ব্রিকলেইনের ঐতিহ্য রক্ষার দাবীতে ১৮ জুলাই বিক্ষোভ: যোগ দেয়ার আহবান
লণ্ডন, ১৬ জুলাই : ব্রিকলেইনকে কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেয়ার প্রতিবাদে মাঠে নেমেছেন স্থানীয়রা। তাঁরা টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে দ্রুত এ সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবী জানিয়েছেন। ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ১৮ জুলাই, রোববার আবারও এক বড় ধরণের বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন তারা। এ বিক্ষোভকে ব্রিকলেইনের ঐতিহ্য রক্ষার শেষ সুযোগ বলে আখ্যায়িত করেছেন আয়োজকরা। এতে সকলকে যোগ দেয়ার আহবান জানানো হয়েছে।
গত ১৮ জুলাই রোববার দুপুর ১২টায় বিক্ষোভকারীরা আলতাব আলী পার্কে জড়ো হবেন। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে তারা ব্রিকলেন প্রদক্ষিণ করবেন। এরপর স্থানীয় অ্যালেন গার্ডেনে অনুষ্ঠিত হবে সমাবেশ। বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ বিক্ষোভ কার্যক্রম চলবে। ব্রিকলেইনের ঐতিহ্যবাহী ট্রুম্যান ব্রিউরিতে (১৪০-১৪৬ ব্রিকলেইন) একটি পাঁচ তলা অফিস ভবন ও শফিং সেন্টার গড়ে তেলার প্রস্তাব করেছে একটি বড় বাণিজ্যিক গোষ্ঠী। স্থানীয়দের মতামত উপেক্ষা করে এই প্রস্তাবের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল। এ কারণেই প্রতিবাদে নেমেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সাতটি সংগঠনের সম্মিলনে গড়ে তোলা হয়েছে ব্যাটল ফর ব্রিকলেইন।
প্রতিবাদকারীরা বলছেন, ব্রিকলেইন একটি ঐতিহ্যবাহী বসতি এলাকা যা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বহন করছে। এখানে সাধারণ মানুষজনের বসবাস। এখানে বড় বাণিজ্যিক গোষ্ঠীকে জায়গা দেয়া হলে এ এলাকার পুরো নিয়ন্ত্রণ কর্পোরেটদের হাতে চলে যাবে। স্থানীয় দোকান-পাট ও ঘর-বাড়ির ভাড়া ও দাম বৃদ্ধির কারণে বছরের পর বছর ধরে বসবাস করে আসা স্থানীয়রা আর এখানে টিকতে পারবেন না। তাই ট্রুম্যান ব্রিউয়ারিতে বড় বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত স্থানীয়দের জন্য ধ্বংসাত্মক।
তাঁরা বলেন, এই প্ল্যানিং পারমিশন নিয়ে কাউন্সিল যে মতামত যাচাই করেছে তাতে ৭ হাজার ১৩০ জন মতামত প্রদানকারীর মধ্যে ৭ হাজার ৫১ জন ওই প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান তুলে ধরেছেন। কিন্তু এই ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষের মতামতকে উপক্ষা করে কাউন্সিল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রস্তাবের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। কাউন্সিলের এমন অবস্থানকে গণতন্ত্রের নামে প্রহসন বলে মন্তব্য করেন প্রতিবাদকারীরা। প্রতিবাদকারীরা বলেন, স্থানীয়দের স্বার্থ রক্ষা হয় সেটি নিশ্চিত করে তবেই যে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিতে হবে।
ব্যাটল ফর ব্রিকলেইন ক্যাম্পেইনের সঙ্গে যুক্ত সংগঠনগুলো হলো — ইস্ট অ্যাণ্ড ট্রেইডস গিল্ট, ইস্ট এণ্ড প্রিজারভেশন সোসাইটি, দি স্পিটালফিল্টস ট্রাস্ট, স্পিটালফিল্টস লাইফ, নিজ্জর মানুষ, স্পিটালফিল্টস হাউজিং এসোসিয়েশন, এসেমবল এবং ২৫ প্রিন্সলেট স্ট্রিট।