রী হিসেবে তিনি প্রস্তাব করেছেন। সুশাসন, দুর্নীতি নির্মূল ও তৃণমূল পর্যন্ত সরকারে জনগণের সর্বোচ্চ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে তিনি ১৫/১৭ প্রদেশে বিভক্ত করার প্রস্তাব করেন। 

(বাম থেকে) ড. ইউনুস, শেখ রেহানা, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান ও ব্যারিস্টার জাইমা রহমান

সোমবার ১৬ মে ‘জাতির সংকট নিরসনে জাতীয় সরকার’ শীর্ষক এক দীর্ঘ লেখায় তিনি এ প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। প্রস্তাবে তিনি বলেন, গণভোটে (রেফারেন্ডাম) নির্বাচিত হবে জাতীয় সরকার। দুই বছর মেয়াদের জন্য গঠিত হওয়া এই সরকার হবে সর্বদলীয় এবং সর্বজন স্বীকৃত। এর সদস্য এবং বিভিন্ন কমিশনের চেয়ারম্যানেরা ২০২৮ সাল পর্যন্ত কোনও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তাদের সকল আর্থিক তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে। 

জাতীয় সরকারে যাদের নাম তিনি উল্লেখ করেছেন তারা হলেন- জনসংযোগ, স্বরাষ্ট্র ও জন প্রশাসন দায়িত্বে প্রস্তাবিত প্রধানমন্ত্রী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস; দুর্নীতি দমনে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও শহীদদের তালিকা প্রণয়ণে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, জবাবদিহিতামুলক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) ইকবাল করিম ভুইয়া প্রতিরক্ষায়।  

আইন, সংসদ ও সংবিধান সংস্কারে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, মানবাধিকার ও আইন কমিশনে অধ্যাপক আসিফ নজরুল, অর্থ ও দারিদ্র্য নিরসনে অর্থনীতিবিদ ড. বিনায়ক সেন, ব্যাংক ও মানি লন্ডারিং নিয়ন্ত্রণে ড. সালেহ উদ্দিন আহমদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে এস এম আকরাম, সংখ্যালঘু ও আদিবাসীর দায়িত্বে অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্কিত দায়িত্বে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়নে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকবেন অধ্যাপক কাজী কামরুজ্জামান, সঙ্গে ওষুধ প্রশাসনের প্রধানের দায়িত্বে বিএসএমএমইউ অধ্যাপক সাইদুর রহমান খসরু এবং মেডিক্যাল ও প্যারামেডিক্যাল শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের দায়িত্বে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক আবুল কাশেম চৌধুরী, শিল্প বাণিজ্যের দায়িত্বে শেখ বসিরুদ্দিন আকিজ, তথ্য সম্প্রচার ও মিডিয়ার দায়িত্বে শিল্পপতি-মিডিয়া মালিক এ কে আজাদ, স্থানীয় শাসন ও প্রদেশ বা স্টেট সৃষ্টি সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে সমাজ বিজ্ঞানী ড. তোফায়েল আহমেদ।

নৌপথ, নৌবন্দর, আন্তর্জাতিক নদীর পানির অধিকার সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে প্রকৌশলী ইনামুল হক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দায়িত্বে প্রকৌশলী সামসুল আলম, নগর উন্নয়ন ও যোগাযোগে স্থপতি মুবাশ্বের হোসেন। প্রবাসী অভিবাসী কল্যাণ এবং বৈদেশিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন ও শিক্ষক-ছাত্র বিনিময় কর্মসূচি স্থাপনে প্রবাসী শিক্ষাবিদ অধ্যাপক হাসনাত হোসেন, এমবিই। ধর্ম ও নৈতিকতায় শিক্ষাবিদ অধ্যাপক পারভীন হাসান, সংস্কৃতি, যাত্রা ও মেলার প্রসারে শিল্পী নবনীতা চৌধুরী, পরিবেশ ও প্রাণিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শ্রমিক কল্যাণ ও নিরাপদ সড়ক দায়িত্বে বাম জোটের প্রতিনিধি মনজরুল আহসান।

