নিউজ
Trending

র‌্যাবের খুনের অভিযান অব্যাহত

সুরমা প্রতিবেদন। যুক্তরাষ্ট্র র‌্যাব’এর বিরুদ্ধে যে মাদকবিরোধী অভিযানের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগ এনেছিলো,  র‌্যাবতার সেই ভূমিকা থেকে এক বিন্দুও সরে যায়নি। সর্বশেষ  র‌্যা-এর হাতে খুনের শিকার টঙ্গীর আসাদুল ইসলাম আসাদ। দেশে মাদক নেটওয়ার্কের গডফাদার হিসাবে আলোচিত কক্সবাজারে সরকার দলীয় সাবেক এমপি বদি ও তার পুরো নেটওয়ার্ক এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। অথচ র‌্যাব  মাদক দমনের নামে ক্রসফায়ার ও অন্যান্য কায়দায় খুন অব্যাহত রেখেছে।  
আমাদের ঢাকা অফিস খবর দিয়েছে, র‌্যাব’এর উপর নিষেধাজ্ঞার দুই সপ্তাহ না যেতেই গাজীপুরে একই ঘটনা ঘটে । নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনে রবিবার গাজীপুরের টঙ্গীতে  র‌্যাব’এর মাদকবিরোধী অভিযানের সময় আসাদুল ইসলাম আসাদ (৪৬) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগ, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদস্যরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। তবে র‌্যাবের ভাষ্য, আসাদের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয়েছে। এ সময় দুই র‌্যাব সদস্যসহ আসাদ আহত হন। পরে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিলে গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে তার মৃত্যু হয়।
আসাদ মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ির হাসাইল গ্রামের মৃত আবদুল হাইয়ের ছেলে। তিনি এরশাদনগর ৫ নম্বর ব্লকে পরিবার নিয়ে থাকতেন, কাজ করতেন স্থানীয় একটি গাড়ির গ্যারেজে। আসাদের ছেলে নিহাদ বলেন, ‘দুপুর ২টার দিকে প্রথমে সাদা পোশাক পরে র‌্যাব পরিচয় দিয়ে বাসায় ঢোকেন কয়েকজন লোক। পরে আরও কয়েকজন র‌্যাবের পোশাকে ঢোকেন। পরে মাদকের ব্যাপারে জানতে চান তারা। এক পর্যায়ে আমার বাবাকে মারধর করতে থাকেন। বাবাকে যখন মারধর করা হচ্ছিল তখন আমাকে পাশের কক্ষে আটকে রাখা হয়।’

তিনি বলেন, ‘র‌্যাব সদস্যরা আমাকে মেরে ফেলবে এমন হুমকি দিয়ে বাবার কাছ থেকে তথ্য জানতে চান। কিন্তু আমার বাবা বরাবরই মাদকের সঙ্গে জড়িত নন বলে র‌্যাব সদস্যদের জানান। নির্যাতনের এক পর্যায়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে অচেতন অবস্থায় বাবাকে র‌্যাবের গাড়িতে উঠিয়ে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই বাবা মারা যান।’ এদিকে আসাদের লাশ টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে তার স্বজন ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ করে র‌্যাব সদস্যদের বিচার দাবি করেন।

হাসপাতালের সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালে আনার আগেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close