সৈয়দপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রবাসী ছাত্রছাত্রীদের মানবিক উদে্যাগ

।। সুরমা প্রতিবেদন ।।
লণ্ডন, ২৭ জানুয়ারী – মানবিক উদে্যাগে এগিয়ে এসেছেন সৈয়দপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রবাসী ছাত্রছাত্রীবৃন্দ। উদে্যাক্তারা স্কুলের দাপ্তরিক কর্মচারী মো. আব্দুল জলিলের পরিবারের জন্য ফাণ্ড গঠন করেন। জনাব আব্দুল জলিল ১৯৮১ সাল থেকে দীর্ঘ ৩৯ বছর সৈয়দপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে দপ্তরি পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি ২০২০ সালের ২৪ মার্চ ইন্তেকাল করেন। এমতাবস্থায় তার পরিবারটি অর্থ সংকটে পড়লে প্রবাসে থাকা অত্র স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা মরহুম আব্দুল জলিলের পরিবারের সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন। এই প্রান্তিক পরিবারকে উদার হস্তে সাহায্য করার সাহসী উদে্যাগ নেয়ায় অত্র এলাকার মানুষজন কৃতজ্ঞতার সাথে ছাত্রছাত্রীদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

গত ২৬ জানুয়ারী, সুনামগঞ্জ জেলার সৈয়দপুর বাজারে ইসলামী ব্যাংকের এজেণ্ট শাখায় আনুষ্ঠানিকভাবে মরহুম মো. আব্দুল জলিলের পরিবারের জন্য ৭ লাখ টাকার ফিক্সড ডিপজিট করে একটি একাউণ্ড খোলা হয়। ছাত্রছাত্রীরা প্রথমে তার জন্য একটি ঘর বানানোর উদে্যাগ নিলে দেখা যায়, ঘর বানানোর জায়গার অভাব রয়েছে। তাই তারা এই টাকা ফিক্সড ডিপজিট করে রাখার উদে্যাগ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে উপযুক্ত কোনো জমি ক্রয় করে বাড়ি নির্মাণ করা হবে। ইতিমধে্য সৈয়দপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সৈয়দা নূরুন্নাহার সাজিন জানিয়েছেন, কিছু দিনের মধে্য মো. আব্দুল জলিল তার চাকরী জীবনের এককালীন অর্থ (পেনশনের টাকা) পেয়ে যাবেন। উদে্যাক্তাগণ আশা করছেন, এক সঙ্গে সব টাকা জড় করে তার পরিবারের জন্য থাকার মতো একটি বাড়ি নির্মাণ সহজ হবে।
উল্লেখ্য, সৈয়দপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রবাসী ছাত্রছাত্রীদের এটাই কোনো নতুন উদে্যাগ নয়। তারা এর পূর্বে রাকিবের চিকিৎসাবাদ ২০১৭ সালে ৩৫ লক্ষ টাকা প্রদান করেন।
এই মহিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাতপুর উপজেলার চেয়ারম্যন আলহ্বাজ আতাউর রহমান, সৈয়দপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক সৈয়দা নূরুননাহার সাজিন, সৈয়দপুরের প্রবীন মুরুব্বী সৈয়দ মদচ্ছির মিয়া (মহাজন) ও মো. আব্দুল জলিলের পরিবার।
এমন উদে্যাগের প্রেক্ষাপটে এলাকাবাসী মনে করেন, প্রবাসী ছাত্রছাত্রীরা অনে্যর জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে যা আগামী প্রজন্ম সেবার এই ধারাবাহিকতাকে অক্ষুন্ন রাখবে।