নারী ও যুব উন্নয়নে বিএনপি প্রতিনিধি ব্যারিস্টার জাইমা রহমান, মানবাধিকার ও সমাজ কল্যাণে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা এবং খাদ্য সরবরাহ ও রেশনিংয়ে সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সঙ্গে কৃষি ও কৃষক সমবায় প্রসারে সাবেক সচিব ড. শওকত আলী।

দেশমান্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী’র লেখা “জাতির সংকট নিরসনে জাতীয় সরকার” শীর্ষক লেখাটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো:

গোড়ার কথা: জাতির সমস্যা উত্তরনে সম্মিলিত উদ্যোগ

১৯৪৮ সনে উর্দু ভাষাকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্র ঘোষনা করলে পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্ররা সম্মিলিত আন্দোলন শুরু করে। ১৯৫২ সনে কয়েকজন ছাত্র পুলিশের গুলিতে নিহত হলে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী গাজীউল হক, অলি আহাদ, ভাষা মতিন, মাহবুব ও অন্যান্য ছাত্র নেতাদের পাশে এসে দাড়ান। শেখ মুজিবুর রহমান তখন কারাগারে। আন্দোলনের গতি বাড়ে, বাংলাভাষা অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৫৪ সনে ২১ দফার ভিত্তিতে পূর্ব পাকিস্তানে হক-ভাসানী-সোহরাওয়ার্দীর
নেতৃতে গঠিত হয় যুক্তফ্রন্ট। ২১ দফার অন্যতম শর্ত ছিল নির্বাচনের অন্ততপক্ষে দু’মাস পূর্বে দলীয় সরকার সুষ্ট নির্বাচনের স্বার্থে পদত্যাগ করবেন।
১৯৫৭ সনে মাওলানা ভাসানী পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা বিবেচনায় আনেন। ১৯৭০ সন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কখনও পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতার কথা উল্লেখ করেন নি। তিনি ১৯৬৬ সনে পূর্ব পাকিস্তানী সি এস পি (সিভিল সার্ভিস অব পাকিস্তান) দের পরামর্শে প্রস্তুত করেন ৬ দফা- পাকিস্তানের সংগে থেকে কনফেডারেশনের ভিত্তিতে পূর্ব পাকিস্তানবাসীদের অধিকার আদায়ের সনদ। পাল্টা অবস্থা হিসেবে পাকিস্তানের সামরিক সরকার শেখ মুজিবুর রহমান ও ৩৪ জন পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ১৯৬৮ সালে ১৮ই জানুয়ারীতে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা শুরু করেন। মাওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে গড়ে উঠে সম্মিলিত প্রতিবাদ আন্দোলন। সামরিক সরকার ২২ শে ফেব্রুয়ারী ১৯৬৯ সনে শেখ মুজিবকে মুক্তি দেন এবং পরের দিন
তিনি ডাকসু কর্তৃক ‘বঙ্গবন্ধু’  উপাধিতে ভূষিত হন। ২ মার্চ ১৯৭১ তারিখে ডাকসু সহ সভাপতি আসম আবদুর রব বাংলাদেশের স্বাধীনতা পতাকা উত্তোলন করেন। পরের দিন শাজাহান সিরাজ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন পল্টন ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের উপস্থিতিতে। ১৯৭১ সনের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু ১৮ মিনিটের ঐতিহাসিক ভাষনে বলেন – ‘এই আন্দোলন মুক্তির আন্দোলন, এই আন্দোলন স্বাধীনতার আন্দোলন, সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার করুন, সরকারের অন্যায় আচরন রুখে দাড়ান’  ‘জয় বাংলা, পাকিস্তান জিন্দাবাদ, জয় বাংলা’ বলে বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণের সমাপ্তি টানেন। ৯ মার্চ ১৯৭১ তারিখে মাওলানা ভাসানী স্বাধীন
পূর্ব বাংলা ঘোষণা করেন এবং আন্দোলন অব্যাহত রাখার জন্য সকল রাজনৈতিক ও ছাত্রদের প্রতি আহবান জানান।

