ক্রিকেট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিরতিতে স্টোকস

সুরমা ডেস্ক: অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্রিকেট থেকে বিরতি নিয়েছেন বেন স্টোকস। কিছুদিন আগে যখন মূল ওয়ানডে দলকে করোনার কারণে পাকিস্তান সিরিজ থেকে ছিটকে দিয়েছিল, সে সময় হাতের চোট উপেক্ষা করেও অনভিজ্ঞ এক দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ফিরেছিলেন এই অলরাউন্ডার। পুরোপুরি সুস্থ না হয়েও প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে সে সিরিজ খেলার ব্যাপারে স্টোকস বলেছেন, দল এমন বিপদে না পড়লে এমন চোট নিয়ে খেলার কথা চিন্তাও করতেন না। দেশটিকে একমাত্র ওয়ানডে বিশ্বকাপ এনে দেওয়ার কীর্তিতে ও আছেন স্টোকস।
দলের জন্য এমন নিবেদিত এই ক্রিকেটারের অনির্দিষ্টকালের জন্য বিরতিতে যাওয়াতে ভারতের বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ টেস্ট সিরিজে তাকে পাচ্ছে না ইংল্যান্ড। স্টোকসের এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে সরাসরি কোনো কারণ দেখানো হয়নি। তবে ইসিবির বিবৃতিতে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, সেটায় বোঝা গেছে মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তির লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত স্টোকসের। করোনাকালে একটি সিরিজ মানেই কঠিন পরীক্ষা।
কোয়ারেন্টিন পর্ব, আইসোলেশন ও জৈব সুরক্ষা মিলিয়ে ক্রিকেটারদের দীর্ঘ সময় পরিবার থেকে দূরে থাকতে হচ্ছে। সে সঙ্গ গত এক বছর অনেক বড় একটা সময় সফরে কাটিয়েছেন স্টোকস। ঘরের মাঠের খেলাগুলোতেও পরিবার থেকে দূরে থাকতে হয়েছিল। এরই মাঝে পাকিস্তানের সঙ্গে গত বছর সিরিজের মাঝপথে একবার নিউজিল্যান্ডে গিয়েছিলেন বাবাকে দেখতে। ডিসেম্বরে বাবার মৃত্যু সংবাদও পেয়েছেন বেন।
এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে ইংল্যান্ডের ছেলেদের ক্রিকেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাশলি জাইলস বলেছেন, ‘নিজের অনুভূতি ও ভালো থাকার ব্যাপারে মুখ খুলে বেন অনেক সাহসের পরিচয় দিয়েছে। সব সময় আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল আমাদের লোকজনকে মানসিকভাবে ভালো রাখা, তাদের সুরক্ষা দেওয়া। স্বাভাবিক সময়েই খেলার জন্য প্রস্তুত হওয়া এবং শীর্ষ মানের খেলা উপহার দেওয়া অনেক চাপ সৃষ্টি করে। বর্তমান মহামারির সময়ে সেটা আরও বহুগুণে বেড়েছে।’
করোনার কারণে ক্রিকেটারদের মানসিক স্বাস্থ্যের কী হাল সেটাও প্রকাশ পেয়েছে জাইলসের বিবৃতিতে, ‘অনেক বড় একটা সময় পরিবার থেকে দূরে থাকা, ন্যূনতম স্বাধীনতার মধ্যে থাকা খুবই কঠিন। গত ১৬ মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে এমন আবহের মধ্যে খেলার প্রভাব সবার মধ্যেই পড়েছে। বেনের যতটুকু সময় দরকার ততটুকুই পাবে। আশা করি ভবিষ্যতেও ইংল্যান্ডের হয়ে তাঁকে খেলতে দেখব।’