শামসুল আলম লিটনের সুরমার সম্পাদক পদে যোগদান

।। সুরমা প্রতিবেদন ।।
লণ্ডন, ২ অক্টোবর – বিশিষ্ট সাংবাদিক, বিলেত ও বাংলাদেশের মিডিয়া অঙ্গনের সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব শামসুল আলম লিটন সাপ্তাহিক সুরমার সম্পাদক হিসাবে যোগদান করেছেন। সুরমার দীর্ঘ ৪২ বছরের সফল পথযাত্রার ধারাবাহিকতায় সম্পাদক হিসেবে যোগ দিয়ে শামসুল আলম লিটন সকল পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে সফলভাবে সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকারী কবি ও কলামিস্ট ফরীদ আহমদ রেজা। তাঁর ব্যাক্তিগত ও পারিবারিক কারণে তিনি এ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। তবে এখন থেকে সাপ্তাহিক সুরমার প্রধান সম্পাদক হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করবেন।
সম্পাদক হিসেবে যোগ দিয়ে শামসুল আলম লিটন বলেন, গণমাধ্যম বিশ্বব্যাপী বড় ধরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবলে করছে। কোথাও গণতান্ত্রিক স্বৈরাচার আর কোথাও ফ্যাসিবাদ গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে প্রতিনিয়ত আক্রমণ করে যাচ্ছে। সাংবাদিকরা জীবন ও পেশাগত মর্যাদা রক্ষার লাইয়ের পাশাপাশি সঠিক তথ্য পরিবেশনের সংগ্রামে লিপ্ত। সাপ্তাহিক সুরমা এক্ষেত্রে আগামী দিনেও তার অঙ্গীকারকে অতীতের মতোই আপোষহীন ধারায় পালন করে যাবে।
উল্লেখ্য, শামসুল আলম লিটনের সাংবাদিকতা জীবনের সুদীর্ঘ পথচলায় বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ রাষ্ট্রীয় উচ্চপদে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
তিনি তাঁর কর্মজীবনে বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতির সাবেক ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারীর দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া, বাংলাদেশের প্রথম সেটেলাইট টেলিভিশন এটিএন বাংলার চীফ রিপোর্টার হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেন।
লণ্ডনে আসার পরও একই পেশায় দক্ষতার স্বাক্ষর রাখেন। তিনি ল-নের প্রথম টিভি চ্যানেল বাংলা টিভির বার্তা বিভাগের পারিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশের বহুল আলোচিত ১/১১ এর সময় তাঁরই পরিকল্পনায় বাংলা টিভির নিয়মিত টকশো ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।
এক সময় বাংলা টিভি বন্ধ হয়ে গেলেও তাঁর সাংবাদিকতা চর্চা অব্যাহত রাখেন তিনি। বিভিন্ন গণমাধ্যমে শুধু সংবাদ পরিবেশনই নয় একই সাথে সমসাময়িক বিষয়ে লেখালেখি বিশেষ করে সংবাদ বিশ্লেষণেও তাঁর গভীর জ্ঞান ও বিচক্ষণতা সর্বজনবিদিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট থেকে অনার্স এবং মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন শামসুল আলম লিটন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তিনি ডাকসু সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। এছাড়া, জাতীয় কবিতা পরিষদ, বিতর্ক আন্দোলন ও বিভিন্ন মাধ্যমে ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তাঁর অবদান ছিলো গুরুত্বপূর্ণ। পেশাদার সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও বাক-স্বাধীনতা প্রিতষ্ঠার ক্ষেত্রে একজন সংগঠক হিসেবে ভূমিকা রেখে চলেছেন।