নিউজবাংলাদেশহোম

পাকিস্তানীরা সারেণ্ডার করলেও কিছু দালাল রেখে যায়: শেখ হাসিনা

।। সুরমা ডেস্ক ।।
লণ্ডন, ২৪ নভেম্বর : এক যুগ ধরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসা শেখ হাসিনা বলেছেন, ক্ষমতায় থেকে জনগণের জন্য কাজ করাই তার লক্ষ্য। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বুধবার সংসদে আনা বিশেষ প্রস্তাবের উপর আলোচনার সময় এই কথা বলেন তিনি। এদিন সংসদে বিশেষ আলোচনায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভাষণ দেওয়ার পর প্রস্তাব উত্থাপন করেন সরকার প্রধান শেখ হাসিনা। পরে তিনি আলোচনারও সূত্রপাত ঘটান।

শেখ হা‌সিনা ব‌লেন, “আমরা শুধু ক্ষমতা‌কে ভোগ করার বস্তু হি‌সে‌বে নিইনি। ক্ষমতা মা‌নে হ‌চ্ছে জনগ‌ণের সেবা করার সু‌যোগ পাওয়া, জনগ‌ণের কাজ করার সু‌যোগ পাওয়া, জনগ‌ণের ভাগ্য প‌রিবর্ত‌ন করার সু‌যোগ পাওয়া।”  আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে গত এক যুগে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন ঘটিয়েছে, তা তুলে ধরেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ‌কে আমরা আমাদের দারিদ্র্যের হার ২০ ভা‌গে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। য‌দি এই করোনা মহামারী না থাক‌ত, তাহ‌লে কিন্তু আমরা এটা ১৭ ভাগে নামিয়ে আনতে পারতাম। যেভা‌বে আমরা প‌রিকল্পনা নি‌য়ে‌ছিলাম। “করোনার কারণে দে‌শের কাঙ্ক্ষিত অগ্রযাত্রা কিছুটা হ‌লেও ব্যাহত হয়েছে। তারপরেও আমা‌দের উন্নয়নের চাকা কিন্তু থেমে যায়‌নি। আমা‌দের প্রবৃ‌দ্ধি আমরা আট ভা‌গের উপ‌রে এ‌নে‌ছিলাম। কিন্তু এই ক‌রোনার কার‌ণে যখন বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, বিশ্বব‌্যাপী যেখা‌নে সমস‌্যা সেখা‌নে আমরা এককভা‌বে কতটুকু কর‌ব।তারপরও আমি বল‌তে পা‌রি, দক্ষিণ এশিয়ায় আমরা সব থেকে বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশ। ১১টি অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। কা‌জেই আমরা এভাবে আমাদের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”

ক‌রোনাভাইরাস মহামারী মোকা‌বেলায় সরকা‌রের নেওয়া নানা পদ‌ক্ষে‌পের কথাও জানান সরকার প্রধান।  তি‌নি ব‌লেন, “ইতোম‌ধ্যে নয় কো‌টি ডোজ দেওয়া হ‌য়ে‌ছে ভ‌্যাক‌সি‌নের। কেউ এর ম‌ধ্যে চার কো‌টির ম‌তো পে‌য়ে‌ছে দ্বিতীয় ডোজ। ভ‌্যাক‌সি‌নের কোনো অভাব হ‌বে না। “প্রণোদনা প‌্যা‌কেজ দি‌য়ে আমরা আমা‌দের অর্থনী‌তি সচল রাখ‌ছি। কৃষক‌দের উৎসা‌হিত ক‌রে‌ছি সব ধর‌নের ভর্তু‌কি দি‌য়ে যা‌তে ক‌রে আমা‌দের ফসল উৎপাদনটা অব‌্যাহত থা‌কে। যেন খা‌দ্যের কোনো কষ্ট না হয়।” শেখ হাসিনা বলেন, “শত বাধা অতিক্রম করেও বাংলা‌দেশ আজ‌কে এগিয়ে যাচ্ছে। আমা‌দের আরও এগি‌য়ে যে‌তে হ‌বে। সেই প‌‌রিকল্পনা কাঠা‌মোটাও আমি ক‌রে রে‌খে‌ছি।”বাংলার মানু‌ষের জন্য জা‌তির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মু‌জিবুর রহমানের আজীবন সংগ্রা‌মের কথা তু‌লে ধ‌রার পাশপা‌শি স্বাধীনতার পর যুদ্ধ‌বিধ্বস্ত দেশ গ‌ড়ে তুল‌তে তার নেওয়া নানা পদ‌ক্ষে‌পও তু‌লে ধ‌রেন তিনি। পাকিস্তান থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফেরার পর বঙ্গবন্ধু যে জনগণের কাছেই আগে গিয়েছিলেন, তাও তুলে ধরেন তার মেয়ে শেখ হাসিনা। “আমরা বাবাকে পাই পরে। জনগণ পায় আগে। এটাই হ‌‌চ্ছে বাস্তবতা। তার কাছে জনগণই ছিলো সব থেকে বড়।”

