বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও জিয়াউর রহমান

মুক্তকথা:
।। আরিফুল হক ।।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নামটি উচ্চারিত হওয়ার সাথেসাথেই এক বহুমাত্রিক অভিধায় অভিহিত হিরন্ময় পুরুষের চিত্র চোখের সামনে ভেসে ওঠে ! তিনি সল্পায়ু হলেও বর্নালী প্রতিভার ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তিনি নিখাদ দেশপ্রেমিক । তিনি সৎ ,ধর্মপ্রান এবং প্রানধর্মি । তিনি নির্ভিক যোদ্ধা । তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার অগ্রনায়ক । তিনি মুক্তি যুদ্ধের সংগঠক সিপাহশালার । তিনি স্বাধীন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা পিতৃ স্বরূপ । তিনি সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের বিবর্ণ মানচিত্রের নবীন রূপকার ! তিনি ধ্বংস স্তুপে পরিনত হওয়া বাংলদেশের মাটিকে, ফুলে ফসলে ঝলমল করে তোলা একজন পরিশ্রমি ক্ষেত্রজীবি ! তিনি রাজনীতিবিদ, তবে অন্য সকলের মত এমেচার রাজনীতিবিদ নন , তিনি ছিলেন প্রকৃত অর্থে একজন বিশ্বখ্যাত স্টেটসম্যান , লিডার অব দ্য লিডার্স । সবার উপর জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন দার্শনিক নেতা !দার্শনিক প্লেটো বলেছিলেন “দার্শনিক রাজাই দেশে সত্য ও ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারেন”। জিয়াউর রহমান ছিলেন সেই দার্শনিক রাজা, যিনি বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক অমর দর্শন দিয়ে গেছেন, তাহল “বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ”। তাঁর সৃষ্ট “বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ” বাংলাদেশের মাটি-মানুষের সাথে সমন্বিত একমাত্র দর্শন ।
বিদেশ থেকে ধার করে আনা কোন ইজম, কোন ডগমা, কোন তন্ত্র মন্ত্রে তিনি বায়াসড ছিলেন না, বাংলাদেশের চৌহদীতে, বাংলাদেশের আবহাওয়ায়, বাংলাদেশের জলবায়ুতে, বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতি এবং আধ্যাত্মজ্ঞানের মধ্যেই তিনি বাংলাদেশের শিকড় অন্বেষন করেছিলেন ,এখানেই জিয়াউর রহমানের সাতন্ত্রতা, মাহাত্ম ও সার্থকতা ।’জীবন বাংলাদেশ আমার মরন বাংলাদেশ ‘এ বানী একমাত্র তাঁর মধ্যেই সার্থকতা পেয়েছে ।জিয়াউর রহমানের সকল অবদানের বর্ননা করা এই ক্ষুদ্র পরিসরে সম্ভব নয় । আমার বিভিন্ন লেখায় অল্প- বিস্তর তুলে ধরার চেষ্টা করেছি ।তাঁর জীবনের কর্মসম্ভার বেশির ভাগই অনউৎঘাটিত থেকে গেছে । আজ বাংলাদেশের সংস্কৃতি নিয়ে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের চিন্তাভাবনার গভীরতার কিছু অংশে সামান্য আলোকপাত করার চেষ্টা করবো।প্রথমেই দেখি সংস্কৃতি কি? সংস্কৃতি হল একটি জাতির সার্বিক পরিচয় পত্র । অর্থাৎ বাংলাদেশী জাতির ভাষা, সাহিত্য, জীবন যাপন প্রণালি, আইন কানুন, খাদ্য-খাবার পোষাক পরিচ্ছদ, সামাজিক রীতি-নীতি, বিয়ে-শাদী, আচার অনুষ্ঠান, অর্থাৎ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সকল আচার অনুষ্ঠানই বাংলাদেশের মানুষের সংস্কৃতি । আমাদের এই সংস্কৃতিই বলে দেয় আমরা স্বতন্ত্র জাতি । জাতীয় সংস্কৃতিই হচ্ছে জাতির পরিচয়ের পতাকা ।পতাকার রঙ বদলে গেলে যেমন দেশ থাকেনা , তেমনি সংস্কৃতির রঙ বদলে গেলে জাতির স্বাধীনতা থাকেনা। বাংলাদেশের সংস্কৃতির অঙ্গন জুড়ে আজ রঙ বদলের অর্থাৎ স্বাধীনতা হরনের খেলা চলছে !
