নিউজ

জ্বালানি নিরাপত্তা: ১০ বছরেও একটি কয়লাভিত্তিক বিদু‍্যৎ কেন্দ্র আলোর মুখ দেখেনি

বিশেষ সাক্ষাৎকারে সাংবাদিক রোকন উদ্দিন

৯ আগষ্ট ছিলো জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান শেল পেট্রোলিয়াম অয়েল কোম্পানীর কাছ থেকে নামমাত্র মুল্যে (৪.৫ মিলিয়ন স্টার্লিং পাউনণ্ড) পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র কিনে নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যা স্বাধীন বাংলাদেশে জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য ছিল একটি মাইলফলক। তখন সেই ৫টি গ্যাসক্ষেত্রে থাকা ১৫.৪২ ট্রিলয়ন ঘণফুট গ্যাসের মূল্য ছিল প্রায় ৩৮.৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ৪৪ বছর গ্যাস সরবরাহের পরও বর্তমানে এখানে ৬ ট্রিলিয়নেরও বেশী গ্যাস অবশিষ্ট আছে, যার মূল্য প্রায় ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বঙ্গবন্ধুর এই অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর ৯ই আগষ্ট বাংলাদেশে জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।সেই প্রেক্ষাপটে এনটিভির সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট রোকন উদ্দিন কথা বলেছেন দেশের জ্বালানি নিরাপত্তার বর্তমান অবস্থা নিয়ে। তিনি এক যুগেরও বেশী সময় ধরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিট কাভার করছেন। বিভিন্ন সময়ে তার প্রতিবেদনের জন্য জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কারও পেয়েছেন।সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সুরমার বিশেষ প্রতিনিধি ইমেস আলম।

সুরমা: টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থাপনায় অগ্রগতি কতটুকু?
উত্তর: বিশ্বজুড়ে জ্বালানি সংকট কমিয়ে আনতে খুব সম্ভবত ২০১২ সালে জাতিসংঘ ২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত টেকসই জ্বালানি দশক ঘোষনা করেছে। এই সময়ে তিনটি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার কথা বলা হয়েছে; এক আধুনিক জ্বালানির সহজ লভ্যতা সুনিশ্চিত করা, দুই জ্বালানি দক্ষতায় উন্নতির হার ২০১৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণ করা আর তিন নম্বর হচ্ছে জ্বালানির মিশ্রণে নবায়নযোগ্য জ্বালানি দ্বিগুণ করা। ঠিকঠাক বলতে গেলে আমরা আসলে এই তিনটি বিষয়ে সমানভাবে গুরুত্ব দিতে পারিনি। কারন আমাদের প্রয়োজনীর বিদ্যুতের চাহিদা যে কোনভাবে মেটানোর ওপর আমরা জোর দিয়েছি। তাই আজ আপনি বিদ্যুৎখাতে টেকসই না হলেও অনেক দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে। কিন্তু বিদ্যুতের সাথে তাল মিলিয়ে গ্যাস বা নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে ততটো অগ্রগতি নেই।

সুরমা: তাহলে কি নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে অগ্রগতি নেই বলতে চাচ্ছেন?
উত্তর: তা থাকবে না কেন। অবশ্যই আছে। কিন্তু আমি বলছি জাতিসংঘ জ্বালানি দশক ঘোষনা করে যে প্রত্যাশা করেছিল, অন্তত এই ক্ষেত্রে তা পুরন করা সম্ভব হচ্ছে না। কারন হলো জ্বালানি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ চারটি উপাদান আছে; জ্বালানি সহজলভ্যতা, জ্বালানির সার্মথ্যতা, জ্বালানির উপযোগিতা ও জ্বালানির নিরাপত্তামূলক কার্যক্রম। আমরা তার কোনটিই সন্তোষজনকভাবে এগিয়ে নিতে পারিনি। তবে হ্যা পরিকল্পনা কিন্তু আছে। যেমন কয়েকটি জেলায় সোলার পার্ক তৈরীর কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। আবার বায়ু বিদ্যুতের জন্য ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় একটি পূর্ণাঙ্গ উইন্ড ম্যাপিং-এর কাজ শেষ হয়েছে। এর ফল বিশে ষণ করে বলা হয়েছে, বায়ুশক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে অন্তত ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। এই যে বিষয় এটাও তো বড়সড় অগ্রগতি। কিন্তু আমাদের সমস্যা যেখানে হয় তা হলো পরে আর কাজগুলো এগোয় না, কোথায় যেন আটকে থাকে। বায়ু বিদ্যুতের ক্ষেত্রেও দেখেুন প্রায় এক বছরে কোন অগ্রগতি নেই। বিনিয়োগের সমস্যার কথা বলা হতে পারে। কিন্তু বিদ্যুৎ খাতে কিন্তু এখন অনেক দেশের বড় বড় প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছে। 

