মুক্তচিন্তা

মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ সমরে জিয়ার সাহসিকতার খেতাব বাতিল কার স্বার্থে?

ডক্টর এম মুজিবুর রহমান

লেখক: সংবাদ বিশ্লেষক, সাবেক সহকারী অধ্যাপক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।

(প্রথম পর্ব)
এক:
১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে ‘উই রিভোল্ট’ বলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ব শুরু করেছিলেন তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান। রণাঙ্গনে জিয়াউর রহমান সম্মুখ সমরে অংশ নেয়ার পাশাপাশি যুদ্ধের পরিকল্পনা প্রণয়নেও তাঁর বুদ্বিদীপ্ত ভূমিকার কথা মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের ভাষণ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন লেখাতে উঠে এসেছে। তিনি যুদ্ধ ঘোষণা এবং নিজে যুদ্ধ করেছেন। যুদ্ধের শেষ ভাগে সিলেট অঞ্চলে তাঁর বাহিনীর কাছেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করে। মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে অদম্য সাহসিকতার নিদর্শনস্বরূপ তাঁকে ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত করা হয়।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্বের রণাঙ্গনে সাহসিকতার খেতাব বাতিলের কারণ সম্পর্কে বিভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে । সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সময়ে প্রতিষ্ঠিত জামুকার একটি সভায় খেতাব বাতিলে যেসব বক্তব্য উঠে এসেছে তা ইতিহাস ও বাস্তবতার সাথে শুধু অসামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বরং প্রতিহিংসা ও বিদ্বেষী মনোভাবের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ । স্বাধীনতা যুদ্বে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধা, ইতিহাসবিদ এবং তখনকার সামরিক কর্মকর্তাদের বিভিন্ন গ্রন্থের দালিলিক তথ্য বিশ্লেষণ করলে মুক্তিযুদ্ব ও জিয়াউর রহমান ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে প্রমাণিত হয় । ইতিহাসের কি নিয়তি, মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং আত্মমর্যাদাশীল ও আধুনিক বাংলাদেশ গড়তে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা অনন্য । আর এজন্যই আধিপত্যবাদী গোষ্ঠী আবেগ তাদের দোসরদের কাছে জিয়াউর রহমান বড়ই মনোবেদনার কারণ।   

আন্তর্জাতিক ও দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতির দিকে চোখ রাখলে এটা বুঝার জন্য বড় বিশেষজ্ঞ বা পন্ডিত হওয়ার প্রয়োজন পরে না যে, কারা বাংলাদেশে বিদ্বেষ, বিভাজন ও প্রতিহিংসার রাজনীতি জিইয়ে রাখতে চায়। বাংলাদেশকে কারা মর্যাদাবান রাষ্ট্রের উত্থান থেকে পিছিয়ে রাখতে চায়। আপাত দৃষ্টিতে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দেশের প্রধান নির্বাহীসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের দূর্নীতি ও অপশাসন  আড়ালের চেষ্টার পাশাপাশি এর সুদূরপ্রসারী উদ্দেশ্যকেও আলোচনায় রাখা জরুরি । স্বাধীনতা যুদ্বে মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্বকে বিতর্কিত করা গেলে বাংলাদেশ পাকিস্তানের যুদ্বকে অন্য একটি দেশের সাথে পাকিস্তানের আঞ্চলিক যুদ্ব হিসেবে চিত্রায়িত করার পথটি আরো সুগম হয়। নিকট অতীতে ভারত তাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গন  ও রাজনৈতিক নেতার মাধ্যমে ওয়ার্ম আপের প্রাকটিস করে আসছে । বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে দেশ দখলের অন্যতম যুক্তি দেয়া হয় যে, উক্ত দেশটি পূর্ববর্তী সময়ে আমাদের সাথে ছিল। স্বাধীনতা যুদ্বকে বিতর্কিত করতে পারলে এই কাজটা আরো সহজ হয়। হয়তো আমাদেরকে চরম মূল্য দেয়ার জন্য আগে থেকেই তৈরী করা হচ্ছে। এছাড়া দেশের রাজনীতিতে একজনকে সবার উপরে স্থান দিতে গিয়ে অন্যদের ম্লান করার জোরালো প্রচার চলছে। এখানে এই দুটি বিষয়ের পাশাপাশি পঁচাত্তরের আগে ও পরে জিয়াউর রহমানের অবস্থান এবং পারিপার্শ্বিক ঘটনাবলী নিয়ে আলোকপাত করার ক্ষুদ্র একটা প্রয়াস।  

বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৭৫ সালটি বিশেষভাবে আলোচিত। এ বছরটিতে বিশেষ করে আগস্ট থেকে নভেম্বর এই কয়েকটি মাস ছিলো ঘটনাবহুল এবং একাধারে বিপদসংকুল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের পটপরিবর্তন, সেনাবহিনীতে অভ্যুত্থান পাল্টা অভ্যুত্থান, ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররাফসহ সেনা অফিসার হত্যা, কর্নেল (অব:) তাহের-হাসানুল হক ইনুসহ জাসদের ভূমিকা এবং সিপাহী-জনতার সফল গণ অভ্যুত্থানের পথ ধরে দুর্বার আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল জিয়াউর রহমানকে বন্দীদশা থেকে মুক্ত করা হয় ৭ নভেম্বর। 

দুই:
দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ এবং অগণিত শহীদের আত্মত্যাগের পর ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলো পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। যদিও ভারতীয় বাহিনী এ যুদ্ধে সম্পৃক্ত হয়েছিলো একেবারে শেষের দিকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। অথচ ভারতের অনেকেই ১৯৭১ সালে সংগঠিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্বকে নিতান্তই ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হিসেবে বর্ণনা করতে পছন্দ করেন। এটা কি শুধু বলার খাতিরে বলা নাকি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ, বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে তা আজ প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে?

গত ১৬ই ডিসেম্বরে বিজয় দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের অসীম সাহসিকতাকে স্মরণ করে টুইট করেছেন। কিন্তু তার টুইটে যেমন আসেনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ তেমনি ওই টুইটে যে অসংখ্য ভারতীয় মন্তব্য করেছেন তাতেও প্রায় সবাই ওই যুদ্ধকে চিত্রিত করেছেন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার যুদ্ধ হিসেবে। (সূত্র: বিবিসি বাংলা, ১৬ ডিসেম্বর ২০২০)।

বিবিসি বাংলার সাথে সাক্ষাৎকারে বেসরকারি সংস্থা ওয়ার ক্রাইম ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হাসান যিনি নিজেও একজন মুক্তিযোদ্ধা, তিনি বলেন, “এটি সত্যি যে ভারতীয়দের অনেকে এখন ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বলেন। এর সঙ্গে ভারতের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বও একমত পোষণ করলে বুঝতে হবে যে অনেকে যে অভিযোগ করেন ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য নয় বরং পাকিস্তানকে ভাঙ্গার জন্য ওই লড়াইয়ে সামিল হয়েছিলো সেটিই সত্য বলে প্রমাণিত হবে।‘(সূত্র: বিবিসি বাংলা, ১৬ ডিসেম্বর ২০২০)।

এছাড়া ২০১৪ সালে মুক্তি পাওয়া ভারতের বলিউডে গুন্ডে নামের একটি সিনেমায় একাত্তরের যুদ্ধকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ না বলে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বলে বর্ণনা করা নিয়ে তুমুল শোরগোল হয় । বিশেষ করে তীব্র প্রতিবাদ উঠেছিলো বাংলাদেশীদের তরফ থেকে। এভাবে দেখা যায় ভারতের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্ব এমনকি সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্বে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানকে ম্লান করে দেয়ার একটা প্রচেষ্ঠা রয়েছে এবং সেটি সেই ১৯৭১ সাল থেকেই । বলতে গেলে পাকিস্তানিদের আত্মসমপর্ণের সময় থেকেই পরিকল্পিতভাবে অনেক কিছু করা হয়েছিল বলেও রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা ও ইতিহাসবিদের লেখা থেকে উঠে এসেছে ।

মুক্তিযুদ্বের সেক্টর কমাণ্ডার এবং স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সেনাবাহিনী প্রধান কে এম সফিউল্লাহ কিছুদিন পূর্বে একটি সাক্ষাৎকারে নিজেই বলেছেন যে, জিয়াউর রহমান তাঁর থেকে সিনিয়র ছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশে তাঁকে প্রথম সেনাবাহিনী প্রধানের দায়িত্ব দেয়ার সময় তিনি মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানকে বিষয়টি মনে করিয়েও দিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমানের সাথে শেখ মুজিবুর রহমানের হৃদ্যতাপূর্ণ ও আস্থার সম্পর্ক থাকার পরেও জিয়াউর রহমানকে সেনাবাহিনী প্রধান করতে পারলেন না কেন? এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরবর্তীতে জানা যায়, একটি পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের আপত্তির কারণে সেটি সম্ভব হয় নাই। কারণটিও পরিষ্কার। জিয়াউর রহমানের নাম যত বিকশিত হবে মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা, মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের অংশগ্রহণ সর্বোপরি স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশীদের নেতৃত্ব নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি করা সম্ভব হবে না ।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্বে ভারতের সহযোগিতা রয়েছে তাতে কোনো দ্বিমত নেই। তবে এটা কি আশ্চর্যের বিষয় নয় যে, ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী একাত্তর সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত কেন স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে পরিষ্কার কিছু বলেন নাই। আজকের লেখার উদ্দেশ্য স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে কথা বলা নয়। ভারতের পক্ষ থেকে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পর্কে ধুম্রজাল সৃষ্টি করে রাখা আর অদ্যাবদি ভারতের শীর্ষ রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্বকে ভারত পাকিস্তানের যুদ্ব বলে প্রচারণা একই সূত্রে গাঁথা বললে কি অত্যুক্তি হবে।