ভারতীয় সংস্কৃতির অভিব্যক্তি হচ্ছে, বর্ণ বৈষম্য, জাতিভেদ, ব্রাম্ভন্য উপাসনা, গোভক্তি, পূজাপার্বন, সেবাদাসী, বলিদান প্রভৃতি। সেই সংস্কৃতির সাথে মুসলমানদের , আল্লাহর একত্ববাদ, সাম্য,মানবতার সংস্কৃতি সম্পূর্ণ বিপরীতমুখি ।যে কারনে বাংলাদেশের ৯২% মুসলমানের স্বতন্ত্র আবাসভূমি সৃষ্টির প্রয়োজন হয়েছিল । ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের চেতনা , ১৯১১ সালের বঙ্গভঙ্গ রদ, ১৯১৬ সালের পৃথক নির্বাচন চুক্তি, ১৯২০ সালের খেলাফত আন্দোলন, ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাব, ১৯৪৬ সালের নির্বাচনে পাকিস্তান ইস্যুর সপক্ষে বাংলার মুসলমানদের নিরঙ্কুশ রায়, ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগ, ‘৫২ এর ভাষা আন্দোলন , ‘৫৩ এর লাহোর প্রস্তাবভিত্তিক ২১দফায় জনগনের সমর্থন, লাহোর প্রস্তাব ভিত্তিক ৬ দফা , ‘৬৯এর গণ অভূত্থান ,থেকে ‘৭১ এর স্বাধীনতার যুদ্ধ পর্যন্ত সকল আন্দোলন সংগ্রামই ছিল, আল্লাহর একত্ববাদ, সাম্য, মানবতার সংস্কৃতি নিয়ে বাঁচার এবং টিকে থাকার লড়াই এর অংশ । দেশের ৯২% সংখ্যাগুরু মানুষ তাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং স্বতন্ত্র আত্মপরিচয় নিয়ে বাঁচতে চায় বলেই বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে , স্বাধীন রাখতে চাইছে ।নইলে কিছু আত্মবিনাশী মীরজাফরের বংশধর যে পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল তাতে ‘৭১ সালেই বাংলাদেশ ভারতের অধীনে চলে যাওয়ার কথা । কিন্ত তা হয়নি, হবার কথাও নয় !
১৯৭১ সালের ২৬মার্চ জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জানবাজ জনসাধারণ সে জীবনপণ স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু করেন তার শেষের দিকে অর্থাৎ ডিসেম্বার মাসের ৩-৪ তারিখে, বিজয় যখন বাংলাদেশ সেনাদের হাতের মুঠোয় , তখন দূরভিসন্ধিমূলক ও অযাচিত ভাবে ভারত বাংলাদেশের যুদ্ধে অংশ নিয়ে , বাংলাদেশ বাহিনীর যুদ্ধ জয়ের গৌরব ছিনতাই করে নেয় । এক্ষেত্রেও ভারতকে সহায়তা করে ভারত অনুগত মীরজাফর চক্রটি ।যুদ্ধ শেষে নবীন রাষ্ট্রটির দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে আধিপত্যবাদী ভারত সেই অনুগত মীরজাফর চক্রটিকেই বাংলাদেশের ক্ষমতায় বসিয়ে দেয় !ক্ষমতায় বসেই মীরজাফর চক্রটি ভারতের আর এস এস ষ্টাইলে ,দেশের সংখ্যাগুরু মানুষের পরিচয়, বোধ ও বিশ্বাসের স্তম্ভগুলোকে গুড়িয়ে দিতে তৎপর হয় ।যেমন প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম থেকে কোরানের আয়াত “ইকরা” মুছে দিয়ে প্রদীপ জ্বলানো হল ।সলিমুল্লাহ মুসলিম হল থেকে মুসলিম শব্দ বাদ দেয়া হল ।এইভাবে মুসলিম ঐতিহ্যের সাথে সম্পৃক্ত স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি, রাজপথ, নগর, ভবন, বাজার, পদ, পদবী, পদক, খেতাব , সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর নামকরণগুলো এমন ভাবে প্রবর্তন করা হল , যেন কোনভাবেই মনে না হয় যে বাংলাদেশ সংখ্যাগুরু মুসলমানের একটা দেশ । বাংলাদেশের সংস্কৃতি ধ্বংসের সেটাই ছিল প্রথম ধাপ !স্বাধীনতার পরপরই তৌহিদবাদী দেশে শিখা কালচার শুরু করা হল , যেমন ‘শিখা চিরন্তন’ , ‘শিখাঅনির্বান’ ইত্যাদি এবং এর সাথে প্রদীপ জ্বালিয়ে শুভকাজ উদ্বোধনের রেওয়াজ । যা ইসলামি আকিদা বিশ্বাসের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক !সাহায্যের ছদ্মবেশে ভারত তৎকালীন কলকাতা নিবাসী মুজিবনগর সরকারের সাথে যে ৭ দফা চুক্তি করেছিল তার মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, ধর্মনীতি, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষানীতিকে ছিন্নভিন্ন করেদিতে সক্ষম হয়েছিল । তাদের ইশারাতে তৎকালীন নতজানু সরকার রাজনীতিতে ভূয়া সমাজতন্ত্র , অর্থনীতিতে জায়ীতকরন নামক লুটপাটতন্ত্র, ধর্মনীতিতে ইসলাম বিরোধী ধর্মনিরপেক্ষতা ,এবং শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতিতে বাঙালী জাতীয়তাবাদ নামক ব্রাম্ভন্যবাদী সংস্কৃতি চালু করতে বাধ্য হয়েছিল ।সত্যসন্ধানী ঐতিহাসিকরা একথা বলতে বাধ্য হবেন যে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে যে শাসন ব্যবস্থা চালু ছিল তাকে জংলী শাসন বললেও কম বলা হবে ! অপদার্থ নেতৃত্বের ব্যর্থতার কারনে সদ্য স্বাধীন দেশটাতে বহুমাত্রিক সমস্যার পাহাড় সৃষ্টি হয়েছিল ।১৯৭৬ এর ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার বিল্পবের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হাতে নিয়েই জিয়াউর রহমানকে শূন্য মরুভূমিতে শ্যামল বনভূমি সৃষ্টির মত কঠিন দায়ীত্ব কাঁধে তুলে নিতে হয়েছিল । ঘুমের সময় ছিলনা না তাঁর । তিনি হাঁটতেন না, দৌড়াতেন ।তিনি জানতেন অল্প সময়ে তাঁকে হিমালয় সমান দায়িত্ব অতিক্রম করতে হবে ।কাজই ছিল তাঁর শ্বাসপ্রশ্বাসের অংশ ! বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে তিনি ছুটে বেড়িয়েছেন। তিনিই একমাত্র বলতে পেরেছিলেন “ যে সব রাজনৈতিক নেতারা জনগনের কল্যানে নিজেদের নিয়োজিত না করে শুধু বিলাস বহুল জীবনযাপন করে তাদের জন্য রাজনীতি করা কে আমি কঠিন করে তুলবো”।
বলেছিলাম এই প্রবন্ধে শহীদ জিয়াউর রহমানের সাংস্কৃতিক চিন্তা এবং সংস্কারের বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো , কিন্তু বারবার ট্র্যাক চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে !
জিয়াউর রহমানের সাংস্কৃতিক চিন্তাধারা বুঝতে হলে তাঁর দেয়া দর্শন “বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ” কে ভালকরে বুঝতে হবে ।কি এই বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ? আমরা বাংলাদেশে বাস করি বলেই কি আমরা বাংলাদেশী জাতি।তা কিন্তু নয় । শহীদ জিয়ার বাংলাদেশী জাতীয়বাদ দর্শন ভারতীয় তাঁবেদারদের গড়া ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানে পঞ্চম সংশোধনী এনে ‘ বিসমিল্লাহ হির রহমানিররাহিম সংযুক্তকরার মধ্যে সযত্নে বিধৃত হয়েছে । তিনি আল্লাহতায়ালার পবিত্র এই নাম শুধু সংবিধানে সংযুক্ত করেই ক্ষান্ত হন নি , প্রতিটি বাংলাদেশীর মুখেমুখে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন । দেশজুড়ে বাঙ্গালী নামক ভারতীয় সেবাদাসদের ধর্মনিরপেক্ষতার আড়ালে যখন ধর্মহীনতার মহড়া চলছিল , তখন তিনি বললেন, “ধর্মের এলিমেন্ট যদি রাজনীতিতে না থাকে তবে সেটা ভুল হবে”। তিনি আরও পরিস্কার করে বললেন “ দেশপ্রেম জাগ্রত হয় আল্লাহতায়ালার প্রতি ইমান থেকে -সেটাই হলো জাতীয়তাবাদ ,রসূলআল্লাহ(সঃ) সব চেয়ে বড় দেশপ্রেমিক ও সবচেয়ে বড় জাতীয়তাবাদী ছিলেন । তিনি ভারতের দালাল সেক্যুলারিষ্টদের উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন “ ভারত সেক্যুলার নয় ! ভারত উঠতে বসতে, চলতে-ফিরতে সর্বক্ষেত্রেই হিন্দু ধর্মমত পালন করে , সেখানে অন্য ধর্মাবলম্বীদের যথার্থ মর্যাদা দেয়া হয়না “।জানিনা আজকের জাতীয়তাবাদীদের কয়জন জিয়াউর রহমানের এই দর্শন এবং উক্তি সমূহ জানে এবং মানে ।
