মুক্তচিন্তা

কাশ্মীরে মোদীর নতুন খেলার চালটি কি?

।। আখলাক আহমেদ ।।

লেখক: কূটনৈতিক সম্পাদক, সাপ্তাহিক সুরমা।

ভারতের নরেন্দ্র মোদীর সরকার ‘কাশ্মীর সমস্যা’ সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গির কিছুটা পরিবর্তন করেছে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে, কারণ নানারকম চাপে কাবু মোদীর সামনে আরো কিছু নতুন কৌশলগত অগ্রাধিকার এসে পড়েছে যেগুলোর দিকে বেশী নজর দেয়া প্রয়োজন। যদি রাজনীতির মধ্যে দৌড় ঝাঁপ এবং কথা চালাচালি একমাত্র সূচক হয়, তাহলে বলা যেতে পারে যে ভারত-শাসিত কাশ্মীরের রাজনৈতিক দৃশ্যে গত কয়েক মাসে নতুন কিছু তর্গং অনুভুত হচ্ছে। ২০২১ সালের গ্রীষ্মের শুরুতে নয়াদিল্লি কাশ্মীরের স্থানীয় বশংবদদের সাথে (কাশ্মীরিরা যাদেরকে দালাল হিসেবে অভিহিত করে আসছে) একটি নতুন সংলাপ শুরু করে, যা কাশ্মীর উপত্যকার বিদ্রোহী জনজণকে বশীভূত ও শাসন করতে সাহায্য করার জন্য বশংবদদের উপর আবারও কেন্দ্রের আস্থা রাখার বহিঃপ্রকাশ।
২০১৯ সালের ৫ আগষ্টের পর যখন ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত কাশ্মীরের নামমাত্র স্বায়ত্তশাসনকে প্রত্যাহার করা হয় এবং এর বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারকে দেশের পার্লামেন্ট দ্বারা জায়েজ ঘোষণা করা হয়, তখন কাশ্মীরের দিল্লিপন্থী রাজনৈতিক দল ও নেতাগুলো নিজেদের অস্তিত্ব সংকটের মুখোমুখি হয়ে পড়ে। কাশ্মীরি হয়েও ভারতের দালালির জন্যে চিরকাল ধরে ঘৃণিত এই দল ও নেতারা দেখতে পায় তাদেরকে তাদের নয়াদিল্লির প্রভুরাও পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে।

তবে দুই বছর ধরে প্রায় সাতলক্ষ সেনা দিয়ে ২৪ ঘন্টা কারফিউ জারি রেখেও সুবিধা করতে না পেরে অবশেষে চলতি বছরের জুন মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কাশ্মীরের বশংবদ দলগুলিকে নয়াদিল্লিতে একটি বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এবং অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কিছু লোকের মতে, তাদেরকে “মন খুলে কথা বলতে” নাকি মোদি উৎসাহিত করেছিলেন। স্থানীয় দালালেরা এখন আবার দৃশ্যপটে ফিরে এসেছে এবং আবারও কাশ্মীরি জনগণের ইচ্ছার “প্রতিনিধিত্বকারী ‘ হিসেবে নিজেদেরকে তুলে ধরবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তবে খুবই আগ্রহোদ্দীপক তথ্য হল এই বৈঠকের প্রায় ছয় মাস আগে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ভারত দুবাইয়ে পাকিস্তানের সাথে গোপন আলোচনা করেছিল “কাশ্মীর নিয়ে সামরিক উত্তেজনা শান্ত করার” জন্য। পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মুইদ ইউসুফ পরে প্রকাশ করেছিলেন যে আলোচনার জন্যে প্রথমে আগ্রহ ব্যক্ত করা হয়েছিল নয়াদিল্লির তরফ থেকেই।

