বৃটেনে নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সর্বত্র সমালোচনা-উদ্বেগ: এক দেশে দুই আইন

নোটিশ ছাড়া নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া ভুল, এধরণের আইন পাশে এমপিদের লজ্জিত হওয়া উচিৎ: গার্ডিয়ান
।। সুরমা প্রতিবেদন ।।
লণ্ডন, ২৬ নভেম্বর : পূর্বে কোনো ধরণের সতর্কীকরণ নোটিশ ছাড়াই যে কারো ব্রিটিশ সিটিজেনশীপ বা নাগরিকত্ব বাতিলের ক্ষমতা চেয়ে প্রস্তাবিত নতুন ন্যাশনালিটি এণ্ড বর্ডার্স সংশোধনী বিল এনেছে বর্তমান টোরি সরকার। অশ্বেতাঙ্গ বিশেষ করে মুসলমানদের টার্গেট করে হেম সেক্রেটারি প্রীতি প্যাটেলের উত্থাপিত এই সংশোধনী বিল বৃটেনের এথনিক কমিউনিটিকে ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন করেছে এবং সর্বত্র সমালোচিত হচ্ছে। আইন বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, এটি সম্পূর্ণই আইনের শাসনের মূলনীতির লঙ্ঘন। এতে করে একজন ব্যক্তি কিছু জানার আগেই তার নাগরিক অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এধরণের আইন ব্রিটিশ নাগরিকত্বে দ্বি-স্তর বা দ্বৈত নীতি প্রতিষ্ঠা করবে। এ সংক্রান্ত আইনটি উত্থাপিত হবার পর সর্বত্র সমালোচিত হচ্ছে এবং জনমনে উদ্বেগের সৃষ্টি।
বৃটেনের প্রভাবশালী গণমাধ্যম দ্যা গার্ডিয়ানের সম্পাদকীয়তেও এর কঠোর সমালোচনা করে বলা হয়েছে, কোনো ধরণের নোটিশ ছাড়াই কারো নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে মারাত্মক ভুল সিদ্ধান্ত। এছাড়া নাগরিকত্ব সংক্রান্ত এই বিল রাষ্ট্রহীন শিশুদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হতে পারে এবং তাদের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পেতে বাড়তি বিপত্তি হবে বলে এমপিরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। আর হিউম্যান রাইটসের জয়েন্ট কমিটি এক বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে যে, ন্যাশনালিটি এণ্ড বর্ডার্স বিল বৃটেনে জন্ম নেওয়া শিশুদের রাষ্ট্রহীন করা থেকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হবে। তবে হোম সেক্রেটারি কর্তৃক নাগরিকত্ব আইনের প্রস্তাবিত পরিবর্তনটি বর্তমানে হাউস অফ কমন্সে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, হাউস অফ লর্ডসে এখনো উত্থাপিত হয়নি। হাউস অব লর্ডস চাইলে এই আইনের সংশোধনী প্রস্তাব করতে পারে।
এদিকে, অত্যন্ত কঠোর ও বিপজ্জনক এই বিলটি যাতে পাশ না হয়, সেজন্যে ইতোমধ্যে সিগনেচার ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। দেড় লক্ষ সিগনেচারের টার্গেট নিয়ে অনলাইনভিত্তিক ওই ক্যাম্পেইনে কয়েক দিনেই লক্ষাধিক সিগনেচার জমা পড়েছে।
সম্প্রতি বৃটেনের গণমাধ্যমগুলো বেশ ফলাও করে এসংক্রান্ত সংবাদটি প্রকাশ করেছে। এসব সংবাদ থেকে জানা যায়, সরকার চাইলে যে কোনো মূহুর্তে কোনো ধরণের আগাম সতর্কীকরণ নোটিশ ছাড়া, যে কোনো সময় যে কারো ব্রিটিশ নাগরিত্ব বাতিল করতে পারবে। বৃটেনের নতুন ন্যাশনালিটি এণ্ড বর্ডার্স বিলে প্রস্তাবিত সংশোধনী অনুযায়ী কোনো সতর্কীকরণ ছাড়াই কারো ব্রিটিশ নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার এই ক্ষমতা দেয়া হচ্ছে।
