নিউজ

বিশেষ সাধারণ সভায় ট্রাস্টিদের সিদ্ধান্ত: বিয়ানীবাজার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকে লিমিটেড অবৈধ, অবিলম্বে অবৈধ কমিটির কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ

লণ্ডন, ১৩ নভেম্বর – যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিয়ানী বাজারবাসির উদ্যোগে ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিয়ানীবাজার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকে। ট্রাস্টিদের কোনো অনুমোদন ছাড়াই ২০১৬ সংগঠনটির নাম পরিবর্তন করে লিমিটেড কোম্পানি করে ফেলা হয়। প্রকৃত কোনো নির্বাচন ছাড়াই গঠন করা হয় কমিটি। এখন এই কমিটিকে অবৈধ ঘোষণার পাশাপাশি বিয়ানীবাজার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকে লিমিটেডকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেছেন সংগঠনের ট্রাস্টিবৃন্দ। গত ৫ নভেম্বর, মঙ্গলবার পূর্ব লন্ডনের ৮৫ বিগল্যান্ড স্ট্রিটের কেয়ার হাউজ কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় শতাধিক ট্রাস্টি উপস্থিত ছিলেন।
সাধারণ সভায় বলা হয়, ট্রাস্টিদের অনুমোদন না নিয়ে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ট্রাস্টের নাম পরিবর্তন করে লিমিটেড কোম্পানি করা হয়েছে। কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে কোনো সাংবিধানিক বিধিবিধান মানা হয়নি। বর্তমান অবৈধ কমিটি ২০১৬ সাল থেকে সংগঠনের প্রকৃত কোনো সাধারণ সভা কিংবা আর্থিক হিসাব উপস্থাপন করেনি। বিয়ানীবাজারে গরিবদের জন্য গৃহনির্মান প্রকল্পে স্বজনপ্রীতি, দুর্ণীতি এবং আর্থিক অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছেন ট্রাস্টিরা। সভায় গৃহনির্মাণ প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে একটি প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এছাড়া, বিয়ানীবাজারের একজন অহসায় রোগী আলমগীর হোসেনের জন্য যুক্তরাজ্য থেকে তহবিল সংগ্রহ করা হলেও সেই টাকা ওই রোগীকে দেয়া হয়নি। কিন্তু চেকের বড় একটি পোস্টার নিয়ে তারা ঠিকই ছবি তুলে প্রচার করে।     

সভার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এই বলে যে, বর্তমান কমিটি বিয়ানীবাজার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের নাম ও লগো ব্যবহার করতে পারবে না। এই কমিটিকে সংগঠনের নামে সকল প্রকার কার্যক্রম পরিচালনা থেকে বিরত থাকতে হবে। সংগঠনের তহবিল ব্যবহার করতে পারবে না। সংগঠনের সকল-প্রকার তহবিল ও কার্যক্রমের দায়-দায়িত্ব সিনিয়র ট্রাস্টিবৃন্দের কাছে বুঝিয়ে দিতে হবে। সভায় বিয়ানী বাজার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকের কার্যক্রম পুনরুদ্ধারের জন্য অবিলম্বে ৭ সদস্যের একটি এডহক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।

বিশেষ সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সিনিয়র ট্রাস্টি আলহাজ শামস উদ্দিন খান। সভা পরিচালনা করেন আরেক সিনিয়র ট্রাস্টি মাতাব চৌধুরী। তিনি সাধারণ সভায় সিদ্ধান্তগুলো উপস্থাপন করেন। এসব সিদ্ধান্ত উপস্থিত শতাধিক ট্রাস্টির সর্বসম্মক্রমে পাশ করা হয়। সভায় লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০১৬ সালে বিয়ানীবাজার ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট ইউকে’র নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কিছু সাংবিধানিক সমস্যা দেখা দেয়। কারণ, ওই বছরের ৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে সংগঠনের তৎকালীন নেতৃবৃন্দ নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি ভিন্ন সংবিধান উপস্থাপন