ট্রাস্টি, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র

পাকিন্তানের সামরিক সরকার ২৫ শে মার্চ শুরু করলো ঢাকায় গণহত্যা। সকল নেতৃবর্গের পরামর্শ অগ্রাহ্য করে বঙ্গবন্ধু ধানমন্ডিস্থ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করেন, তাকে গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নেয়া হয়। ২৭ শে মার্চ ১৯৭১ তারিখে বেঙ্গল রেজিমেন্টের তরুন মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তাজউদ্দিন-সৈয়দ নজরুল ইসলাম
প্রবাসী সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নেন ১০ এপ্রিল ১৯৭১ তারিখে। গঠিত হয় মাওলানা ভাসানী, মনি সিংহ, মুজাফফর আহমেদ প্রমুখ নিয়ে সর্বদলীয় উপদেষ্টা পরিষদ। মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয় তিনটি ফ্রন্টে-প্রথমত: সিরাজ সিকদার, মান্নান ভূইয়া ও বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে, বংলাদেশের ছাত্র, শ্রমিক, সেনানী, ইপিআর ও পুলিশ ভারতে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত
হয়ে দ্বিতীয় ফ্রন্টে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গেরিলা যুদ্ধ করেন। তৃতীয় ফ্রন্ট ছিল বিচারপতি আবু সাইয়িদ চেীধুরীর নেতৃত্বে লন্ডন থেকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে। শেখ মুজিব ৮ জানুয়ারী ১৯৭২ পাকিস্তান জেল থেকে মুক্তিলাভ করেন এবং ১০ জানুয়ারী ১৯৭২ ঢাকা প্রত্যাবর্তন করেন বৃটিশ রাজকীয় বিমানে। ‘রমনা ময়দানের পাশ দিয়ে যাবার সময় তিনি জিজ্ঞেস করেন, ‘পাকিস্তানী সৈন্যদের আত্মসমর্পনের সময় তোরা কোথায় ছিলি’? ১৯৭৩ সনে বঙ্গবন্ধুকে সর্বময় ক্ষমতা দিয়ে সংবিধান প্রণীত হয়। ভারতীয়
রক্ষীবাহিনীর কারনে অসংখ্য গুম খুন ও দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়। ১৯৭৪ সনের দূর্ভিক্ষ ও বাকশাল সৃষ্টিতে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অপমৃত্যু হয়। বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বৎসর শাসন আমলে মন্ত্রীসভায় কখনো মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলী নিয়ে আলোচনা হয়নি। বরঞ্চ প্রথম মন্ত্রীসভায় বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান গোয়েন্দা বাহিনীর এবিএস সফদর এবং পাকিস্তান পুলিশ বাহিনীর আব্দুর রহিমের সাথে পাকিস্তানের নিবিড় সম্পৃক্ততা থাকা সত্বেও তাদেরকে কাজে নিয়োগের নির্দেশ দেন এবং তিনি একবারও মুজিবনগর পরিদর্শন করেননি। তিনি
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান নায়ক তাজউদ্দিন আহমদকে পদত্যাগে বাধ্য করেন। কোন মানসিক ঘটনা মুক্তি যুদ্ধের আলোচনায় বঙ্গবন্ধুর মনমানসিকতায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল তার গবেষণা প্রয়োজন। তাঁর অবর্তমানে তাজউদ্দিন-সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও এমএজি- ওসমানীর স্বাধীনতা যুদ্ধে অসামান্য সাফল্যকে তিনি কি মেনে নিতে পারেননি?

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদের শাসনামলের ভাল মন্দ

।. তাঁর ৫ টি বড় সফলতা
প্রথমত: দেশের প্রায় সকল অঞ্চলে সকল বাড়ীতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া। দ্বিতীয়ত: সফলভাবে কোভিড মহামারী নিয়ন্ত্রন এবং ব্যাপক টিকা প্রদান। তৃতীয় সফলতা হলো কয়েকটি মেঘা প্রজেক্টকে সমাপ্তির পথে নিয়ে যাওয়া, চতুর্থত: সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ নিয়ন্ত্রণ এবং তার সরকারের আমলে কোন বিরোধী দলীয় নেতার জীবনাশমুলক আক্রমন না হওয়া। পঞ্চম সফলতা হলো প্রায় লক্ষাধিক
গৃহহীন পরিবারকে বসতবাড়ীসহ দুই ডেসিমেল জমিদান। সংগে বয়োবৃদ্ধ আত্মীয়দের জন্য একটি অতিরিক্ত কামরা থাকা বাঞ্ছনীয় ছিল।