সুরমা: বায়ু বিদ্যুতের কথা বললেন। সেক্ষেত্রে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনার কথা জেনেও এখনি কোন পদক্ষেপ না নেয়ার ফলে ভবিষ্যতে তার ফলাফল কী দাঁড়াবে?
উত্তর: শঙ্কা না বললেও, বলতে হবে আমরা পিছিয়ে গেলাম। কারণ জ্বালানি অর্থনীতিতে বলা হয়; উন্নত বা উন্নয়নশীল বা যেকোন দেশের অর্থনীতি জ্বালানি আমদানির উপর যত নির্ভশীল থাকবে, দেশটি ঝুঁকির মুখে ততবেশী পড়ার সম্ভাবনা বাড়বে। যদি কোন কারনে রপ্তানিকারক দেশ থেকে ১/২ মাস জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, তাহলেই কিন্তু অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। মানে হচ্ছে আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাড়ানোর পরিকল্পনা করেও, বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিচ্ছি আমদানিকে।

সুরমা: তাহলে এলএনজি আমদানি দেশের জ্বালানি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কেমন প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন?
উত্তর: পরিস্থিতি এখন এমন হয়েছে যে, এলএনজি আমদানিকে মেনে নেয়া ছাড়া উপায় নেই। তবে আমার মনে হয় আরো ৮/১০ বছর পর এলএনজি আমদানি হলে দামের চাপটা মানুষের মধ্যে কম পড়তো। আর গেল ৬/৭ বছর ধরে গ্যাস অনুসন্ধানের যে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল তার সবগুলো না হলেও ৮০ শতাংশ বাস্তবায়ন করলে ভাল হতো বলে আমার মনে হয়। গ্যাস অনুসন্ধানে উত্তরাঞ্চলে বৃহৎ আকারে সিসমিক সার্ভে করার কথা শুনে আসছি ৪/৫ বছর হলো কিন্তু বার বার পিছিয়েই যাচ্ছে। 

সুরমা: এলএনজি আমদানির ফলে, দেশীয় জ্বালানির বাজারে বাড়তি চাপ কি সমস্যা তৈরী করবে বলে মনে করেন?
উত্তর: দেখুন হিসেবটা সহজ বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মতো নিত্য প্রয়োজনীয় উপাদানের দাম বাড়লে তার চাপ পড়বেই। কারন দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে তা মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে দেয় ও আগামী কয়েক বছরও তাই হবে বলে মনে হয়। আর আপনাকে একটা গল্প বলি, গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষনার পরপরই একজন ব্যবসায়ীর সাথে আমার কথা হয়। তিনি আমাকে যা বলেন তার সারমর্ম হচ্ছে, এখানে যেদিন গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ঘোষনা দেয়া হলো, একইদিনে ভারতে দাম কমায় সে দেশের তৈরী পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা আন্তর্জাতিক বাজারে বেশী সুবিধা পাবে। কারন তারা এখন থেকে খানিকটা কম দামেও পণ্য ক্রেতাকে সরবরাহ করতে পারবেন। আর বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে উল্টো দাম বাড়ানোর জন্য কথা চালাচালি করতে হবে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে তা একটা প্রভাব ফেলবে। তখন হয় দেশের ব্যবসায়ীদের কম লাভে বা অনেককে লসে পণ্য সরবরাহ করতে হবে। তার মতে, অনেক বড় ব্যবসায়ী ছাড়া নাকি এই চাপ সামলানো বেশ কঠিন। এটা এজন্য বললাম যে এই দাম বৃদ্ধি আসলে কতভাবে প্রভাব ফেলে তা বোঝাতেই। আবার সরকারের ক্ষেত্রেও দেখুন এত দাম দিয়ে এলএনজি আমদানির পর দাম বাড়ানো বা ভর্তুকি দেয়া, এর বাইরে যাবার সুযোগ কোথায়। 