কাশ্মীর নিয়ে ইসলামাবাদকে সম্পৃক্ত করার ভারতের সিদ্ধান্ত নানা মহলে ব্যাপক কৌতুহল তৈরী করেছে বৈকি। ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি পর থেকে ভারত কোনদিনই কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান দূরের কথা অন্য কোন তৃতীয় পক্ষের সাথেও কথা বলতে চায়নি, এই যুক্তিতে যে এটি তাদের একটি অভ্যন্তরীণ সমস্যা, এবং এ নিয়ে বাইরের কোন দেশের সাথে আলোচনার কিছু নেই। পাকিস্তানের সাথে এই আলোচনায় কাশ্মীরের দিল্লিপন্থী দলগলোরও তেমন আপত্তি ছিল না বলে জানা যায়। এতে কওে ওয়াকিবহাল মহলের অনেকেরই মনে প্রশ্ন উঠছে যে কাশ্মীর নিয়ে নয়াদিল্লির নতুন কোন পরিকল্পনা আছে কি না? বোদ্ধঅমহলের অনেকেই হিসবে মিলাতে পারছেন না “কাশ্মীর সমস্যা” সম্পর্কে ভারত সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিতে এমন আকস্মিক এবং বাক ঘুরানো পরিবর্তনের কারণ কী?

ভারতের ধর্মাশ্রয়ী মৌলবাদি দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকারের মতো উগ্রজাতীয়তাবাদী সরকারগুলি তাদের বিদেশী এবং দেশীয় নীতিগুলি এই অলীক ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি করে যে তারা মানে করে তাদের সমস্ত পদক্ষেপ এবয় নীতি প্রতিপক্ষের চেয়ে বহু গুণে শ্রেষ্ঠ এবং একইভাবে অজেয়। যাইহোক, সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে পর্যায়ক্রমে যতই তারা বাস্তবতার মুখোমুখি হয় ততই তারা বুঝতে পারে যে তাদেও কৌশল না সেরা, আর না অজেয়। তাদের নিজেদেরই আত্মবিশ্বাস প্রশ্নবিদ্ধ হয় এবং বুদ্ধিমান হলে তাদের অগ্রাধিকার এবং কৌশলগত পরিকল্পনাকে পুনরায় সাজায়।

গত কয়েক বছরে সামরিক দিক দিয়ে মোদির সরকার এরকম দুটি অপমানকর সামরিক বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছিল। ভারতের সামিরক সক্ষমতা ও মোদিও নেতৃত্ব যাচাইয়ের জন্যে এই দুটো ঘটনা ছিল বড় ধরনের এসিড টেষ্ট। প্রথমত, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান একটি ভারতীয় বিমানকে ভুপাতিত করে ফেলেছিল যা পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে প্রবেশ করেছিল এবং তার পাইলটকে জীবিত অবস্থায় বন্দী করেছিল। ইসলামাবাদ পরবর্তীতে পাইলটকে “সদিচ্ছার নিদর্শন স্বরুপ” ছেড়ে দেয় বটে, কিন্তু অপমানজনক ঘটনাটি ভারতের উগ্র হিন্দুজাতীয়তাবাদী সরকারের উপর একটি স্থায়ী মনোযাতনার চিহ্ন রেখে গিয়েছে এবং সম্ভবত এটি কাশ্মীরের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গির পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করেছে।

দ্বিতীয়ত ২০২০ সালের জুন মাসে ভারতের কেন্দ্রশাসিত লাদাখ-এর পূর্বে ভারত-শাসিত কাশ্মীর-এবং চীনের মধ্যে বিতর্কিত সীমান্তে চীনা বাহিনীর সঙ্গে সহিংস সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন ভারতীয় সৈন্য নিহত হয়। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয় সংঘর্ষের সময় চীনা সামরিক বাহিনী বেশ কিছু কৌশলগত এলাকাও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় এবয় ভারতীয় সৈন্যদের তাড়িয়ে দেয় যা কিনা পূর্বে ভারতীয় বাহিনী কর্তৃক দাবিকৃত ও তাদের টহলাধীন ছিল।