।।. প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদের ১০ টি ভুলকাজ ও ব্যর্থতা
‘‘গণভবনে থাকা অনেকটা বন্দী জীবনের মত, নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি, অন্য এক্সারসাইজ হয় না’’: শেখ হাসিনা ওয়াজেদ

(১) বাংলাদেশ বাংক ও বেসিক ব্যাংকের তহবিল লুট, সরকারী বিশ^বিদ্যালয় সহ সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক দূর্নীতি- দশ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রজেক্ট পদ্মা সেতু ৪০,০০০ কোটিতে শেষ না হওয়া, নিজস্ব বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার উন্নতির পরও অব্যাহত কুইক রেন্টাল নিলিপ্ত দূর্নীতির প্রমান। দ্বিগুন খরচে রূপপুরে রাশিয়ার তত্ত্বাবধানে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, সুন্দরবনের রামপালে ভারতের পরামর্শে ও পায়রায় চীনের সহযোগিতায় ক্ষতিকর কয়লা থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন। রাশিয়া থেকে ৬-৭ ডলারে ভ্যাকসিন না
কিনে দ্বিগুণ মূল্যে চীন ও অন্য দেশ থেকে কোভিড ভ্যাকসিন ক্রয় এবং দেশে নিজস্ব ভ্যাকসিন উৎপাদনে অর্থায়ন না করা দুর্ভাগ্যজনক।

(২) বিএনপি আমলের ক্লিনহার্ট প্রত্যাহার না করে বরঞ্চ অধিকতর ক্ষমতা ও দায়মুক্ত করে র‌্যাব দ্বারা অসংখ্য গুম, খুন ও বিচার বর্হিভূত হত্যা এবং ব্যাপক ভাবে নিন্দিত ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট সরকারের সকল সফলতাকে কালিমাময় করেছে। পুলিশ বাহিনী ও আমলাদের মাধ্যমে ২০১৪ সনে ভোটার বিহীন নির্বাচনে এবং ২০১৮ সনের দিনের ভোট রাতে সমাপন করে ভারত ও চীনের চক্রান্তে হাসিনা সরকারের ক্ষমতা দখল করেছেন। সরকার অতি প্রয়োজনীয় ভৌজ্য তেল ও খাদ্য দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ হয়েছেন। শিক্ষিত বেকার বাড়ছে। বার বার পরামর্শ দেয়া সত্বেও সরকার দুই কোটি দরিদ্র পরিবারে নিয়মিত সাপ্তাহিক রেশনিং ব্যবস্থার প্রবর্তন করেননি।

(৩) ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা, মেজর সিনহার হত্যাকারী কক্সবাজারের পুলিশ কর্মকর্তা, নারায়ণগঞ্জের ৭ খুনের দায়ী অভিযুক্তদের শাস্তি চুড়ান্ত না হওয়া, জেনারেল এমএ আজিজের দুই ভাই খুনের মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত। তাদেরকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন, দেশকে মাফিয়া রাষ্ট্রে উপনীত হবার পথ উন্মুক্ত করেছে।

(৪) ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক কর্মীদের আজগুবী মামলায় অভিযুক্ত করে পুলিশ বাহিনী প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা অর্থ আদায়, যৌন নিপীড়ন, ড্রাইভিংলাইসেন্স প্রাপ্তিতে দীর্ঘসূত্রিতা এবং লাইসেন্স বিহীন ড্রাইভারদের কারনে প্রতিদিন কয়েক ডজন সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যু, পুলিশ ও স্থানীয় দলীয় নেতাদের ফুটপাতের প্রত্যেক হকার ও খাবার দোকান থেকে প্রতি মাসে ৭-১০ হাজার টাকা
চাঁদা আদায়, দেশে খুন খারাবীর পাশাপাশি ছাত্রদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবনতা বেড়েছে।