গার্ডিয়ানের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি মাসের শুরুতে উত্থাপিত প্রস্তাবিত সিটিজেনশীপ বিলের ধারা ৯ অনুযায়ী একজন ব্যক্তিকে নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করার সিদ্ধান্তের নোটিশ সরবরাহ করার দায় থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। সরকার যদি মনে করে জাতীয় নিরাপত্তা, কূটনৈতিক সম্পর্ক বা জনস্বার্থে এমনটি করা বাস্তব সম্মত, তাহলে তা করতে পারবে।
সমালোচকরা বলছেন, নাগরিকত্ব অপসারণ, যেমন শামিমা বেগমের ক্ষেত্রে করা হয়েছে। যিনি একজন স্কুল ছাত্রী থাকাবস্থঅয় সিরিয়ায় তথাকথিত ইসলামিক স্টেইটে যোগ দেওয়ার জন্য বৃটেন থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। এখন বিনা নোটিশে নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার মানে হলো এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে অসীম ক্ষমতা প্রদান করা।
ইন্সটিটিউট অফ রেস রিলেশনস-এর ভাইস চেয়ার ফ্রান্সেস ওয়েবার বলেছেন, এই সংশোধনী আমদের জানান দেয় যে, যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণ করা, বড় হওয়া এবং অন্য কোথাও কোনো নাগরিকত্ব না থাকা কিছু নাগরিক এখনো বৃটেনে অভিবাসী হিসেবে আছে। এই বিল পাশ হলে তাদের নাগরিকত্ব এবং সেই সাথে তাদের সমস্ত আনুষঙ্গিক অধিকার অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
এই আইন ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত দ্বৈত নাগরিকদের (যারা বেশিরভাগই জাতিগত সংখ্যালঘু) নাগরিকত্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করার পূর্ববর্তী ব্যবস্থাগুলির ওপর ভিত্তি করে তৈরী। আগের আইনটি বিদেশে অবস্থান করা কালে কেবলমাত্র ব্রিটিশ মুসলিমদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে। এটি স্পষ্টতই আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের বাধ্যবাধকতা এবং ন্যায্যতার মৌলিক নিয়মগুলির লঙ্ঘন।
২০০৫ সালে লণ্ডনে বোমা হামলার পর ব্রিটিশ নাগরিকদের নাগরিকত্ব বাতিল করার জন্য হোম অফিসকে ক্ষমতা দেয়া হয়। কিন্তু ২০১০ সালের তৎকালীন হোম সেক্রেটারি টেরিজা মে’র সময় এর ব্যবহার বৃদ্ধ পায় এবং ২০১৪ সালে তা আরো বিস্তৃত করা হয়।
২০১৮ সালে এই নোটিশ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা ইতিমধ্যে দুর্বল করা হয়েছিলো, যার ফলে একজন ব্যক্তির ফাইলে একটি অনুলিপি রেখে হোম অফিসকে নোটিশ দেওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছিলো। তবে তা কেবলমাত্র কোনো ব্যক্তির অবস্থান অজানা থাকলে প্রয়োগ করা যেত।
প্রস্তাবিত নতুন ধারাটি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কাউকে কোনো ধরণের নোটিশ দেয়ার প্রয়োজনীয়তা পুরোপুরি দূর করবে। এই ধারাটি আইনে পরিণত হওয়ার আগে কোনও ব্যক্তির বিনা নোটিশে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়ে থাকলে তা ভূতপূর্বভাবে প্রয়োগ হবে, যা তাদের আপিল করার ক্ষমতাকে খর্ব করবে।
রিপ্রিভের পরিচালক মায়া ফোয়া বলেছেন, এই ধারা প্রীতি প্যাটেলকে গোপনে আপনার নাগরিকত্ব অপসারণের অভূতপূর্ব ক্ষমতা দেবে। এমনকি আপনাকে জানানোরও দরকার হবেনা। ফলস্বরূপ আপনার আপীল প্রত্যাখ্যাত হবে। তিনি আরো বলেন, এই সরকারের অধীনে ব্রিটিশ জাতীয়তা বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা ব্যাক্তির চেয়ে গাড়ী চালাতে গিয়ে স্পীডিং এর দায়ে আভিযুক্ত ব্যক্তির অনেক বেশী অধিকার আছে। এটি আবারও প্রমাণ কেও যে আইনের শাসনের প্রতি এই সরকারের কতটা কম শ্রদ্ধা রয়েছে।
