নিউজ

বিজয়ের ৫০ বছর এবং চ্যানেল এস-এর ১৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

লণ্ডন, ২৪ ডিসেম্বর : কেভিড বাস্তবাতায় সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠিত হলো চ্যানেল এস-এর ১৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বাংলাদেশের মহান বিজয়ের ৫০ বছর। এই আয়োজন সাধারণ মানুষের জন্য উন্মোক্ত ছিলো না, তারপরও চ্যানেল এসের ঘনিষ্টজন ও সহযোগিরা শুভেচ্ছা জানাতে ছুটে আসেন ওলথামস্টোর নিজস্ব ভবনে। সবাই বলেছেন, চ্যানেল এস শুধু বিনোদন নয় সামগ্রিকভাবে কমিউনিটির প্রানকেন্দ্র হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। কমিউনিটির নানা বিষয়ে দিক নিদের্শনা দিচ্ছে। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন চ্যানেল এসকে প্রেরিত ভিডিও বার্তায় কোডিভকালে বাংলাদেশী কমিউনিটির ভূমিকার প্রশংসা করেন। আর লণ্ডন মেয়র সাদিক খান বলেন, চ্যানেল এস চ্যারিটি সেক্টরে অনন্য ভূমিকা পালন করছে। গত বছর এনএইচএসসহ বিভিন্ন চ্যারিটির জন্য কালেকশন করেছেন প্রায় ৩.৫ মিলিয়ন পাউণ্ড।
অনুষ্ঠানে বিভিন্নজন ফুলেল শুভেচ্ছা জানান চ্যানেল এস ফাউণ্ডার মাহি ফেরদৌস জলিলকে। এসেছিলেন শতবর্ষি চ্যারিটি ব্যক্তিত্ব দবিরুল ইসলাম চৌধুরীসহ আরো অনেকে। চ্যানেল এস চেয়ারম্যান আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী জেপি দেশের বাইরে থাকলেও অনলাইনে শুভেচ্ছা জানালেন সবাইকে।

রাত সাড়ে ৮টায় হেড অব প্রোগ্রামস ফারহান মাসুদ খানের উপস্থাপনায় অফিশিয়াল লঞ্চিং ছিলো উৎসব মঞ্চে। ফাউণ্ডার ছাড়াও পপলার এমপি আফসানা বেগম, টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র জনবিগসও জন্ম দিনের ক্যাক কাটায় অংশ নেন।
এছাড়া চ্যানেল এস স্টুডিওতে ছিলো দিন ব্যাপী লাইভ অনুষ্ঠানমালা। শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে ছিলো বিশেষ আয়োজন।

মূল অনুষ্ঠানে চেম্বার অব কমার্স,বিবিসিএ, লণ্ডন বাংলা প্রেসক্লাব, জিএসসি, বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যান পরিষদসহ নানা পর্যায়ের ব্যবসায়ি, সামাজিক, সাংস্কৃতি ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব যোগদেন।
চ্যানেল এস‘র ফাউণ্ডার মাহি জলিল বলেন, চ্যানেল এস কমিউনিটির জন্য সচেতনতা মূলক নানা আয়োজন ছাড়াও বাংলাদেশের শিল্প সংস্কৃতি-নগর-গ্রাম গ্রামান্তরকে যথার্থ ভাবে তুলে ধরছে। একই সাথে নেতৃত্ব দিচ্ছে চ্যারিটি সেক্টরে। চ্যানেল এস আগামীতে আরো বেশী পরিবর্তন নিয়ে আসবে। আরো বেশী তরুন প্রজন্মকে যুক্ত করবে। তিনি আরো বলেন, বৃটিশ বাংলাদেশীরা যাতে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভাবে আরো উন্নতি করেন তার জন্য নিদের্শনা মূলক অনুষ্ঠানের কথা ভাবছি আমরা।

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close