মুক্তিযুদ্ধকালিন প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের বিশেষ সহকারী মঈদুল হাসান তার বই মুক্তিযুদ্ধ ৭১’এ লিখেন, ”১৯৭১ সালের জুন মাসে বাংলাদেশের নেতারা স্বীকৃতিদানের প্রশ্নে ভারত সরকারকে খুব বেশি পীড়াপীড়ি শুরু করেন। তখন স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে ভারত সরকার গুরুতর সন্দেহ প্রকাশ করে। তারা বলেন, স্বাধীনতা ঘোষণার কোনো প্রমাণ, কোনো দলিল, কোনো জীবিত সাক্ষ্য আপনাদের আছে কি? ভারত সরকার বাংলাদেশ মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও অন্য প্রধাণ নেতাদের জিজ্ঞাসা করেছে যে, কাউকে কিছু বলে গেছেন কিনা শেখ মুজিবুর রহমান। এর মধ্যে জহুর আহমদ চৌধুরীও ছিলেন। প্রত্যেকেই বলেছেন, কাউকেই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণার কথা বলে যাননি। জহুর আহমদ চৌধুরী নিজে তাজউদ্দীনকে বলেছেন তাকে কিছু বলা হয়নি। ”

ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী নিউ ইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক এবং সমাজের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের এক সমাবেশে ১৯৭১ সালের ৬ নভেম্বর বলেছিলেন, ”স্বাধীনতার ডাক এসেছিল শেখ মুজিব গ্রেফতার হবার পরে, তার পূর্বে নয়। আমার জানামতে তিনি কোনো সময় স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি। ”[The cry for independence arose after Sheikh Mujib was arrested and not before. He himself, so far as I know, has not asked for independence even now.’’

শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর প্রদত্ত ভাষণটি দেখা যাবে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহের নিউজ লেটারে।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ আমাদের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বের মাধ্যমে পরিচালনার ব্যাপারে সন্দেহ ও ধোঁয়াশা সৃষ্টি করতে পারলেই ভারতের সুদূরপ্রসারী উদ্দেশ্য হাসিলে সহায়ক হয় বলে অনেকের ধারণা। ভারতের অনেক রাজনৈতিক নেতার বক্তব্যে অখণ্ড ভারতের স্বপ্নের কথা প্রায়ই শোনা যায়। এ ক্ষেত্রে জিয়াউর রহমানের ‘উই রিভোল্ট’ বলে আনুষ্ঠানিক মুক্তিযুদ্ধ শুরুর ঘোষণা এবং তাঁর রাজনৈতিক দর্শন অন্যতম বাঁধা বলে বিশ্লেষকেরা মনে করেন ।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানি পরাজিত হলে তার পার্শ্ববর্তী অনেক দেশ মিত্র বাহিনীর সহযোগিতায় জার্মানি থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। জার্মানির পূর্বেকার সাম্রাজ্য ফিরে পাওয়ার অদম্য বাসনা থেকেই হিটলার তার দেশের জনগণকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্বের দিকে ধাবিত করেন। একটি দেশের আভ্যন্তরীণ রাজনীতির স্রোতধারা এবং বৃহৎ প্রতিবেশীর আচরণ সর্বোপরি উক্ত অঞ্চলের ভূ-রাজনীতির গতি প্রকৃতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে । তাই ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় আভ্যন্তরীন রাজনীতিতে সহনশীলতার বিপরীতে বিদ্বেষ, বিভাজনের রাজনীতি ও প্রতিহিংসামূলক কর্মকান্ড আধিপত্যবাদী গোষ্ঠীকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে নিয়ামক হিসেবে কাজ করে । (চলবে)…..

লণ্ডন, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

Back to top button
Close
Close