জিয়াউর রহমান নবীন বাংলাদেশে কক্ষচ্যূত মানুষগুলোকে বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক চেতনার উদ্বুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে বহুমুখী নুতন কর্মপ্রবাহ সৃষ্টি করেছিলেন ।এখানে সংক্ষিপ্ত বর্ননা তুলে ধরছি ।১) শিশু কিশোর প্রতিভার উন্মেষ ঘটানর উদ্দেশ্য নিয়ে ১৯৭৬ সালে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে ‘নতুন কুঁড়ি’ নামে একটি সফল অনুষ্ঠান প্রবর্তন করেন ।এই অনুষ্ঠানে চারু এবং কারু শিল্পের ২০টি বিভাগের ৩৫শাখায় প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বহু প্রতিভাবান গুনী শিল্পী সৃষ্টি হয়েছিল ! নতুন কুড়ি’ ছিল পৃথিবীর সর্বপ্রথম ট্যালেন্ট হান্ট অনুষ্ঠান । আজ নানা দেশে নানা আদলে এই অনুষ্ঠান দেখা যাচ্ছে । ১৯৯৬সালে আওয়ামী ক্ষমতায় আসার পর এই জনপ্রিয় অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয় ।দেশের চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নেয়ার জন্য তিনি অনেক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন ।তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রবর্তন করেন ।ভাল চলচ্চিত্র নির্মানের জন সরকারি উনুদানের ব্যবস্থা করেন ।তিনিই এফডিসিতে জহির রায়হান কালার ল্যাব নির্মান করেন । নতুন আধুনিক ক্যামেরা কেনার ব্যবস্থা করেন ।অনেকগুলি উন্নতমানের শিশুতোষ চলচ্চিত্র তার অনুদানেই নির্মিত হয় । যেমন খান আতাউর রহমান নির্মিত ডানপিটে ছেলে , বাদল রহমানের এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী প্রভৃতি ! তিনি শিশু একাডেমী , শিশু পার্ক নির্মান, এবং জাতীয় শিশু কিশোর পুরস্কার পরিবর্তন করেন ! একুশে পদক, স্বাধীনতা দিবস পদক, জাতীয় টিভি পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার, স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার সবই প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদান । আজ যা ছিন্নমালার মত পথেঘাটে গড়াগড়ি যাচ্ছে ! জিয়াউর রহমান ছিলেন ভিশনারি ম্যান, স্বপ্ন দ্রষ্টা, সৎ দেশপ্রেমিক । দেশের মাটি মানুষের প্রতি তাঁর ছিল বুকভরা ভালবাসা । সেই মানুষের মানবিক বৈশিষ্ঠের উৎকর্ষ সাধনকেই তিনি সংস্কৃতি মনে করতেন ! দুঃখের সাথে বলতে বাধ্য হচ্ছি যে আজ জাতীয়তাবাদী নেতাদের দৃষ্টিও যেন ঝাপসা হয়ে গেছে । “আল্লাহতায়ালার প্রতি ইমান, সেটাই হল জাতীয়তাবাদ” – জিয়াউর রহমানের এই আদর্শ থেকে তারা যেন দূরে সরে গেছে । জাতীয়তাবাদী সংস্কৃতি কর্মীরা জিয়ার আদর্শকে ধারন করে সংস্কৃতি চর্চা করলে জাতীয়তাবাদ ‘জিয়াবাদ’ প্রতিষ্ঠায় ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখতে পারে । রাজনীতিতে আবার দিনবদলের পালা শুরু হতে পারে ।