করেন, যার সঙ্গে ট্রাস্টের প্রকৃত সংবিধানের অনেক কিছুর মিল নেই। এই জটিলতার কারণে নির্বাচনের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশন ওই নির্বাচন পরিচালনা করতে অপারগতা জানান। এরপর ওই বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি পূর্ব লন্ডনের ব্রাডি আর্ট সেন্টারে অনুষ্ঠিত এজিএম-এ সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় যে, সিনিয়র ট্রাস্টি শাসছ উদ্দিন খানের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি সৃষ্ট সমস্যার সমাধান করবে এবং এ জন্য সংগঠনের সকল কাগজ-পত্র শামস উদ্দিন খানকে বুঝিয়ে দেবে ট্রাস্টের তৎকালিন কমিটি। কিন্তু শাসছ উদ্দিন খানের হাতে কোনো কিছুই বুঝিয়ে দেয়নি তাঁরা। বরং দীর্ঘ ২২ মাস পর ২০১৮ সালের ২৯ এপ্রিল লন্ডন মুসলিম সেন্টারে নিজের পছন্দের লোকদের নিয়ে একটি সভা ডাকেন তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক। বিতর্কিত ঐ সভায় সংগঠনের পুরো রূপ বদলে দেয়া হয়। যারা ৫০০ পাউন্ড দিয়ে বিয়ানীবাজার ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট ইউকে’র ট্রাস্টি হয়েছেন, তাদেরকে ট্রাস্টি থেকে মেম্বারে রূপান্তর করা হয়। ট্রাস্টের মালিক হিসাবে মাত্র ৩ জনকে রাখা হয়। বাকী সকল ট্রাস্টিদের মেম্বার ঘোষণা করা হয়। ওই সভাতেই নিজেদের পছন্দমত ঘোষণা করা হয় নতুন কমিটি। ওই কমিটির প্রেসিডেন্ট হন দেলোয়ার হোসেন নিজেই।  মাতাব চৌধুরী বলেন, ব্যক্তিগত জীবনে আমরা নানা কাজে ব্যস্ত থাকি বলে অনেকেই এসব নিয়ে মাথা ঘামাইনি। কিন্তু পরবর্তিতে এই অবৈধ কমিটির নানা অনিয়মের খবর সামনে আসতে থাকে। যার মধ্যে গুরুতর আর্থিক অনিয়মের অভিযোগও আছে। বর্তমান কমিটির কিছু লোক সংগঠনের স্বার্থে এসব অনিয়মের বিষয়ে সরব হন। এসবের প্রতিবাদে সংগঠনে আরেকটি পক্ষ সরব হয়। উভয়পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানে বিষয়টি আইনী প্রক্রিয়ায় গড়ায়। যেখানে বর্তমান অবৈধ কমিটির পক্ষের আইনজীবী স্বীকার করেন যে, বিয়ানীবাজার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকের ট্রাস্টিদের অনুমতি না নিয়ে সংগঠনের নাম বদল করা হয়েছে এবং কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধন করা হয়েছে- যা অবৈধ। বিষয়টি ট্রাস্টিদের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে সমাধানে তাদের আইনজীবী পরামর্শ দেয়।
এ অবস্থায় সংগঠনের সুনাম এবং তহবিল সুরক্ষার জন্য বেশ কয়েকজন সিনিয়র ট্রাস্টি নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার পর সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হন। প্রায় ২০ জন ট্রাষ্টি সাবেক সভাপতি মুহিবুর রহমান মুহিবের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনিসহ বর্তমান কমিটির বেশ কয়েকজন ট্রাস্টের স্বার্থে সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেন। সভায় সংগঠনের বেশ কয়েকজন সিনিয়র ট্রাস্টি জানান, তাঁরা নানাভাবে বর্তমান অবৈধ কমিটির সঙ্গে আপসে বিষয়টি মিটমাটের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে গুটিকয়েক ব্যক্তি নিজেদের দোষ স্বীকার করতে নারাজ। তাঁরা জোর করে সংগঠনের তহবিল এবং কার‌্যক্রম কুক্ষিগত করে রাখতে চায়। যে কারণে সংগঠনের সুনাম এবং তহবিল রক্ষায় বাধ্য হয়ে এই বিশেষ সাধারণ সভার আয়োজন করতে হয়েছে। কেননা ট্রাস্টিরা হচ্ছেন এই সংগঠনের প্রকৃত মালিক। সামান্য কয়েকজন লোক অবৈধভাবে জোর খাটিয়ে ট্রাস্টকে নিয়ন্ত্রণ করবে -এটা অগ্রহণযোগ্য। এই সংগঠনের সুনাম রক্ষা এবং এই সংগঠনের সুরক্ষার দায়িত্ব ট্রাস্টিবৃন্দের।