তিনি বলেন, মার্কিন সরকার নাগরিকত্ব ছিন্ন করাকে নিজের নাগরিকদের দায়িত্ব অস্বীকার করার বিপজ্জনক প্রবণতা বলে নিন্দা করেছে। ব্রিটিশ মন্ত্রীদের এই গভীর বিপথগামী এবং নৈতিকভাবে ঘৃণ্য নীতিকে আর না বাড়িয়ে আমাদের নিকটতম নিরাপত্তা মিত্রের কথা শোনা উচিত।
বিলের প্রস্তাবিত অন্যান্য পরিবর্তনগুলোও ইতিমধ্যে সমালোচিত হয়েছে। এর মধ্য আছে যারা অবৈধ পথে বৃটেনে এসেছে তাদের আশ্রয়ের আবেদন কোন বিবেচনা ছাড়াই প্রত্যাখান করা। তাদেরকে ক্রিমিনাল হিসাবে চিহ্নিত করা এবং চ্যানেল অতক্রম করার সময় পুশব্যকের কারণে কারো মৃত্যু হলে তার দায় থেকে বর্ডার ফোর্সকে অব্যহতি দেয়া। তবে হোম অফিস বলেছে, ব্রিটিশ নাগরিকত্ব একটি বিশেষ সুযোগ, এটা কোনো অধিকার নয়। যারা যুক্তরাজ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ বা যাদের আচরণ খুব বেশী ক্ষতির সাথে জড়িত তাদের নাগরিকত্ব বঞ্চিত করা সঠিক পদক্ষেপ।
নোটিশ ছাড়া কারো নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে ভুল: গার্ডিয়ানের দৃষ্টিভঙ্গি
ব্রিটিশ সরকারের নতুন প্রস্তাবিত ন্যাশনালিটি এণ্ড বর্ডার্স বিল সম্পর্কে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্যা গার্ডিয়ান। এ সংক্রান্ত তাদের সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে Ñ কোনো ধরণের নোটিশ ছাড়াই কারো নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়াকে ভুল এবং এধরণের আইন পাশে এমপিদের লজ্জিত হওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করা হয়েছে। এতে বলা হয়ে, ব্যক্তিকে জানার অধিকার না দিয়ে নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত প্রীতি প্যাটেল অপ্রতিদ্বন্দ্বী থাকার জন্য পছন্দ করতে পারেন। কিন্তু অন্য কেউ এই ধরনের শীতল পদক্ষেপকে স্বাগত জানানো উচিত নয়।
গত সপ্তাহে জাতীয়তা এবং সীমানা বিলে পাচার করা একটি ধারার কারণে লোকেদের আর জানানোর প্রয়োজন হবে না যে তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এটি একটি অন্যায্য এবং কঠোর পদক্ষেপ যা সংসদ সদস্যদের আইন পাস করতে লজ্জিত হওয়া উচিত। একজন ব্যক্তি কীভাবে এমন একটি সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে যা তারা জানে না? এটা কল্পনা করা কঠিন যে হোম সেক্রেটারি প্রীতি প্যাটেল, যিনি মৃত্যুদণ্ডের জন্য আন্দোলন করেছেন, এই ধরনের অন্যায্য, কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঘুম হারাবেন। কিন্তু বিষয়টি তাঁর আবার ভাবা উচিত।
আইনের শাসনের নীতি হল যে কোনও ব্যক্তির অধিকারের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ার আগে সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানার অধিকার রয়েছে। বর্তমানে, হোম অফিসকে কাউকে নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করার আগে তাদের সাথে যোগাযোগ করার কিছু প্রচেষ্টা করতে হবে। মন্ত্রীরা মনে করেন যে এই আইনী প্রয়োজনীয়তাকে কার্যনির্বাহী বিচক্ষণতার পক্ষে বাদ দেওয়া উচিত কারণ সন্ত্রাসবাদের হুমকি এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভয়। নতুন এই ক্ষমতা ব্যতিক্রমীভাবে বিস্তৃত: নোটিশের প্রয়োজন হবে না যদি এটি দেওয়া ‘যুক্তিসঙ্গতভাবে ব্যবহারযোগ্য’ না হয়; অথবা ‘জাতীয় নিরাপত্তা’ বা কূটনৈতিক সম্পর্কের স্বার্থে; অথবা অন্যান্য ‘জনস্বার্থ’র কারণে।
