নিউজ

ঐতিহাসিক পতাকা উত্তোলন দিবসের সভা থেকে বৃহত্তর ঐক্যের ডাক: বিএনপির রাজশাহীর সমাবেশ থেকে আন্দোলনের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান

।। সুরমা ডেস্ক ।।
লণ্ডন, ৫ মার্চ – দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সকল রাজনৈতিক শক্তির বৃহত্তর ঐক্যের ডাক দিয়েছে বিএনপি। ঐতিহাসিক পাতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষে বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভা থেকে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ আহবান জানান। ২ মার্চ, মঙ্গলবার বিকালে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলায়নে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার আগে মিলনায়তনের সামনে বিএনপি মহাসচিবকে নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন আসম আবদুর রব। ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ডাকসু ভিপি স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা আ স ম আবদুর রব প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন কিরেছিলেন। অপরদিকে, বিএনপি’র রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ থেকে নেতাকর্মীদের নতুন করে আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ইতিমধ্যে রাজপথ উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। অচিরেই সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে। এই আন্দোলনে সবাইকে সামিল হতে হবে।

বক্তব‍্য রাখছেন মির্জা ফখরুল

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে দেশের একমাত্র প্রধান সংকট হচ্ছে যে, আমাদেরকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে — টু রিস্টোর ডেমোক্রেসি। আজকে আমাদের গণতন্ত্র হারিয়ে গেছে, স্বাধীনতার সমস্ত চেতনা লুন্ঠন করে নিয়েছে। আজকে এই ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী সরকারকে সরিয়ে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করবার জন্যে বিএনপিকে নেতৃত্ব দিতে হবে।
তিনি বলেন, এখানে আসম আবদুর রবের যে বক্তব্য, মাহমুদুর রহমান মান্নার যে বক্তব্য, নুরুল হক নুরের যে বক্তব্য সেই বক্তব্যে একথা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, সমস্ত রাজনৈতিক শক্তিগুলো যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে তারা আজকে ঐক্যবদ্ধ হতে চায়, ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে দূর্বার গণআন্দোলন সৃষ্টি করে তারা সরকারের পতন ঘটাতে চায় এবং সত্যিকার অর্থেই জনগণের একটা পার্লামেন্ট, জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আসুন আজকে আমরা সেই শপথ নিয়ে আমরা সেই লক্ষ্যে আগামী সংগঠিত হই।

আওয়ামী লীগ জাতিকে বিভক্ত করেছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমরা দুর্ভাগ্যজনকভাবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গোটা জাতি বিভক্ত হয়ে গেছে। তারা শুধুমাত্র তাদেও নেতা এবং যে সমস্ত নেতৃবর্গ আছেন তাদেরকে ছাড়া আর কাউকে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য, স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্যে স্বীকৃতি দিতে চায় না।
স্বাধীনতা কোনো একজন বিশেষ ব্যক্তি বা কোনো বিশেষ গোষ্ঠি বা দলের কারণে আসেনি। স্বাধীনতা এসেছে দীর্ঘকাল ধরে এদেশের মানুষের যে স্বাধীনতা আকাংখা আমি যতটুকু দেখেছি যে, সেই বৃটিশ পিরিয়ড থেকে এদেশের মানুষ স্বাধীনতার আকাংখা করে আসছিলো, সেজন্য এখানে বৃটিশদের বিরুদ্ধে স্বদেশী আন্দোলন হয়েছে, পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে উঠে যার নেতৃত্ব দিয়েছে বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ।
দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্বাকারী নেতৃবর্গ শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দি, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশী শ্রদ্ধা জানাতে চাই যিনি যুদ্ধ ঘোষণা না করলে এদেশের স্বাধীন হওয়া হতো না, তিনি যুদ্ধ ঘোষণা না করলে সারাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তো না, তিনি যুদ্ধ ঘোষণা না করলে সত্যিকার অর্থেই যে চেতনার জন্য আমরা লড়াইটা করেছিলাম Ñ একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সেটা সম্ভব হতো।
দুর্ভাগ্য আমাদের স্বাধীনতার পরে যারা ক্ষমতায় বসলেন তাদের হাতে গণতন্ত্র হত্যা হলো, তারা সর্বপ্রথম পুরনো কালাকানুন বিশেষ ক্ষমতা আইন, জরুরী অবস্থার আইন এবং সর্বোপরি সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে দিয়ে একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করল। তাদেও যে রাজনৈতিক ক্যামেস্টি, তাদেও যে চিন্তা-দর্শন সেখানে একটা একনায়কতান্ত্রিকতা, একটা স্বৈরাচারী মনোভাব ইনহেরেন্ট তাদের মধ্যে রয়ে গেছে। সেই কারণে এতো দীর্ঘকাল পরে আবার ক্ষমতায় আসার পরে তারা সেই ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করবার জন্য একই পথ বেঁছে নিয়েছে।
তিনি বলেন, আজকে দুর্ভাগ্য আমাদের রাষ্ট্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো দলবাজ হয়ে পড়েছে, তাদের দলীয়করণ করা হয়েছে। আমাদের স্বপ্ন ১৯৭১ সালের সব স্বপ্ন ভেঙে তছনছ কওে দেয়া হয়েছে।