সিনিয়র ট্রাস্টি ডা. আলাউদ্দিন বলেন, আমি এবং আমার স্ত্রী দুজনেই এই সংগঠনের ট্রাস্টি। ভাল কাজ এবং মানুষের উপকারের জন্য এই ট্রাস্টের সঙ্গে আমরা আছি। কিন্তু ট্রাস্টের নামে যেসব দুর্নীতি এবং অনিয়ম হচ্ছে- তা কোনোভাবেই মানা যায় না।  সভায় উপস্থিত ট্রাস্টিবৃন্দ সংগঠনের সুনাম ও অবৈধ কার্যক্রমের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণে জোর দাবি জানান।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি সেলিম উদ্দিন, দিলাল আহমদ, মারুফ চৌধুরী, আফাজ উদ্দিন, নঈম উদ্দিন রিয়াজ, শাহাব উদ্দিন চঞ্চল, ব্যরিস্টার কালাম, সলিসিটর নাসির উদ্দিন, ইসলাম উদ্দিন, সরওয়ার আহমেদ, আব্দুল করিম নাজিম, লুৎফুর রহমান সায়াদ, সাদেক খান, শাহেদ আহমদ, ইফতেখার আহমেদ শিপন ও ইকবাল হোসেন বুলবুল প্রমুখ।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সংগঠনের বর্তমান সভাপতি দেলোয়ার হোসেন পত্রিকাকে বলেন, ‘বিয়ানীবাজার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকে’ লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধিত হয় ২০১১ সালের ১৬ জুন। চ্যারিটি কমিশনেও নিবন্ধন হয় তখন। এটি করতে গিয়ে নিয়ম মানা হয়েছিলো কি-না সেটি তখন যারা সংগঠনের নেতৃত্বে ছিলেন, তাঁরা ভাল বলতে পারবেন। নাম বদল এবং নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় যদি কোনো ত্রুটি থাকে সেটির দায়-দায়িত্ব বর্তমান কমিটির নয়। আর যে নতুন সংবিধান সেটিও করা হয়েছে সাবেক সভাপতি মুহিবুর রহমানের দায়িত্বকালীন সময়ে। আমরা সংগঠনের রূপ বদল করিনি।  আর সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আহমেদ বলেন, যে বিশেষ সাধারণ সভা হয়েছে সেটি অবৈধ। কারণ যারা সভা আহবান করেছেন তারা সংগঠনের নতুন সংবিধান অনুযায়ী সদস্য ফরম পূরণ করেন নাই। সভায় যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের অনেকেই নতুন সংবিধান অনুযায়ী সদস্য ফরম পূরণ করেন নাই। ফলে সংগঠনের নামে সভা আহবান কিংবা কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার তাদের নেই। আর বর্তমান কমিটি অবৈধ নয়। কোম্পানি হাউজ এবং চ্যারিটি কমিশনে গেলে এর প্রমাণ পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, মুরব্বিরা আমাদের সৃষ্ট সমাধানের উপদেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা নির্বাচনে আসতে চাচ্ছেন না। তারা চান দুই গ্রুপ থেকে লোক নিয়ে কমিটি করে দিতে। সেটি আমরা মানতে রাজি হইনি। আমরা চাই গণতান্ত্রিকভাবে সংবিধান মেনে নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি হবে।
মাহবুব আহমেদ আরো বলেন, আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ভিত্তিহীন। আলমগীর হোসেনের টাকার বিষয়টির দেখভাল করে আলমগীর সহায়তা ফান্ড নামে গঠিত একটি কমিটি। ওই কমিটি আলমগীর হোসেনের টাকা তখনই তাকে পরিশোধ করে দিয়েছে।  হাউজিং প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ বিষয়ে তিনি বলেন, আগের কমিটির মেয়াদে এসব অনিয়ম হয়েছে। ওই কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন জনাব মুহিবুর রহমান মুহিব। তাঁর নেতৃত্বে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন ৫টি ঘর দেয়া হয়। নতুন কমিটি আসে এপ্রিল মাসে। ফলে হাউজিং প্রকল্পের স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির দায়-দায়িত্ব নতুন কমিটির ঘাড়ে পড়ে না। তিনি বলেন, ওইসব অনিয়মগুলো হয় একটি নির্দিষ্ট নির্মাণ কোম্পানির মাধ্যমে। নতুন কমিটি ওই কোম্পানিকে জবাবদিহি করার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু মুরব্বিরা তাদের ক্ষমা করে দেন। বর্তমান কমিটি ঘরগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে।