(৫) বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সহ লক্ষাধিক রাজনৈতিক কর্মী, ছাত্র ও আলেমদের নামে কয়েক লাখ মামলা দায়ের এবং এখনও তাদের অনেকের জামিন না দেয়া অন্যায় কাজ। বিভিন্ন আদালতে প্রায় ৪০ লক্ষ বিচারাধীন মামলার সুরাহা না করে বিচারপতিদের বৃটিশ আমলের ন্যায় ৪ মাস ছুটি কাটানো, বহু বেঞ্চ ৯ টা থেকে ২টায় শেষ হওয়া। ২০১৮ সনের নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা সমূহের একটিরও নির্বাচন ট্রাইবুনালে মামলার সুরাহা ৪ বৎসরেও না হওয়া। সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক তত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করে নির্বাচন পদ্ধতিতে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছেন। কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রæতি সত্বেও মামলা প্রত্যাহার হয়নি। কোর্টে হাজিরার মাধ্যমে অত্যাচার ও ঘুষ বাণিজ্য অব্যাহত আছে।

(৬) যে ভুল বঙ্গবন্ধু বাকশাল সৃষ্টিতে করেছিলেন, তা ভিন্ন মোড়কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমলা ও বিভিন্ন গোয়েন্দাবাহিনীর মাধ্যমে চালু রেখেছেন, এমন কি নিজ দলীয় রাজনৈতিক কর্মীদের শাসনবলয়ের বাইরে রেখেছেন।

(৭) ওষুধ ও চিকিৎসায় অস্বাভাবিক ব্যয় বৃদ্ধি এবং ব্যক্তিগত ও পরিবারের স্বাস্থ্যের জন্য ব্যক্তিগত ভাবে প্রায় ৭০% ব্যয় বহন করতে হয়। ফলে ইতিমধ্যে ৮৬ লাখ মানুষের আর্থিক অবনতি হয়েছে এবং ৩ কোটি মানুষ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যায় না অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণে। রাষ্ট্রপতি, অধিকাংশ মন্ত্রী, আমলা ও বড় ব্যবসায়ীরা বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। সম্প্রতি ওবায়দুল কাদের
ভারত ও সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা পরামর্শ নিয়েছেন কার খরচে- নিজের না সরকারের খরচে? প্রকাশ্যে ধূমপান বন্ধ না করে সরকার ভয়ানক ভুল কাজ করেছেন। দেশের বায়ু দূষনের সাথে বিবিধ শ্বাস প্রশ্বাস জনিত রোগ, বহুমূত্র, উচ্চ রক্তচাপ ও বিকল কিডনী রোগ দ্রুতগতিতে বাড়ছে। নবীন চিকিৎসকদের ইন্টার্ণশীপ দুই বৎসর ঘোষনা দিয়ে কয়েক সপ্তাহ পর তা প্রত্যাহার আপনার অপর একটি ব্যর্থতা।
(৮) ভারতের প্রতি নতজানু ব্যবহারের কারনে আজও রোহিংগা সমস্যার সমাধান না হওয়া এবং চীনের সার্বিক সাহায্য সহযোগিতা না পাওয়া।
(৯) ইভিএম (EBM) নির্বাচনে কারচুপির পথ সুগম করছে, র‌্যাব-পুলিশ ও দলকানা আমলাদের সহযোগিতায় ও নির্বাচন কমিশনের ঠুটো জগন্নাথ ভুমিকায়। সুষ্ঠ নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর মনে ভয় ঢুকেছে। ভোটে পরাজিত হলে তিনি বর্তমানে বিরোধীদলের প্রতি যেরূপ ব্যবহার করছেন তাকে কয়েকগুন অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হতে পারে।
(১০) প্রায় দেড় কোটি প্রবাসী বাংলাদেশী ২০০ বিভিন্ন দেশে শ্রমদান করে প্রতি বৎসর দেশে প্রায় ১৬/১৭ বিলিয়ন ডলার পাঠায়। তাদেরকে বাংলাদেশের বিমান বন্দরে হয়রানী, বাড়ীতে পৌছার পর স্থানীয় দলীয় চাঁদাবাজ এবং পুলিশের হাতে নিগৃহের ঘটনা এবং বাংলাদেশের দূতাবাস সমূহে তাদের বাংলাদেশী পাসপোর্ট ৮-১০ মাসেও রিনিউ না হওয়া খুবই দুঃখজনক। এসব ঘটনার কারণে কয়েক লক্ষ দ্বিতীয় প্রজন্ম বাংলাদেশী বিশেষজ্ঞ, একাডেমিক, গবেষক, অধ্যাপক, শিক্ষক, চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার প্রভৃতি জনরা বাংলাদেশের উন্নয়নে অংশ নিতে ভয় পান।

