নিউজ

ঢাবি প্রশাসনের বক্তব্য সাম্প্রদায়িক ও ইসলাম বিদ্বেষী- ভিসির বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি

বাংলাদেশী মুসলিমস ইউকে'র বিবৃতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিক্ষক কেন্দ্রে নামাজের স্থান তালা বদ্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাম্প্রদায়িকতা ও ইসলাম বিদ্বেষের পরিচয় দিয়েছে। পবিত্র রমজান মাসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এহেন আচরন খুবই দু:খজনক ও নিন্দনীয়।সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক মিলনায়তন কেন্দ্রে নামাজের জায়গা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক তালাবদ্ধ করে দেয়ায় বৃটেন সর্বদলীয় উলামা সংগঠন বাংলাদেশী মুসলিমস ইউকে সংবাদপত্রে পাঠানো এক বিবৃতিতে উপরোক্ত কথা বলেন ।এ প্রসংগে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা এমদাদুর রহমান মাদানী ও সাধারন সম্পাদক মাওলানা শাহ মিজানুল হক  বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত পরিবেশে স্বাধীন ভাবে সভা সমাবেশ , নাটক , সংস্কৃতি এমনকি প্রেমচর্চা সবই চলতে পারছে কিন্তু কেউ যদি নামাজ পড়তে চায় তা হলে এর সুযোগ কেন থাকবেনা ?বরং বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক দেশেই এরকম পাবলিক প্লেইসে মাল্টি ফেইথ প্রেয়ার  রুম বা ডেজিগনেটেড কোয়ায়েট এরিয়া থাকে যেখানে চাইলে যে কেউ তার একান্ত সময় কাটাতে পারে বা নামাজ প্রার্থনা যার যার মতো করতে পারে । কিন্তু কর্তৃপক্ষ ঢাকা বিশ্বিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক মিলনায়তন কেন্দ্রে এ রকম কোন সূবিধা না রেখে নাগরিকের মৌলিক অধিকার চর্চার সুযোগকে উপেক্ষা করে মূলত: বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সার্বজনীন মৌলিক অধিকারকেই হরন করেছে ।নেতৃবন্দ বলেন,  আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক মিলনায়তন কেন্দ্রে আগতদের মধ্যে যারা নামাজী তারা একটি নিরাপদ জায়গায় দীর্ঘদিন থেকে নামাজ আদায় করে আসছিলো ।কিন্তু হঠাৎ করে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক পরিচয়ে কিছু ছাত্র এতে  বাঁধা প্রদান করে এবং এর সূত্র ধরে কর্তৃপক্ষ জায়গাটি তালাবদ্ধ করে দেয়।এ প্রসঙ্গে সংবাদ পত্রে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বিদ্যালয়ের ভিসি যে বক্তব্য দিয়েছেন এটি শুধু দায়িত্বহীনই নয় বরং এটি   ব্যাক্তি ও নাগরিক স্বাধীনতার প্রতি চরম অবজ্ঞা এবং এতে তাঁর প্রতিক্রিয়াশীল সাম্প্রদায়িক মানসিকতা ও সুষ্পষ্ট ইসলাম বিদ্বষই ফুটে উঠেছে ।তাঁরা বলেন, সংস্কৃতি চর্চা একটি ভাল জিনিষ কিন্তু এর আড়ালে কোন একটি বিশেষ ধর্মের রীতি ও আচারকে প্রমোট করা নি:সন্দেহে নিন্দনীয় ও অগ্রহনযোগ্য।কেউ যদি ইসলাম না মানতে চান বা কোন ধর্মই না মানেন তাতে কেউ আপত্তি করছে না। কিন্তু এসব তথাকথিত প্রগতিশীলতার নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলাম চর্চা নিষিদ্ধ করা নিতান্ত স্বৈরাচারী ও আধিপত্যবাদী মানসিকতার বহি:প্রকাশ ছাড়া আর কিছু নয়। নেতৃবৃন্দ ভিসির বক্তব্য প্রত্যাহার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্য সকলের মতো নির্বিঘ্নে ইসলাম চর্চার সুযোগকে নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রক্টোরিয়াল কমিটি সহ বিশ্বিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close