হোম সেক্রেটারি ব্রিটিশ নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করতে পারেন যখন এটি ‘জনগণের মঙ্গলের জন্য উপযোগী’ হবে, তবে সেই ব্যক্তিকে রাষ্ট্রহীন করবে না। একটি বিলে আছে: ন্যাচারালাইজড বা প্রাকৃতিক নাগরিকরা তাদের ব্রিটিশ জাতীয়তা হারাতে পারে যদি সরকারের কাছে বিশ্বাস করার জন্য ‘যুক্তিসঙ্গত কারণ’ থাকে যে তারা অন্য দেশের নাগরিকত্ব অর্জন করতে পারে। এই ধরনের ব্যক্তিদের না জানিয়ে তাদের নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করা আইনের অন্যতম মৌলিক মূল্যবোধ থেকে পিছিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
এটি ব্রিটিশদের একটি গোষ্ঠীকে, বিশেষ করে অ-শ্বেতাঙ্গ নাগরিকদের এবং বিশেষ করে মুসলিমদের কাছে একটি বার্তা পাঠায় যে, যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণ ও বেড়ে ওঠা সত্ত্বেও এবং অন্য কোনও বাড়তি সুযোগ না থাকা সত্ত্বেও, তাদের নাগরিকত্ব নিরাপদ নয়। মনে হচ্ছে, উইণ্ডরাশ কেলেঙ্কারি থেকে শিক্ষা নেওয়া হয়নি। অন্যান্য জাতির সাথে সম্পর্কযুক্ত নাগরিকদের বলা হচ্ছে যে তারা সতর্কতা ছাড়াই তাদের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকতে পারে এবং নিরাপত্তার জন্য এতটা সংবেদনশীল বলে মনে করা হয় যে তারা কখনই প্রকাশ্যে নাও আসতে পারে।
মন্ত্রীরা যুক্তি দিয়েছেন যে তারা চূড়ান্তভাবে গণতান্ত্রিকভাবে দায়বদ্ধ এবং এটি বিচারিক সম্মানের ভিত্তি। কিন্তু গোপনীয়তায় আবৃত এবং সামান্য তত্ত্বাবধানে করা জাতীয় নিরাপত্তার সিদ্ধান্তের জন্য গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতা নেই বা খুব কম। ২০০৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে, জাতীয় নিরাপত্তার কারণে ১৭৫ জন তাদের নাগরিকত্ব হারিয়েছেন। কিন্তু সেইগুলির মধ্যে ১০০টি ঘটনা ঘটেছে মাত্র এক বছরে এবং ২০১৭-এর মধ্যে। ব্রিটিশ নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত হওয়ার বিষয়ে মন্ত্রীদের বিলম্ব এবং সম্ভবত তথ্য অস্বীকার করার বিষয়ে আরও অবকাশ দেওয়ার খুব কম কারণ আছে বলে মনে হয়।
এই নীতিটি সম্ভাব্যভাবে প্রতিকূল-উৎপাদনশীল। ইউকে তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনা করে এমন লোকদের নির্বাসন দিয়ে তার আন্তর্জাতিক দায়িত্ব এড়াতে চায়। বৃটেনের উচিত এমন লোকদের সাথে বাড়িতেই আচরণ করা, অন্যদের পরিচালনা করার জন্য তাদের বোঝা সরানো নয়। গুরুতর অপরাধের জন্য এখন নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করা হতে পারে এবং ‘গ্রুমিং গ্যাং’ এর সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে। এতে জনসাধারণের সামান্য সহানুভূতি থাকতে পারে, কিন্তু একবার নজির প্রতিষ্ঠিত হলে সম্ভবত কম জঘন্য অপরাধের জন্য দোষী অন্য ব্যক্তিদেরও লক্ষ্যবস্তু করা যেতে পারে। ২০০৩ সালে হাউস অফ লর্ডসের একটি চূড়ান্ত রায়ে, লর্ড স্টেইন বিজ্ঞতার সাথে বলেছিলেন যে, ‘বিস্ময়কে ন্যায়বিচারের শত্রু হিসাবে গণ্য করা হয়।’ সংসদ সদস্যদের এই ধারা প্রত্যাখ্যান করা উচিত। নাগরিকত্ব মন্ত্রীদের ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল কোনো বিশেষাধিকার নয়, তবে একটি মর্যাদা যার ভিত্তিতে আইনি আদেশ তৈরী করা হয়।

https://issuu.com/home/published/sur001_163a8e8af109f6