সুষ্ঠ নির্বাচন ও সুশাসনের জন্য
নির্দিষ্ট মেয়াদে অন্তবর্তীকালীন সর্বদলীয় সরকার


প্রমানিত সত্য যে, বাংলাদেশে কোন দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠ গণতান্ত্রিক নির্বাচন সম্ভব নয়। অপসংস্কৃতির পাশাপাশি ভুল তথ্য সহ ওয়াজ মাহফিলের ব্যাপক প্রসার জাতিকে ক্রমশ: ধ্বংসের প্রান্তে উপনীত করছে। কিশোর গ্যাং তার একটি প্রকৃষ্ট প্রমান।

দূর্নীতি, দু:শাসন, বিরোধীদলের কন্ঠরোধ করেও সরকার কারচুপি ছাড়া নির্বাচনে জয়ী হবার পথের সন্ধান পাচ্ছেন না। সরকার ভীত, সন্ত্রস্থ। সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন নীতিতে আস্থা সৃষ্টি, সুশাসন করা এবং কয়েকটি ক্ষেত্রে সংবিধানের পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ ও গণভোটে নির্বাচিত মাত্র দুই বৎসর মেয়াদী একটি সর্বদলীয় সার্বজন স্বীকৃত জাতীয় সরকার। জাতীয় সরকারের সদস্য বৃন্দ, ন্যায়পাল ও বিভিন্ন কমিশনের চেয়ারম্যানগন ২০২৮ সন পর্যন্ত কোন নির্বাচনে অংশ নেবেন না। তাদের সকল আর্থিক তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে।

জাতীয় সরকারের প্রধান করণীয় সমূহ
।. প্রথম তিন মাসের মধ্যে
নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচনী আইনের কতক ধারার সংস্কার, গণভোট এবং ‘‘না’’ ভোটের প্রচলন, প্রশ্নবিদ্ধ সাংসদকে ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) ভোটারের স্বাক্ষরে প্রত্যাহার ব্যবস্থা (Recall), জনস্বার্থ সম্পর্কিত বিভাগে ন্যায়পাল (Ombudsman) নিয়োগ, প্রকাশ্যে পান সেবন ও ধূমপান নিষিদ্ধকরন এবং ১৯৮২ সনের জাতীয় ওষুধ নীতি পুরোপুরি কার্যকর করে, ওষুধ,
শৈল্য চিকিৎসা ও রোগ নিরীক্ষার দর সরকার স্থির করে দেবেন। পর্যাপ্ত লাভ দিয়েও ওষুধের সর্বোচ্চ বিক্রি মূল্য অর্ধেকে নেমে আসবে, অপ্রয়োজনীয় ও প্রতারনামুলক ওষুধ বাতিল হবে। সকল ওষূধ কোম্পানী সমূহকে একাধিক কাঁচামাল উৎপাদনে প্রণোদনা দেয়া হবে। মানহানির মামলা করতে হলে ক্ষুব্দ ব্যক্তিকে ন্যূনতম ১০,০০০ (দশ হাজার) টাকা কোর্ট ফি দিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির শহরে ফৌজদারী মামলা করতে হবে। একই মামলা বিভিন্ন জেলার একাধিক আদালতে করা যাবে না।।।. পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে
(ক) বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সহ সকল রাজনৈতিক কর্মী ও আলেমদের জামিন নিশ্চিত করে এক বৎসরের মধ্যে তাদের বিচার শেষ করে রায় কার্যকর করা হবে।
(খ) সুশাসন ও সকল অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশকে ১৫/১৭টি প্রদেশ/ষ্টেটে বিভক্ত করন, প্রত্যেক প্রদেশে/ষ্টেটে ৬-৭ জন বিচারপতি সমন্বিত হাইকোর্ট প্রতিষ্ঠা এবং সুপ্রীম কোর্টে একটি সার্বক্ষনিক সাংবিধানিক বেঞ্চ (Constitutional Bench) সৃষ্টি সহ সুপ্রীম কোর্টে ৬টি স্থায়ী বেঞ্চ থাকবে- (১) ফৌজদারী, (২) দেওয়ানী, (৩) নির্বাচন ও মৌলিক অধিকার, (৪) কোম্পানী বিরোধ ও আয়কর সংক্রান্ত, (৫) সকল প্রকার দূনীতি বিষয়, (৬) যৌন নিপীড়ন ও নারীদের অধিকার।