ভারত সরকার এবং এর হুক্কাহুয়া মিডিয়া এই চীনা আগ্রাসন দ্বারা এতটাই বিচলিত হয়ে উঠেছিল যে তারা প্রাথমিকভাবে কোন প্রতিক্রিয়াই জানাতে পারছিলনা। প্রথমে ছিল কবরের নিরবতা এবং তারপরে জ্বলজ্যান্ত অস্বীকার। কিন্তু বিশে^ও নানা মিডিয়ায় যখন খবর আসতে থাকে যে চীনা সৈন্যরা কোর প্রকার গুলির ব্যবহার ছাড়াই দুই ডজন ভারতীয় সেনাকে পিটিয়ে মেরে ফেলে, গোটা ভারত জুড়ে শোর মাতম উঠে। কিন্তু ভারত সরকার আর তার জেনারেলরা যা বুঝার বুঝে যায়। চীনের সাথে টক্কও দেয়ার মতো সক্ষমতা থেকে ভারত এখনো যোজন যোজন দূরে। পরবর্তীতে মোদী সরকার চীনের মালিকানাধীন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টিকটককে ভারতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং উগ্রজাতীয়তাবাদী গর্ব প্রদর্শন পূর্বক কিছু চীনা তৈরি পূরোনো টেলিভিশন বারান্দা থেকে ফেলে দিয়ে এবং তা মিডিয়ায় ধারণ ও প্রচার করে চীনের বিরুদ্ধে কিছুটা প্রতিশোধ নেয়। কিন্তু সেখানেই বক বকানি বন্ধ হয়ে যায়, যদিও টিভি পর্দায় আরো কিছুদিন এর রেশ থাকে। নয়াদিল্লি জানত যে চীনের সাথে একটি বাণিজ্য যুদ্ধ বা সামরিক লড়াইয়ের সামর্থ্য সে রাখে না।

এই উপলব্ধির আলোকে পাকিস্তান এবং চীনের সাথে একযোগে দ্বিপক্ষীয় দ্বন্দ্বে জড়ানোটা কোন বুদ্ধিসুলভ কাজ হবেনা ভেবেই কাশ্মীরে পাকিস্তানের প্রতি সাদা পতাকা ওড়ানোটাকে ভারত সরকার তার প্রাথমিক কৌশলগত অগ্রাধিকারে পরিণত করে। সম্ভবত এ কারণেই তার স¤প্রতি ইসলামাবাদের সঙ্গে গোপন আলোচনায় অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাকিস্তানের সাথে গোপন আলোচনা করে কাশ্মিরে কিছুটা স্থিতিশীলতা আনা গেলে ভারতের পশ্চিমাঞ্চল থেকে চাপ দূর হবে এবং এটি চীনের সাথে তার সীমান্তে মনোনিবেশ করার জন্যে কিছুটা অবকাশ দেবে, বিশেষত যেহেতু বেইজিং এই অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে কোন রকম উদ্যোগ নেবে বলে মনে হচ্ছে না।

ভারতের সাথে সীমান্ত নিয়ে এই দ্বন্দ্বের বিষয়ে বেইজিংয়ের সরকারী বিবৃতি পরিমাপযোগ্য আত্মবিশ্বাস প্রদর্শন করে, এবং এই বষয়ে ইঙ্গিত করে যে চালকের আসনে তারাই রয়েছে। এছাড়া নয়াদিল্লি আরেক ধরনের ‘মাইনকার চিপাতে‘ও পড়েছে বলে মনে হয়। সীমান্ত প্রশ্নে সে চীনকে খুব বেশি ছাড়ও দিতে পারছেনা এবং চীনের সাথে যে মাফটাফ চেয়ে সম্পর্ক বাড়াবে সে উপায়ও তার নেই, কারণ নয়াদিল্লি ইতিমধ্যেই নতুন জোট কোয়াডে [অস্ট্রেলিয়া, ভারত, জাপান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কৌশলগত জোট যা বেইজিংয়ের আঞ্চলিক প্রভাবকে কমিয়ে আনার উপর জোর দেয়] তার নাম লিখিয়ে ফেলেছে। চীনের কাছে কোন ছাড় তথাকথিত কোয়াডে মোদির দেশের অবস্থানকে জটিল করে তুলতে পারে- ।

নয়াদিল্লির বাহ্যিক দুর্ভোগ এখানেই থেমে নেই। আমেরিকান বাহিনী যে দ্রুততায় আফগানিস্তান থেকে সরে গেছে এবং তালেবান ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে তা নয়াদিল্লির কৌাশলগত ভাবনায় ছিল বলে মনে হয়নি। ভারতের প্রতি অনুগত আফগানিস্তানের আশরাফ গনি সরকার তার ক্ষমতার দিনগুলোতে প্রায়ই ভারতের প্রক্সি হয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কথঅ বলতো এবং সেখানে কোন হামলা হলেই পাকিস্তানের দিকে আংগুল তুলতো, যা নয়াদিল্লিকে প্রভুত সাহায্য করতো। আফগানিস্তোনের ক্ষমতার মসনদ বদলকে ভারতের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সংস্থা আঞ্চলিক ক্ষমতার ভারসাম্যের জন্য আরেকটি হুমকি হিসেবে দেখছে। যেহেতু তালেবান ইসলামাবাদের সাথে একটি শক্তিশালী এবং পারস্পরিক উপকারী সম্পর্ক বজায় রেখেছে, ভারত এই গোষ্ঠীর ক্রমবর্ধমান শক্তিকে কেবল তার নিরাপত্তার জন্যই নয় বরং তার আঞ্চলিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্যও হুমকি হিসেবে দেখে।