তিনি বলেন, “আমি দীর্ঘদিন রাষ্ট্র চালাচ্ছি। প্রতিটি ক্ষেত্রে যখনই কাজ করতে যাই, তখন এটা লক্ষ‌্য ক‌রি যে প্রতিটি ক্ষে‌ত্রে ভি‌ত্তিটা তি‌নি তৈরি করে দিয়ে গেছেন। আমার কাছে এটা বিস্ময় মনে হয় যে এত অল্প সময়ে কীভাবে এত কাজ করে যেতে পারেন।”  বাংলা‌দে‌শের প্রতিটা ক্ষেত্রের উন্নয়‌নে ‌বঙ্গবন্ধু পদ‌ক্ষেপ নি‌য়ে‌ছি‌লেন উল্লেখ ক‌রে ‌শেখ হা‌সিনা ব‌লেন, “দুর্ভাগ্য হলো যখন তিনি এই যুদ্ধ‌বিধ্বস্ত দেশ গ‌ড়ে তুল‌ছেন, তখন কিছু লোকের মনে হ‌ল যেন তারা একটা অস্থিরতায় ভুগছি‌ল। নানা ধর‌নের সমা‌লোচনা, নানা ধর‌নের কথা, নানা ধর‌নের আলোচনা, আমা‌দের অনেক নির্বা‌চিত সংসদ সদস‌্যকে হত‌্যা করা…. অর্থাৎ… ।

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী সারেন্ডার করেছিল স‌ত্যিই, কিন্তু তারা তাদের কিছু দালাল, যুদ্ধাপরাধী এ‌দের  রেখে যায়। “যারা বাংলা‌দেশ স্বাধীন দেশ হিসেবে মর্যাদাপূর্ণ একটা অবস্থানে যাক চায়নি, তারা এটা সহ্য করতে পারেনি। এটা নি‌য়ে নানা ধর‌নের অপপ্রচার চা‌লি‌য়ে.. অপপ্রচার ক‌রেও যখন দে‌খে জনগণের কাছ থে‌কে জা‌তির পিতা‌কে সরা‌তে পা‌রে না, তখনই পচাঁত্তরের ১৫ অগাস্ট নির্মমভাবে তাকে হত্যা করল।”

এরপর নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় ফেরার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, নানা ঘাত প্রতিঘাত অ‌তিক্রম ক‌রে ১৯৯৬ সা‌লে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন ক‌রে মানু‌ষের কল‌্যাণে কাজ শুরু ক‌রে।

২০০৯ সালে আবার ক্ষমতায় ফেরানোর পর বারবার নির্বাচিত করায় জনগণকে ধন‌্যবাদও জানান শেখ হা‌সিনা।