বিচারাধীন মামলার সংখ্যা অর্ধেকে নেমে আসা অবধি, আদালতের সাপ্তাহিক ছুটি একদিন করা হবে।

(গ) সরকারী চাকুরীতে শিক্ষিত বেকাররা ৪০ বৎসর বয়স অবধি অংশ নিতে পারবে। তবে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে ৩০ বৎসরের মধ্যে যোগ দিতে হবে। শিল্প ও কৃষিতে স্বল্পশিক্ষিতদের ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকবে। শিক্ষিত নবীন বেকাররা ৬মাস বয়োবৃদ্ধ সেবায় প্রশিক্ষন নিয়ে উন্নত দেশ সমূহে অধিক আয় করতে পারবেন।

(ঘ) চিকিৎসা পেশাজীবিদের স্বল্পতা নিরসনে, সুস্থ থাকলে ৭৫ বৎসর পর্যন্ত মেট্রোপলিটন শহরের বাইরে কর্মে পুন:নিয়োগ পাবেন।

(ঙ) জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে সকল সরকারী বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচন নিশ্চিত করা হবে।।।।. পরবর্তী ৯ মাসের মধ্যে
(ক) ২ কোটি দরিদ্র পরিবারের জন্য সাপ্তাহিক রেশনিং চালু হবে, মাসিক ১০০ টাকায় তিন বালবের বিদ্যুৎ সুবিধা এবং মাসিক ২০০ টাকার প্রিমিয়ামে ওষুধসহ সকল প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা পাবেন।
(খ) দূর্নীতি তথ্যের শে^তপত্র প্রকাশ করা হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে পারবে না।
(গ) ভোটার তালিকা সংশোধন, জাতীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন সহজ করা, ৩-৪ প্রদেশে/ষ্টেটে অফিস থাকলে চলবে, প্রত্যেক শাখায় চাঁদা দেওয়া কমপক্ষে ২০০০ সদস্য থাকতে হবে তন্মধ্যে ১/৫ নারী। জাতীয় রাজনৈতিক দল সমূহ তাদের
দলীয় ব্যানারে মিউনিসিপ্যালটি, ইউনিয়ন ও উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
(ঘ) পেশাজীবি, বয়োজ্যৈষ্ঠ অবসরপ্রাপ্ত রাজনীতিবিদ ও সরকারী-বেসরকারী ব্যক্তিদের নিয়ে জাতীয় ও প্রাদেশিক সংসদের উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে।

(ঙ) ইলেকট্রনিক ভোটার মেসিন (ঢলশ) প্রত্যাহার করে নয় মাসের মধ্যে সুষ্ঠ জাতীয় নির্বাচন সমাপন।
     ইভিএমে ভোট কারচুপির সম্ভাবনা সমধিক।
(চ) (১) সুষ্ঠ ও সুলভ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সরকারী ও বেসরকারী মেডিকেল কলেজে প্রতিবছর ২০,০০০ (বিশ হাজার) ছাত্র ভর্তি করা হবে, সমসংখ্যক ছাত্র দন্ত, ফিজিওথেরাপি, নাসিং ও অন্যান্য প্যারামেডিকেল কোর্সে ভর্তি করা হবে।
(২) প্রত্যেক সরকারী ও বেসরকারী মেডিকেল কলেজ ন্যূনতম ১০টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্ব নেবে। ছাত্ররা প্রতি সেসনে একমাস সেখানে অবস্থান করে শিক্ষা নেবে, শহীদদের কবর জেয়ারাত করবে এবং একদিন একটি দরিদ্র পরিবারে অবস্থান করে দরিদ্রতা সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করবে।