১৯৭১ সালে যে যুদ্ধ আমরা করেছিলাম, যে স্বপ্ন দেখেছিলাম সেই স্বপ্নগুলো ভেঙে চূরমার করেছে। এই ৫০ বছরে আওয়ামী লীগ দেশকে শুধু বিভক্ত করেছে, এই ৫০ বছর সমস্ত অধিকারগুলোকে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। উন্নয়নের কথা বলে, সিঙ্গাপুর বানানোর কথা বলে, উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার কথা বলে আজকে আমাদের সম্পদ লুট করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। লুটেরাদের হাতে এদেশকে দিয়ে দেয়া হয়েছে।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সূচনা লগ্নে প্রথম স্বাধীন দেশের পতাকা উত্তোলনকারী জাতীয় সামাজতান্ত্রিক দল জেমসডির চেয়ারম্যান আসম আবদুর রব বলেন, একাত্তরের আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে একেবারে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে সীমাবদ্ধ করে রাখতে চায়। এই ধরনের সংকীর্ণতা মুক্তিযুদ্ধকে অসন্মানের শামিল।
সমগ্র জাতির নিরচ্ছিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামের পরিণতিতে মুক্তিযুদ্ধ এবং অগণিত মানুষের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়েই আমরা লাভ করেছি আমাদের স্বাধীনতা।
সা¤প্রতিক সময়ের ঘটনার প্রতি ইংগিত করে তিনি বলেন, বাঁচতে হলে লড়তে হবে, লড়াই করে জিততে হবে। এই লড়াই বাঁচার লড়াই, এই লড়াইয়ে জিততেই হবে। বাঁশের লাঠির পাল্টা উত্তর দিতে হবে। সেই ভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।

জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব কেড়ে নেয়ার উদ্যোগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই উদ্যোগ সরকার মুক্তিযুদ্ধের ভিলেন হিসেবে চিত্রিত হবে। রাষ্ট্রের যে বীরত্ব প্রদর্শন করা হয়েছে সে বীরত্ব বাতিলের অধিকার কারো নেই। বীরত্ব কারো অনুগ্রহ নয়, এটা অর্জন।
জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের অপচেষ্টা থেকে সরকারকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিও জানান তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করছে। আমাদের সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের উদ্দেশ্যে Ñ জনগণের কাছে, নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরা। সেইজন্য আমরা ৩রা মার্চ পালন করছি। ইতিমধ্যে কোনো দল সেটা করেনি। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে তারাও কিন্তু এই দিবসটি স্মরণ করতে চায় না। কনো চায় না। কারণ গত একদশক ধরে তারা বিকৃত ইতিহাস তুলে ধরছে। কেননা যারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে, তারা স্বৈরাচার-ফ্যাসিস্ট ছিলো এবং নতুন পদবী অর্জন করেছে আন্তর্জাতিকভাবে মাফিয়াতন্ত্র। এই যে তারা মাফিয়াতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে তারা এই দেশের মানুষকে নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানাতে চায় না। যদি প্রকৃত ইতিহাস দেয়া হয় তাহলে আওয়ামী লীগের অবস্থান অনেক পেছনে পড়ে যায়।

নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ছাত্র দল সেইদিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে যেভাবে প্রতিরোধ করেছে সেজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমি বলতে চাই, এই প্রতিরোধের দেয়াল আরো শক্ত করতে হবে। নিজেরা নিজেদের মনে সিদ্ধান্ত নেন লড়াই এখন কেবল খ- খন্ড নয়, ছোট-ছোট, খণ্ড খণ্ড লড়াই করতে করতে সেই লড়াইকে সাথে করে এক জায়গা নিয়ে একবার সবাইকে রাস্তায় নেমে পড়তে হবে।
তিনি বলেন, চলেন সবাই মিলে এক সাথে বাঁচবার জন্য লড়াই করি জীবনবাজী রেখে। আমাদের দাবী একটাই Ñ এই অবৈধ সরকারকে চলে যেতে হবে। একবার যদি পথে নামি আর পথ থেকে ফিরে আসবো না যতক্ষণ পর্যন্ত তারা চলে না যায় Ñ আজকের দিনে এটাই আমাদের শপথ হোক। তাহলে আমি মনে করি, আমাদের পঞ্চাশ বছরপূর্তি সফল হবে।

ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, কারাগারের একজন লেখককে হত্যা করা হয়েছে। তাকে বির্তকিত একটি কালো আইনে কারাগারে আটকিয়ে রাখা হয়েছিলো। এই আইনটি স্বাধীন মত প্রকাশের অন্তরায়। এই আইনের অধীনে এ পর্যন্ত এক হাজার মামলা হয়েছে তার একটিরও নিষ্পত্তি হয়নি। ম্যাক্সিমা কেইসগুলো আপনি দেখবেন যে, মোটামুটি দেরিতে হলোও জামিনে বেরিয়ে এসেছে। তার মানে এটা স্পষ্ট যে, যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। একই আইনে লেখক মুশতাক আহমেদ গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো। অনেকে বিহাই- দ্যা সিন জানেন না। এই মাফিয়াদের সি-িকেট শক্তিশালী বলেই মুশতাক জামিন পায়নি। সরকারের এই নিপীড়ন নির্যাতনের বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান তিনি।
জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব সালামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, আমানউল্লাহ আমান, এসএম ফজলুল হক, খায়রুল কবির খোকন, শিরিন সুলতানা প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

রাজশাহীর সমাবেশ থেকে আন্দোলনের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান:
বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ থেকে নেতাকর্মীদের নতুন করে আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ইতিমধ্যে রাজপথ উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। অচিরেই সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে। এই আন্দোলনে সবাইকে সামিল হতে হবে।

গত ২ মার্চ, মঙ্গলবার বিকালে রাজশাহী মহানগরীর মাদরাসা ময়দান সংলগ্ন একটি কমিউনিটি সেন্টারের পাশে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তিনি বলেন, বৃদ্ধ বয়সে প্রস্তুত আছি। জীবনের শেষবিন্দু রক্ত দিয়ে হলেও গণতন্ত্র উদ্ধারের আন্দোলনে আমি আছি। সকলে প্রস্তুতি নিন। টুকু বলেন, দেশ এখন দুর্নীতিতে ভরে গেছে। ফরিদপুরের ছাত্রলীগ সভাপতিই দুই হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। তাহলে রাঘব-বোয়ালরা কত টাকা পাচার করেছে তার হিসাব দেশের জনগণ নেবে। তিনি বলেন, পুলিশ এখন সরকারি দলের কর্মী বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। স্বাধীনতার আগে থেকেই দেশের নানা সমস্যার সমাধান হয়েছে রাজপথে। এবারও রাজপথেই ফয়সালা হবে।

সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা লে. কর্নেল (অব.) আবদুল লতিফ ঢাকা থেকে আন্দোলন জোরদার করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, আমরা সাতদিনের মধ্যে সরকারের পতন দেখতে পাব। এর জন্য ঢাকার রাজপথে রক্ত দিতে হবে। রাজশাহী, রংপুর, চট্টগ্রামে আন্দোলন করে কিছু হবে না। ঢাকাকে সুসংগঠিত করতে হবে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন ঢাকায় আন্দোলন জোরদার করার ঘোষণা দেন। ইশরাক বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আজ একটা সুন্দর পরিবেশ থাকার কথা ছিল। তার বদলে আমাদের আন্দোলনের বার্তা নিয়ে রাজশাহী আসতে হয়েছে। আমাদের আন্দোলন শুরু হয়েছে। তাবিথ আউয়াল বলেন, আজ জাতীয় ভোটার দিবস। অথচ মানুষ ভোটই দিতে পারে না। আমরা এমন অবস্থা চাই না। সে কারণে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।

সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সারোয়ার, হারুনার রশিদ এমপি, রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত। এছাড়াও বক্তব্য দেন Ñ বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সামসুল হক প্রামানিক, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নাদিম মোস্তফা প্রমুখ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। সমাবেশ পরিচালনা করেন নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন। সমাবেশে বিভাগের আট জেলার সভাপতি ও সম্পাদকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী অংশ নেন।

উল্লেখ্য, সোমবার সকাল থেকে রাজশাহীর সঙ্গে দেশের সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও তারা বিভিন্ন যানবাহনে সমাবেশে আসেন। দুপুরের পর থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে তারা সমাবেশে যোগ দেন। পথে পথে পুলিশের সদস্যরা সন্দেহজনক ব্যক্তিদের শরীর তল্লাশি করে। সমাবেশকে ঘিরে রাজশাহীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close