চুপিসারে বিয়ে সারলেন প্রধানমন্ত্রী, আগামী গ্রীষ্মে হানিমুন
।। সুরমা প্রতিবেদন ।।
লণ্ডন, ৪ জুন : অনেকটা চুপিসারেই বিয়ে সারলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আর জানাজানি হওয়ার পর অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসছেন বরিস জনসন ও তার স্ত্রী ক্যারি সাইমণ্ডস। তবে শিগগিরই হানিমুনে যাচ্ছেন না এই যুগল। এর পরিবর্তে আগামী গ্রীষ্মে পরিবার ও বন্ধুদের আরও একটি বড় অংশের সঙ্গে নিজেদের বিয়ে উদযাপন করতে চান তারা। গার্ডিয়ানসহ প্রধান প্রধান ব্রিটিশ গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
একই সাথে ইতিহাস গড়েছেন এই যুগল।
গত ২৫১ বছরে বৃটেনের ইতিহাসে কোনও প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে বিয়ের পিঁড়িতে বসেননি। সেই রেকর্ড ভেঙে বিয়ে করে নতুন রেকর্ড গড়েন বরিস জনসন।
২০১৯ সালের শেষ দিকে মাস্টিক দ্বীপে ইনগেজমেন্ট সারেন বরিস জনসন ও ক্যারি সাইম-স। ২০২০ সালের এপ্রিলে তাদের ছেলে উইলফ্রেড এর জন্ম হয়। তার মাত্র কয়েক দিন আগে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী।
৩০ মে, রবিবার প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও ক্যারি সাইম-সের বিয়ের ছবি প্রথমবারের মতো প্রকাশ পায়। তাতে প্রধানমন্ত্রীকে কালো স্যুট এবং উজ্বল নীল রংয়ের টাইয়ের সঙ্গে গোলাপের মুকুট পরিহিত স্ত্রীর সঙ্গে দেখা যায়। জানা গেছে ক্যারি এখন থেকে ক্যারি জনসন নামে পরিচিত হবেন।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিয়েতে ক্যাথেলিক চার্চের আশীর্বাদ রহসের সৃষ্টি করেছে। ২ বার বিচ্ছেদপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীকে ওয়েস্টমিনস্টার ক্যাথেড্র্যালে বিয়ে করার অনুমতি দেওয়ায় বিভিন্ন জন প্রশ্ন তুলেছেন। পাঠকদের প্রশ্নের আলোকে কয়েকটি চিঠিও ছাপিয়েছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ান। প্রকাশিত চিঠিগুলো বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে।
দীর্ঘদিন চার্চে পুরোহিতের দায়িত্ব পালনকারী ক্রিস লার্কম্যান নামের এক ব্যক্তি লিখেছেন, আমি দক্ষিণ ল-নে রোমান ক্যাথলিক পুরোহিত হিসাবে ১০ বছর কাজ করেছি এবং ক্লেয়ারের সাথে দেখা হওয়ার পরে আমি মন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলাম এবং আমরা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। দ্বিতীয় পোপ জন পল আমাদের চার্চে বিবাহ করার অনুমতি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তাঁর প্রশ্ন — এটি কি বরিস জনসন সর্বদা নিজের জন্য যা চান তা পান, বা চার্চের নিয়মগুলি কোনও যুক্তিযুক্ত যুক্তিকে অস্বীকার করে, বা সম্ভবত এটি উভয়টাই?
আরেকজন লিখেন — আটাশ বছর আগে বউর্নেমাউথের একটি ক্যাথলিক গির্জায় আমি এবং আমার স্ত্রীকে আশীর্বাদ করতে অস্বীকার করা হয়েছিলো। কারণ এর আগে আমার বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল। আমার প্রথম বিবাহ একটি রেজিস্টার অফিসে হয়েছিল, তবে এটি কোনও ক্যাথলিক অনুষ্ঠান নয় এই কারণেই বিচ্ছেদের কথা বলা হয়নি। যাই হোক, যেহেতু আমার প্রথম বিয়ে থেকেই আমার কোনও সন্তান না হওয়ার কারণে পুরোহিত জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে আমার প্রথম স্ত্রী সন্তান ধারণ করতে অস্বীকার করে থাকেন তাহলে সে কারণে এটি বাতিল হতে পারে। স্পষ্টতই, বরিস জনসনের নিজের কল্পিততার কারণে এটি প্রয়োগ করা যায়নি। আমরা ভেবেছিলাম যে যদি কোনও মিথ্যার উপর ভিত্তিতে করে নতুন সম্পর্ক তৈরী শুরু করা হলে তা কোনো ভালো পন্থা হবে না এবং তাই আমরা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করি।