(৩) নবীন চিকিৎসকদের ইন্টার্ণশীপের মেয়াদ হবে দুই বৎসর- এক বৎসর নিজ নিজ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং দ্বিতীয় বৎসর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের বিভিন্ন শাখায়। (৪) বেসরকারী ক্লিনিক সমূহ কেবলমাত্র বেসরকারী প্রাইভেট চিকিৎসক এবং অবসরপ্রাপ্ত সরকারী চিকিৎসক দ্বারা পরিচালনা করতে হবে। প্রাইভেট ক্লিনিকে কোন সরকারী চিকিৎসককে সার্বক্ষনিক বা খন্ডকালীন নিয়োগ দেয়া চলবে না।
(ছ) জেনারেল প্রাকটিশনার্স, রেফারেল চিকিৎসা ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রাইভেট প্রাকটিশ পদ্ধতি চালুর উদ্যোগ নেয়া হবে এবং স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো হবে।
(জ) জাতীয় সরকারের প্রথম বাজেটে বার্ষিক ব্যক্তিগত আয় ৫ লাখ টাকা অবধি আয়কর মুক্ত হবে, সকল মেডিকেল যন্ত্রপাতি ও সামগ্রী আমদানী শুল্কমুক্ত হবে। ৫% সুদে কৃষিতে ব্যাপক বিনিয়োগ হবে ঘএঙ দের মাধ্যমে। গড়ে প্রতি ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) লোকের বাসস্থান ইউনিয়নে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রের নিরাপত্তা বেষ্টনী, গভীর নলকুপ, ইলেকট্রিক সাবষ্টেশন,
চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিশিয়ানদের জন্য ৬০০-৮৫০ বর্গফুটের ১০ টি বাসস্থান নির্মান, ছাত্রদের ডরমিটরী, ল্যাবরোটরী ও অপারেশন থিয়েটারের আধুনিকরনে প্রয়োজন হবে মাত্র ১০ (দশ) কোটি টাকা। জাতীয় সরকারের মেয়াদকালে অন্ততপক্ষে ১০০০ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের উন্নয়ন কর্মকান্ড শুরু হবে, প্রাথমিক অবস্থায় ২ জন সার্বক্ষনিক চিকিৎসক
প্রদেশ/ষ্টেট থেকে নিয়োগ দেয়া হবে। ৫ জন নবীন চিকিৎসকের নিয়োগ ব্যবস্থা থাকবে আকর্ষনীয় বেতন ও প্রশিক্ষন সুবিধায়- ইউনিয়ন পর্যায়ে সার্বক্ষনিক অবস্থান ভাতা, বিশেষজ্ঞ ভাতা, শিক্ষকতা ভাতা, বিনে ভাড়ায় বাসস্থান, স্কুল
স্বাস্থ্য কার্যক্রম পরিদর্শন ভাতা প্রভৃতি প্রতি মাসে পাবেন।

(ঝ) কারাগার, পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর হাসপাতাল সমূহ সরাসরি AMC (Army Medical Corps) কর্তৃক পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হবে, ফলে দূর্নীতি বিলুপ্ত হবে।
(ঞ) প্রত্যাগত প্রবাসীদের জন্য বিমানবন্দরে VIP সেবার ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে, শবদেহ সরকারী খরচে দেশে আনা হবে। প্রত্যেক প্রবাসী ৫০ লাখ টাকার জীবন বীমা সুবিধা পাবেন।

আইন শৃংখলা নিশ্চিত করে পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। একই সাথে প্রদেশ/ষ্টেট সংসদের নির্বাচন পরিচালনা করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকার প্রদেশ/ষ্টেট গভর্নর মনোনয়ন দেবেন, তাঁরা নির্বাচিত হতে পারেন প্রাদেশিক সাংসদ দ্বারা।

দেশমান্য তাঁর দীর্ঘ নিবন্ধের শেষ অংশে জাতির কঠিন সংকট উত্তরণে আলোচনার সুবিধার্থে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ ও গণভোটের মাধ্যমে প্রস্তাবিত সর্বদলীয় ও বিশিষ্ট নাগরিক গঠিত জাতীয় সরকারের (উপরে প্রদত্ত) একটা রূপরেখা/কাঠামো উপস্থাপন করেন।

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close