সুরমা: বর্তমান সময়ে বিদ্যুৎ খাতকে কিভাবে দেখবেন? অবস্থার উন্নতি হয়েছে আপনি বলছিলেন?
উত্তর: বিদ্যুতের অবস্থা অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে ভাল। এটা অস্বিকার করা যাবে না। কিন্তু তাকে টেকসই করা যায়নি। যদিও টেকসই ব্যবস্থাপনা কিন্তু সরকারের পরিকল্পনাতেই ছিল। সেটি হলোনা কারন সরকার আসলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে কিন্তু তা পৌঁছে দেবার ক্ষেত্রে নয়। অর্থাৎ সঞ্চালন ও বিতরন লাইন নিয়ে ততটা ভাবা হয়নি শুরুতে। যখন সমস্যা তৈরী হলো তখন ভাবনাটাও তৈরী হলো। তখন আসলে অনেক দেরী হয়ে গেছে। তখন দেখা গেলো লোড ডেসপাচ সেন্টারের পুরো আধুনিকায়ন দরকার। আর সঞ্চালন ও বিতরন লাইনও বাড়াতে হবে তিন চারগুন। এখন সেই চেস্টাই করে যাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ। তবে মনে রাখতে হবে আগামীতেও বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা যত বাড়ানো হবে তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে সঞ্চালন ও বিতরন লাইনও বাড়ানোর পরিকল্পনা থাকতে হবে। আমার বিশ্বাস যেহেতু ঠেকে শিখেছে সরকার, তাই এমন ব্যবস্থা নিশ্চয়ই থাকছে।

সুরমা: তাহলে বিতরণ ও সঞ্চালন লাইন ঠিক হলেই নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ মিলছে?
উত্তর: সেটা মেলার কথা। তবে তখনও কিন্তু মুল জায়গাটা ঠিক রাখতে হবে। অর্থাৎ জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এখনো যত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় তার ৭০ শতাংশই গ্যাস থেকে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে যদি দেশে নতুন করে আর কোন গ্যাস পাওয়া না যায় তাহলে এলএনজির ওপর ভরসা করা ছাড়া উপায় দেখিনা। তা যেমন কঠিন তেমন ব্যয়সাধ্যও হয়ে পড়বে। সেই পরিকল্পনাটাও এখন থেকেই করা ভাল।

সুরমা: কয়লাভিত্তিক বড় কেন্দ্রগুলো তো কছুদিনের মধ্যে ধীরে ধীরে চলে আসার কথা?
উত্তর: এটি নিয়ে আমি ততটা আশা করিনা। কারন আগের অভিজ্ঞতা। দেখুন ১০ বছরে একটি কয়লাভিত্তিক বড় কেন্দ্রও আলোর মুখ দেখেনি। সামনে হয়তো পায়রা টা আসবে। কিন্তু দেখুন যত দিন যাবে পরিবেশের কথা মাথায় রেখে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করা সরকারের জন্য কঠিন হয়ে যাবে। কারন বিশ্বের উন্নত দেশগুলো এখন কয়লার ব্যবহার কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে যাচ্ছে। আমার তো মনে হয় আগামী ১০/১৫ বছরে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে একটা অন্যরকম পরিস্থিতি তৈরী হবে। প্রযুক্তি যেমন সহজ হয়ে যাবে তেমনি দামও কমে যাবে বলেই আমার বিশ্বাস। দুনিয়ার সাথে তাল মেলাতে তখন আমাদেরও তা নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়তে হবে। তাই কয়লাভিত্তিক প্রকল্পগুলোর বড় একটি অংশ এতদিনে চলে আসলে সব দিক থেকেই ভাল হতো বলে আমি মনে করি। 

সুরমা: তাহলে কি কয়লাভিত্তিক প্রকল্পের বদলে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে ভাবা উচিত?
উত্তর: এটা সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। আর এখন যে কয়লাভিত্তিক প্রকল্পগপলো বাস্তবায়নাধীন আছে তা তো বাদ দেয়া সম্ভব নয়। আর উচিত হবেনা বলেও মনে করি। তবে আমি বলতে চেয়েছি যে বিষয়টি নিয়ে ১০ বছরের মধ্যে সিরিয়াসিল ভাবতে হবে সরকারকে, তা এখন থেকে কেন নয়। বলে রাখি, এ বিষয়েও কিন্তু সরকার পরিকল্পনার ক্ষেত্রে বেশ এগিয়ে গেছে। বায়ু বিদ্যুতের ক্ষেত্রে উইন্ড ম্যাপিং আর সোলার পার্কের কথা আগেই বলেছি। কিন্তু বাস্তবায়নটা কিভাবে আর কবে শুরু হবে তাই আসলে বিষয়। 