বর্তমান নেতৃত্বের এমন প্রতিক্রিয়ার জবাবে মাতাব চৌধুরী বলেন, যে সাধারণ সভা হয়েছে সেটি করেছেন বিয়ানীবাজার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকের ট্রাস্টিবৃন্দ। তাঁরা যে লিমিটেড কোম্পানি করেছেন সেটির সাধারণ সভা নয়। ১৯৯৯ সালে প্রণীত ট্রাস্টের সংবিধানের ৯ ধারা মোতাবেক ট্রাস্টিরা এই বিশেষ সাধারণ সভা করেছেন।   আমাদের সংগঠনকে যে লিমিটেড কোম্পানি করা হয়েছে, তা ট্রাস্টিদের অনুমোদন ছাড়াই। ট্রাস্টিদের অনুমোদন ছাড়াই আমাদের ট্রাস্টের তহবিল ব্যবহার করছে লিমিটেড কোম্পানি। ২০১১ সালে বা যখন-ই ট্রাস্টের নাম বদল এবং সংবিধান বদল করা হোক না কেন- এসব করা হয়েছে অনিয়মের মাধ্যমে, ট্রাস্টিদের অগোচরে। ২০১৬ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে যখন লিমিটেড কোম্পানির নামে নতুন সংবিধান হাজির করা হয় তখনই এসব অনিয়মের বিষয় সামনে আসে। ফলে অনুমোদনহীন নতুন সংবিধান মেনে  লিমিটেড কোম্পানির সদস্যপদের আবেদন করার কোনো প্রয়োজন ট্রাস্টিদের নেই। বিয়ানী বাজার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকের নাম, সম্পদ এবং সুনাম পুনরুদ্ধারের জন্য ট্রাস্টিরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
 তিনি বলেন, কোম্পানি হাউজ এবং চ্যারিটি কমিশনে নাম পাঠালেই কমিটি বৈধ হয় না। সংগঠনের ট্রাস্টিদের ভোটে নির্বাচিত কমিটি হলো একমাত্র বৈধ কমিটি। বর্তমান কমিটি ট্রাস্টিদের ভোটে নির্বাচিত নয়। আর মুরববিরা নির্বাচন চান না এবং দুই গ্রুপ থেকে লোক নিয়ে কমিটি করে দিতে চেয়েছেন বলে যে দাবি করা হয়েছে তা ডাহা মিথ্যা। তারা সংবিধান মেনে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পক্ষে বলে দাবি করেছেন, কিন্তু তাঁরা কোন সংবিধান মেনে এখন নির্বাচিত? তাঁরা তো নতুন-পুরনো কোনো সংবিধান মেনে নির্বাচিত হয়নি। 
মাতাব চৌধুরী বলেন, আলমগীর হোসেনকে যে টাকা দেয়া হয়নি, এ বিষয়ে আলমগীর হোসেনের নিজের বক্তব্যের অডিও রেকর্ড বিয়ানবাজার ওয়ালডওয়াইডের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ঘুরোঘুরি করছে। আর হাউজিং প্রকল্পে বর্তমান কমিটি যে স্বজনপ্রীতি এবং দুর্নীতি করেছে তার ডকুমেন্টারি এভিডেন্স ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে সভায় উপস্থাপন করা হয়। তারা যে নির্মান কোম্পানির অনিয়মের কথা বলতে চাইছে, সেই নির্মান কোম্পানির মালিক বর্তমান কমিটির প্রেসিডেন্ট দেলোয়ার হোসেনের আপন ভাই। নিজের ভাইকে গৃহনির্মাণ প্রকল্পের কনট্রাক্ট দিয়ে তারা আর্থিক অনিয়ম করেছে।  বর্তমান কমিটির কিছু ডাইরেক্টর এই কমিটির অনিয়মের চিত্র ট্রাস্টিদের সামনে তুলে ধরেছেন। অন্যথায় যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিয়ানীবাজারবাসী সাধারণ মানুষের অর্থে গড়া ট্রাস্টের এমন বেহাল দশার কথা ট্রাস্টিদের কাছে অজানাই থেকে যেত।  
এখন যারা বিয়ানীবাজার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকের সম্পদ এবং নাম দখল করে আছেন তাদের উচিত দ্রুত সবকিছু ট্রাস্টিদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া। কেবল আগের কমিটির ওপর দোষ চাপালে দায় শেষ হয়ে যায় না। আগের কমিটি যদি অন্যায় করে থাকে তবে বর্তমান কমিটি একই অন্যায় অব্যাহত রেখেছে। এর দায় তারা এড়াতে পারে না। মিথ্যা বলে কিংবা জোর খাটিয়ে কেউ আমাদের সংগঠনকে কুক্ষিগত করে রাখতে পারবে না। আমরা দ্রুত এ বিষয়ে আইনী ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি।       

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close