প্রবীণ কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব আব্দুল আহাদের ইন্তেকাল
লণ্ডন, ০১ নভেম্বর – বিলেতে বাংলাদেশী কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, সমাজসেবী আলহাজ্ব আব্দুল আহাদ ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাহি রাজিউন। গত ২৭ অক্টোবর, মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৫টায় তিনি ডাটফোর্ড ডেন্টভেলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে, ২ মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর ছেলে রুহী আহাদ পিতার জন্য কমউিনিটির সবার কাছে দোয়া ছেয়েছেন। উল্লেখ্য, করোনার প্রথম দফায় তিনি বাংলাদেশে ছিলেন। মাস দুয়েক আগে তিনি বিলেতে আসেন। ১৫ দিন আগে করোনা পজেটিভ ধরা পড়ার পর তিনি আইসিইউতে ছিলেন।
কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব মরহুম আব্দুল আহাদ জীবদ্দশায় বিভিন্ন সামাজিক ও দাতব্য সংস্থার সাথে জড়িত ছিলেন। মসজিদ, মক্তব ও স্কুলসহ বিভিন্ন সামাজিক, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় তাঁর একক ও যৌথ ভূমিকা রয়েছে। ন্যাশনাল হার্ট ফাউ-েশন সিলেটের কার্যকরী কমিটির সদস্য ও ফ্রে-স অব ন্যাশনাল হার্ট ফাউ-েশন ইউকে কমিটির চেয়ারম্যান, জগন্নাথপুর ব্রিটিশ-বাংলা এডুকেশন ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাপ্তাহিক নতুন দিনের পরিচালনা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল আহাদ ছিলেন একজন প্রকৃত জনদরদী ও মধুর স্বভাবের মানুষ।
সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর কাঠলখাই নিবাসী আলহাজ আব্দুল আহাদ ছিলেন তার এলাকার মানুষের সৌভাগ্যের বরপুত্র। নিরবে নিভৃতে তাদের সুখ-দুঃখের অংশীদার। এম এ আহাদ এতিম খানা নামে একটি সেবা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন তিনি। সিলেটের পাঠনটোলায় প্রতিষ্ঠিত এই এতিম খানায় শিশুদেরে আপন পরিবারের সন্তানদের মতো লালন পালন করতেন। অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আজীবন তিনি নিরন্তর চেষ্টা করেছেন। তাদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের খরচ বহন করেছেন উদারভাবে।
সিলেট নগরির পাঠানটোলায় তার ঐতিহ্যবাহী আহাদ ভিলা ছিল বিভিন্ন স্থান থেকে সিলেটে আগত দেশী ও প্রবাসীদের মিলনকেন্দ্র। একইভাবে কেন্টের বেক্সলিহীতে তার মহারাজ রেষ্টুরেন্ট ছিলো বিলেতের কমিউনটি নেতাদের প্রিয় পছন্দের জায়গা।