সুরমা: এক্ষেত্রে অর্থায়ন নাকি নীতিগত উদ্যোগের সীমাবদ্ধতাকে কারণ মনে করেন ?
উত্তর: দুটোই। কারন ২০০৯ সালে বিদুতের যে অবস্থা ছিল তা পরিবর্তন করতে আসলেই চেয়েছে সরকার। এবং বলতে হবে অবশ্যই দৃশ্যমান ও ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। তখনও কিন্তু পরিকল্পনা আর বিনিয়োগ দুটোই প্রয়োজন ছিল। সরকার চেয়েছে বলেই পেরেছে। এক্ষেত্রেও আমি তাই মনে করি, যদি চাওয়া হয় অবশ্যই সম্ভব। যে কোন উদ্যোগেই প্রতিবন্ধকতা থাকবে কিন্তু বর্তমান সরকারের কাছে তার সমাধানও নিশ্চয়ই আছে। 

সুরমা: আবার তেলের ক্ষেত্রে, বিপিসি’র কার্যক্রমে কি গতি এসেছে বলে মনে করেন?
উত্তর: দেখুন, তাদের হিসেবেই এখন দেশে ৬০ লাখ টন জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে। এরমধ্যে ১৫ লাখ টন দেশে পরিশোধন করার ক্ষমতা রয়েছে। বাকি পরিশোধিত জ্বালানি তেল কিনে আনে বিপিসি। অর্থাৎ বছরে ৪৫ লাখ টন পরিশোধিত তেল আমদানি করা হয়। এতে প্রতি লিটারে অন্তত ৬ টাকা করে অতিরিক্ত ব্যয় হয়। এই ব্যয় থেকে বাঁচতে বিপিসি দেশের একমাত্র তেল পরিশোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইরানির ক্ষমতা আরও ৩০ লাখ মেট্রিকটন বাড়ানোর প্রকল্প নিয়েছে। তবে, ২০০৯ সাল থেকে চেষ্টা করেও এই প্রকল্পের অর্থায়ন জোগাড় পারেনি। সেখানে হয়তো অনেক হিসেব নিকেশ আছে সরকারের। ভর্তুকি হিসেবে না দিয়ে ঋণ হিসেবে দেয়ায় টাকা পয়সা নিয়ে পাওয়া নিয়ে কিছু বিষয়ও আছে। তারপরও অর্থের জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ একটা প্রকল্প আটকে না রেখে ব্যবস্থা করা যেত বলে আমি মনে করি। কিছুদিন আগে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেশ পড়ে গেলেও দেশের বাজারে দাম কমানো হয়নি। ফলে তখন যে লাভ হয়েছে তা দিয়ে কিছু কার্যক্রম হাতে নিয়েছে বিপিসি। এখন দেখা যাক। তবে শুনছি কয়েক মাস ধরে আবার ধারাবাহিক লোকসানের কারনে তেল কিনতেই নাকি বিপিসি বড় অঙ্কের ঋণ নিতে যাচ্ছে বিদেশী সংস্থার কাছ থেকে। তাই যদি হয় তাহলে যে উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে তাও বাধাগ্রস্ত হবে বলে মনে করি। আবার দেশের জ্বালানীর দাম তিন মাস পর পর সমন্বয়ের (প্রাইস অ্যাডজাস্টমেন্ট) যে পরিকল্পনা এক সময় নেয়া হয়েছিল তারও কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি। আবার সমন্বিত জ্বালানি ব্যস্থাপনা নিয়ে কোন নীতিমালাও কিন্তু আমরা এখনো করতে পারিনি। যা করা জরুরী বলেই আমি মনে করি।

সুরমা: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সময় দেবার জন্য।
উত্তর: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। ধন‍্যবাদ সুরমার সকল পাঠকের প্রতি।

লেখক: সাংবাদিক ও সংবাদ বিশ্লেষক। ইমেল: emesalam9@gmail.com

Sheikhsbay

Related Articles

Back to top button
Close
Close