ক‌রোনাভাইরাস মহামারী মোকা‌বেলায় সরকা‌রের নেওয়া নানা পদ‌ক্ষে‌পের কথাও জানান সরকার প্রধান।  তি‌নি ব‌লেন, “ইতোম‌ধ্যে নয় কো‌টি ডোজ দেওয়া হ‌য়ে‌ছে ভ‌্যাক‌সি‌নের। কেউ এর ম‌ধ্যে চার কো‌টির ম‌তো পে‌য়ে‌ছে দ্বিতীয় ডোজ। ভ‌্যাক‌সি‌নের কোনো অভাব হ‌বে না। “প্রণোদনা প‌্যা‌কেজ দি‌য়ে আমরা আমা‌দের অর্থনী‌তি সচল রাখ‌ছি। কৃষক‌দের উৎসা‌হিত ক‌রে‌ছি সব ধর‌নের ভর্তু‌কি দি‌য়ে যা‌তে ক‌রে আমা‌দের ফসল উৎপাদনটা অব‌্যাহত থা‌কে। যেন খা‌দ্যের কোনো কষ্ট না হয়।” শেখ হাসিনা বলেন, “শত বাধা অতিক্রম করেও বাংলা‌দেশ আজ‌কে এগিয়ে যাচ্ছে। আমা‌দের আরও এগি‌য়ে যে‌তে হ‌বে। সেই প‌‌রিকল্পনা কাঠা‌মোটাও আমি ক‌রে রে‌খে‌ছি।”বাংলার মানু‌ষের জন্য জা‌তির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মু‌জিবুর রহমানের আজীবন সংগ্রা‌মের কথা তু‌লে ধ‌রার পাশপা‌শি স্বাধীনতার পর যুদ্ধ‌বিধ্বস্ত দেশ গ‌ড়ে তুল‌তে তার নেওয়া নানা পদ‌ক্ষে‌পও তু‌লে ধ‌রেন তিনি। পাকিস্তান থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফেরার পর বঙ্গবন্ধু যে জনগণের কাছেই আগে গিয়েছিলেন, তাও তুলে ধরেন তার মেয়ে শেখ হাসিনা। “আমরা বাবাকে পাই পরে। জনগণ পায় আগে। এটাই হ‌‌চ্ছে বাস্তবতা। তার কাছে জনগণই ছিলো সব থেকে বড়।”

তিনি বলেন, “আমি দীর্ঘদিন রাষ্ট্র চালাচ্ছি। প্রতিটি ক্ষেত্রে যখনই কাজ করতে যাই, তখন এটা লক্ষ‌্য ক‌রি যে প্রতিটি ক্ষে‌ত্রে ভি‌ত্তিটা তি‌নি তৈরি করে দিয়ে গেছেন। আমার কাছে এটা বিস্ময় মনে হয় যে এত অল্প সময়ে কীভাবে এত কাজ করে যেতে পারেন।”  বাংলা‌দে‌শের প্রতিটা ক্ষেত্রের উন্নয়‌নে ‌বঙ্গবন্ধু পদ‌ক্ষেপ নি‌য়ে‌ছি‌লেন উল্লেখ ক‌রে ‌শেখ হা‌সিনা ব‌লেন, “দুর্ভাগ্য হলো যখন তিনি এই যুদ্ধ‌বিধ্বস্ত দেশ গ‌ড়ে তুল‌ছেন, তখন কিছু লোকের মনে হ‌ল যেন তারা একটা অস্থিরতায় ভুগছি‌ল। নানা ধর‌নের সমা‌লোচনা, নানা ধর‌নের কথা, নানা ধর‌নের আলোচনা, আমা‌দের অনেক নির্বা‌চিত সংসদ সদস‌্যকে হত‌্যা করা…. অর্থাৎ… ।

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী সারেন্ডার করেছিল স‌ত্যিই, কিন্তু তারা তাদের কিছু দালাল, যুদ্ধাপরাধী এ‌দের  রেখে যায়। “যারা বাংলা‌দেশ স্বাধীন দেশ হিসেবে মর্যাদাপূর্ণ একটা অবস্থানে যাক চায়নি, তারা এটা সহ্য করতে পারেনি। এটা নি‌য়ে নানা ধর‌নের অপপ্রচার চা‌লি‌য়ে.. অপপ্রচার ক‌রেও যখন দে‌খে জনগণের কাছ থে‌কে জা‌তির পিতা‌কে সরা‌তে পা‌রে না, তখনই পচাঁত্তরের ১৫ অগাস্ট নির্মমভাবে তাকে হত্যা করল।”

এরপর নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় ফেরার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, নানা ঘাত প্রতিঘাত অ‌তিক্রম ক‌রে ১৯৯৬ সা‌লে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন ক‌রে মানু‌ষের কল‌্যাণে কাজ শুরু ক‌রে।

২০০৯ সালে আবার ক্ষমতায় ফেরানোর পর বারবার নির্বাচিত করায় জনগণকে ধন‌্যবাদও জানান শেখ হা‌সিনা।

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close