আফগানিস্তানের পরিস্থিতি কাশ্মীরের সশস্ত্র বিদ্রোহকে কীভাবে প্রভাবিত করতে পারে এবং পাকিস্তান আফগান এবং কাশ্মীরি যোদ্ধাদের মধ্যে অভিজ্ঞতা এবং মতাদর্শ বিনিময়কে উৎসাহিত করতে পারে কিনা সে বিষয়ে ভারতকে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন বলে মনে হচ্ছে। এছাড়াও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং উচ্চপদস্থ তালেবান কর্মকর্তাদের মধ্যে সা¤প্রতিক বৈঠকের উদাহরণ হিসেবে বেইজিংয়ের তালেবানদের নতুন কিন্তু ক্রমবর্ধমান গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিতভাবেই নয়াদিল্লিতে অনেকের চোখ ঘুরিয়ে দিয়েছে।

এতোসব চাপে পড়ে মোদির ভারত সরকার “কাশ্মীর সমস্যা” সম্পর্কে তার স্থায়ী দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন করেছে বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। তবে এই পরিবর্তন এই কারণে নয় যে কাশ্মীরি জনগণের জন্যে চরম সাম্প্রদায়িক মোদির হৃদয়ে ভালো কিছু রয়েছে কারণ এমনটি হলে তার সরকার কখনো ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করতোনা এবং প্রায় একলক্ষ বর্গমাইলের একটি দেশকে দুই বছর ধওে লক ডাউনে রাখতো না। ােদিও ভারত জানে আন্তর্জাতিক কোন ফ্রন্ট থেকৈই তাদেও জন্যে ভালো কোন খবর নেই। তাই তার কৌশলগত অগ্রাধিকারকে ঢেলে সাজাতে হচ্ছে। কিন্তু ভারতের সা¤প্রতিক কৌশলগত কৌশলে কি ভারতের অমানিবক সামরিক শাসনের অধীনে বসবাসকারী কাশ্মীরিদের জীবনে কিছু পরিবর্তন হবে?

আপাতত, সমস্ত লক্ষণ ইঙ্গিত দেয় যে কাশ্মীরের পরিস্থিতির যে কোনও পরিবর্তন গুণগত পরিবর্তনের চাইতেকসমেটিক হবে। ভারত সরকার কাশ্মীরে ২০১৯-এর আগে যে স্থিতিশীলতা ছিল ( সত্যিকার আর্থে কাশ্মীরে ১৯৪৭ সালের পর থেকে একদিনের জন্যেও কোন স্থিতিশীলতা ছিলনা) একটি তাবেদারি সংস্করণ পুনরুদ্ধার করার জন্য কাজ করছে বলে মনে হচ্ছে, যেখানে আঞ্চলিক তাঁবেদার নেতা ও তাদের দলগুলি কাগজে পত্রে কিছু ক্ষমতা পাবে কিন্তু বাস্তবে বিজেপির খগড়তলে তাদেও গলা পেতে রাখতে হবে সবসময়। নয়াদিল্লির জন্য তার স্থানীয় তাবেদার দালাল সহযোগীদেরকে কিছু কর্তৃত্ব দেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর ফলে আন্তর্জাতিক ভাবে তারা এই ভান করতে পারবে যে “কাশ্মীরের সবকিছু স্বাভাবিক” । এবং যেহেতু এই স্থানীয় দালাল দলগুলি কাশ্মীরের যেকোন সম্ভাব্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য টাকার বিনিময়ে প্র¯তুত থাকবে, তাই নয়াদিল্লি এই ‘ম্যানফ্যাকচারড‘ স্বাভাবিকত কে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের কাছে বিক্রি করতে পারে এটি প্রমাণ করার জন্য যে কাশ্মীরে একটি কার্যকরী গণতন্ত্র রয়েছে।

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close